ভারতে বানানো বৈদ্যুতিক গাড়ি রপ্তানি হবে বিশ্বজুড়ে, মেক-ইন-ইন্ডিয়া প্রকল্পে মারুতির বিরাট প্ল্যান
বিদেশি মুদ্রা আমদানির মাধ্যমে ভারতের লক্ষীলাভের পথ ক্রমশই প্রশস্ত হচ্ছে। ভারত থেকে নানাবিধ যানবাহনের রপ্তানি বাড়ার জন্য...বিদেশি মুদ্রা আমদানির মাধ্যমে ভারতের লক্ষীলাভের পথ ক্রমশই প্রশস্ত হচ্ছে। ভারত থেকে নানাবিধ যানবাহনের রপ্তানি বাড়ার জন্য এটি সম্ভব হচ্ছে। আর কোম্পানিগুলির মধ্যে এই প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বাজারে বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদায় জোয়ার আসার পর থেকে বিদেশে রপ্তানি তাৎপর্যপূর্ণ হারে বাড়তে দেখা যাচ্ছে। যে ক্ষেত্রে এবারে বিশেষ পদক্ষেপ নিতে চলেছে মারুতি সুজুকি (Maruti Suzuki)। নিক্কেই (Nikkei)-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৫ থেকে ভারতে তৈরি ইলেকট্রিক গাড়ি জাপান ও ইউরোপের বাজারে সরবরাহ করার পরিকল্পনা নিচ্ছে দেশের বৃহত্তম গাড়ি নির্মাতা।
ভারতকে বিশ্বের মধ্যে ইলেকট্রিক গাড়ির ‘ম্যানুফ্যাকচারিং হাব’ হিসেবে গড়ে তুলতেই এই পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে মারুতি সুজুকি। রিপোর্টে এও দাবি করা হয়, Alto-র নির্মাতা মারুতি সুজুকি ও টয়োটা অংশীদারিত্বের আওতায় তারা এদেশে তৈরি ব্যাটারি চালিত গাড়ির প্রযুক্তি জাপানি সংস্থার সাথে ভাগ করে নেওয়া হবে।
এবছর দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হওয়া অটো এক্সপো ২০২৩-এ মারুতি সুজুকি তাদের eVX কনসেপ্ট মডেলের উপর থেকে পর্দা সরিয়েছিল। সংস্থার প্রথম ইলেকট্রিক এসইউভি মডেলটি আত্মপ্রকাশ করেই অসংখ্য মানুষের হৃদয় জিতে নিয়েছে। এটি টয়োটা ও মারুতি সুজুকি, যৌথভাবে তৈরি করেছে। গাড়িটি তৈরি হয়েছে 40PL স্কেটবোর্ড আর্কিটেকচারের উপর। যা ভারত এবং বিদেশের বাজারে হাজির করা হবে বলে ইতিমধ্যেই জানিয়েছে কোম্পানি।
মারুতির এই ইলেকট্রিক গাড়িতে দেওয়া হয়েছে একটি ৬০ কিলোওয়াট আওয়ার ব্যাটারি প্যাক এবং এর এন্ট্রি-লেভেল মডেলে থাকবে ৪৮ কিলোওয়াট আওয়ার ব্যাটারি। সম্পূর্ণ চার্জে ৫০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে পারবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে eVX। ২০২৫-এর মধ্যে জাপান এবং ইউরোপে রপ্তানি হতে চলা গাড়িটির উৎপাদন বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছে সুজুকি মোটর কর্পোরেশন। ২০২৪-এর শেষ থেকেই ভারতে গাড়িটির উৎপাদন শুরু করা হবে।
রিপোর্টে আরও দাবি করা হয়, ভারতে তৈরি ইলেকট্রিক গাড়ি টয়োটা-কে সরবরাহ করবে মারুতি সুজুকি। টয়োটা সেটি নিজের ব্র্যান্ডনেম ব্যবহার করে বিক্রি করবে। ইন্দো-জাপানি সংস্থাটি ভারতকে তাদের প্রথম উৎপাদনের তালুক হিসেবে বেছে নিয়েছে। যার অন্যতম কারণ এদেশের সম্ভাবনাময় বাজার।