Maruti Suzuki EV: মারুতির প্রথম ইলেকট্রিক গাড়ির দাম কত হবে? যা জানালেন সংস্থার CEO
মধ্যবিত্তের গাড়ি তৈরির জন্য মারুতি সুজুকির যথেষ্ট সুখ্যাতি রয়েছে। মারুতি অল্টো ৮০০ (Maruti Alto 800) বাজারে আসার পর...মধ্যবিত্তের গাড়ি তৈরির জন্য মারুতি সুজুকির যথেষ্ট সুখ্যাতি রয়েছে। মারুতি অল্টো ৮০০ (Maruti Alto 800) বাজারে আসার পর ভারতের বৃহত্তর মধ্যবিত্ত মানুষের গ্যারেজে জায়গা করে নিয়েছে। স্টাইলিং ও ফিচারের দিক থেকে গাড়িটি জমকালো না হলেও, ঝড়-জল-রোদ থেকে একটি বিলাসবহুল দামি গাড়ির মতোই এটিও যাত্রীদের স্বস্তি ও নিরাপত্তা দেয়। অল্টো ছাড়াও ওয়াগনআর (WagonR) গাড়িটিরও যথেষ্ট জনপ্রিয়তা রয়েছে। বর্তমানে এটি দেশের বেস্ট-সেলিং প্যাসেঞ্জার কার। তবে ইন্দো-জাপানি সংস্থাটির পোর্টফোলিওতে রয়েছে অত্যাধুনিক ফিচারে ভরপুর প্রিমিয়াম গাড়ির মডেলও।
এদিকে ব্যাটারি চালিত গাড়ির রমরমার যুগে ২০২৫-এর মধ্যে বৈদ্যুতিক গাড়ি নিয়ে আসার জন্য কোমর বেঁধেছে মারুতি সুজুকি। দেশের আমজনতার ধারণা সংস্থার আসন্ন বৈদ্যুতিক গাড়িটির দাম মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যেই থাকবে। কিন্তু তাতে একপ্রকার জল ঢেলে আসন্ন গাড়িটির মূল্য সম্পর্কে অন্য সুর শোনা গেল সংস্থার ভারতীয় শাখার সিইও হিসাশি টাকিউচির কন্ঠে। তিনি কার্যত স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলেন, আসন্ন ইলেকট্রিক গাড়িটির মূল্য ১০ লাখ টাকার কম রাখা সম্ভব নয়। এমনকি তাঁর বিশ্বাস, আগামী তিন বছরেও দাম এর থেকে কমানো যাবে না।
আসন্ন বৈদ্যুতিক গাড়িটির দামি হওয়ার প্রসঙ্গে টাকিউচির সাফাই, ইভি প্রযুক্তি এবং ব্যাটারির উচ্চমূল্য। তাঁর কথায়, ১০ লাখ টাকার কম দামের বৈদ্যুতিক গাড়ি আনা সম্ভব, তবে তার রেঞ্জ হবে ১৫০ কিলোমিটারের আশেপাশে। তিনি কম রেঞ্জের গাড়ির প্রসঙ্গে বলেন, ছোট ব্যাটারির গাড়ির ক্ষেত্রে বৈদ্যুতিক চার্জিং স্টেশনের বৃহৎ নেটওয়ার্কের প্রয়োজন, যা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এ দিকে সংস্থার আসন্ন ই-গাড়িটি ভারতীয় ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ করতে এবং পাশাপাশি ভারতের আবহাওয়ার সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে কতটা সক্ষম, দীর্ঘদিন ধরে তার উপরে পরীক্ষা চলছে।
Maruti Suzuki Electric Car স্পেসিফিকেশন
রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী, মারুতি সুজুকি সর্বপ্রথম একটি মিডসাইজ এসইউভি গাড়ি আনতে চলেছে, যার দৈর্ঘ্য ৪.২ মিটার। এই গাড়িটি আগামী ২০২৩ অটো এক্সপোতে প্রদর্শন করা হতে পারে বলে খবর। গাড়িটি সুজুকি-টয়োটার যৌথ উদ্যোগে এবং টয়োটার স্বল্পমূল্যের DNGA মডিউলার প্ল্যাটফর্মের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হতে পারে। এর আর্কিটেকচারের স্থানীয়করণের উপর বিশেষভাবে জোর দেওয়া হচ্ছে।
মারুতি সুজুকির প্রথম ইলেকট্রিক গাড়ি দু'টি ব্যাটারির বিকল্পে আসতে পারে - ৪৮ কিলোওয়াট আওয়ার ব্যাটারির মডেলটি থেকে ১৩৮ বিএইচপি এবং ৫৯ কিলোওয়াট আওয়ার ব্যাটারির মডেলটি থেকে ১৭০ বিএইচপি আউটপুট পাওয়া যাবে। রেঞ্জ হবে যথাক্রমে ৪০০ কিমি ও ৫০০ কিমি।