Maruti Swift: মাইলেজ আর লুকসেই জনতা ফিদা, 30 লাখ সুইফট বিক্রির রেকর্ড মারুতির
হালফিলে ভারতে এসইউভি গাড়ির রমরমা বাজার। হ্যাচব্যাক মডেলের জনপ্রিয়তার সূর্য পড়ন্ত হলেও আজও কয়েকটি মডেল প্রতিযোগিতার...হালফিলে ভারতে এসইউভি গাড়ির রমরমা বাজার। হ্যাচব্যাক মডেলের জনপ্রিয়তার সূর্য পড়ন্ত হলেও আজও কয়েকটি মডেল প্রতিযোগিতার ময়দানে মাথা উঁচু করে লড়াই জারি রেখেছে। এমনই একটি গাড়ি হচ্ছে মারুতি সুজুকি সুইফট। জনপ্রিয়তা বাড়তে বাড়তে আজ বিক্রির সংখ্যা ৩০ লাখ পার করেছে। সম্প্রতি গাড়িটির চতুর্থ প্রজন্ম বাজারে লঞ্চের পর এই নতুন মাইলফলক স্পর্শের কথা ঘোষণা করল মারুতি সুজুকি।
২০০৫ সালে প্রথম ভারতের বাজারে পা রেখেছিল মারুতি সুইফট। সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হল, বিক্রির নিরিখে সুইফ্ট, মারুতির ইতিহাসের খাতায় স্বর্ণাক্ষরে খোদিত থাকা মারুতি ৮০০-কেও টপকে গিয়েছে। নব্বই দশকের বাজার কাঁপানো এই গাড়ি সারা জীবনে ২৬.৬ লাখ বিক্রি হয়েছিল।
২০০৫-এ সুইফট লঞ্চের মাধ্যমে নতুন সেগমেন্টের সূচনা করেছিল মারুতি সুজুকি। ২০১৩-র নভেম্বরে এই গাড়ির বিক্রি ১০ লাখ অতিক্রম করে। ঠিক পাঁচ বছর পর অর্থাৎ ২০১৮-র নভেম্বরে সংখ্যাটা পৌঁছায় ২০ লাখে। পরবর্তী ১০ লাখ ইউনিট সাড়ে ৬ বছরে বিক্রি করে নজির স্থাপন করেছে গাড়িটি। এই প্রসঙ্গে একটি বিষয় না বললেই নয়, করোনা অতিমারির কারণে ২০২০ থেকে পরবর্তী কয়েক বছর অটোমোবাইল শিল্পে বিক্রিবাটায় ঝিমুনি দেখেছিল। থমকে যায় জোগান-শৃঙ্খলের ধারা।
হয়তো অনেকেই জানেন না ২০০৫-এ যখন প্রথম লঞ্চ হয়েছিল, সে সময়ে এটি সুজুকি হায়াবুসা সুপার বাইকের থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এসেছিল। প্রিমিয়াম ফিচারের স্বাদ পাওয়া যায় এতে। গাড়িটিতে রয়েছে ক্লাইমেট কন্ট্রোল, এয়ারব্যাগ এবং এবিএস। আন্তর্জাতিক বাজারেও গাড়িটির পেট্রোল ও ডিজেল ভার্সনের বিপুল জনপ্রিয়তা রয়েছে। সারা বিশ্বে এই গাড়ির ৬৫ লাখ ব্যবহারকারী রয়েছে।
চতুর্থ প্রজন্মের মারুতি সুজুকি সুইফট
ফোর্থ জেনারেশন সুইফটে রয়েছে ব্র্যান্ড নিউ ১.২ লিটার থ্রি সিলিন্ডার ইঞ্জিন। এটি থেকে উৎপন্ন হয় ৮০ বিএইচপি শক্তি এবং ১১১.৭ এনএম টর্ক। মডেলটি ৫-স্পিড ম্যানুয়াল এবং এএমটি বিকল্পে বেছে নেওয়া যায়। কোম্পানির দাবি এই নতুন ইঞ্জিন এক লিটার পেট্রোলে ২৪.৮ কিলোমিটার পথ চলতে সক্ষম। গাড়িটিতে রয়েছে ৬টি এয়ারব্যাগ, ইএসপি, হিল হোল্ড অ্যাসিস্ট সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ ফিচার্স।