Maruti WagonR এর ইলেকট্রিক ভার্সনের উপর কাজ চলছে জোরকদমে, মারুতির প্রথম বৈদ্যুতিক গাড়ি কি এটাই?
ভারতের বৃহত্তম যাত্রীবাহী গাড়ি প্রস্তুতকারী কোম্পানি মারুতি সুজুকি (Maruti Suzuki)-র প্রথম ইলেকট্রিক গাড়িকে ঘিরে...ভারতের বৃহত্তম যাত্রীবাহী গাড়ি প্রস্তুতকারী কোম্পানি মারুতি সুজুকি (Maruti Suzuki)-র প্রথম ইলেকট্রিক গাড়িকে ঘিরে দীর্ঘদিন ধরেই নানা মুনির নানা মত শোনা যাচ্ছে। যদিও সংস্থার তরফে আগেই জানানো হয়েছিল যে, ২০২৫-এর মধ্যে তারা বাজারে বৈদ্যুতিক গাড়ি আনবে। সেই প্রস্তুতি যে ইতিমধ্যেই ঘটা সহযোগে আরম্ভ হয়ে গিয়েছে, এবারে তার আভাস দিন ইন্দো-জাপানি সংস্থাটি। তাদের জনপ্রিয় হ্যাচব্যাক Wagon মডেলকে রাস্তায় দেখা গিয়েছে। মানেসর টোল প্লাজার কাছে গাড়িটির দর্শন পাওয়া যায়। যদিও এই প্রথমবার নয়, ২০১৯-এর পর থেকে একাধিকবার দেশের রাস্তায় ধরা দিয়েছে Maruti Suzuki WagonR EV। তবে এবার প্রায় এক বছর পর চোখে পড়লো গাড়িটি।
এবারে Maruti WagonR EV-র দেহে কোনোরকম আবরণ ছাড়াই দেখা গিয়েছে। ডিজাইনের দিক থেকে এটি প্রথাগত জ্বালানির হুবহু মডেল। অর্থাৎ ইন্টারনাল কম্বাশন ইঞ্জিনের জায়গায় ইলেকট্রিক মোটর ছাড়া পরিবর্তন ছাড়া তেমন কোনো পার্থক্য থাকছে না। তবুও কিছু আপডেট নজরে পড়বে। যেমন সামনে নয়া ডিজাইনের গ্রিল, হেডল্যাম্প। আবার সামনে ও পেছনের বাম্পারে সামান্য পরিবর্তন থাকছে। বাতাস প্রবেশের জন্য জায়গা ছোট করা হয়েছে ও ফগ ল্যাম্প রয়েছে।
নতুন ওয়াগনআর ইলেকট্রিকের কেবিনের ফিচার এখনও রহস্যাবৃত রয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে সামান্য পরিবর্তনের সাথে ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, ভিন্ন গিয়ার সিলেক্টর, নতুন এয়ার কন্ডিশন কন্ট্রোল এবং ভার্টিকালি স্ট্যাক্ট এসি ভেন্টস সহ আসবে। কেবিন লেআউট সহ বিভিন্ন ফিচার আইসিই মডেলের সাথেই সমান থাকবে।
ইলেকট্রিক গাড়িটির পাওয়ারট্রেন সম্পর্কে এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়। যদিও রিপোর্টে দারি করা হয়েছে মারুতি ওয়াগনআর ইলেকট্রিক একটি ৭২ ভোল্ট ইলেকট্রিক ড্রাইভ এবং ১০.২৫ কিলোওয়াট আওয়ার লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি প্যাক সহ অফার করা হতে পারে। পুরোপুরি চার্জে গাড়িটির রেঞ্জ প্রায় ১৮০ কিমি হতে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে।
যদিও এখনও পর্যন্ত সংস্থার তরফে নিশ্চিত করা হয়নি গাড়িটি আদৌ ভারতে লঞ্চ করা হবে কিনা। সংস্থার গুজরাতের কারখানায় এ দেশের জন্য বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি করবে মারুতি সুজুকি। আবার হরিয়ানার সোনিপাতের খরখোদাতে দুটি নতুন কারখানা তৈরি পরিকল্পনা করছে তারা। এজন্য প্রথমে ১১,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে বলে জানা গেছে। ২০২৫ ও ২০২৬-এ কারখানা দুটির উদ্বোধন করা হবে। আসন্ন বৈদ্যুতিক গাড়ির সম্পর্কে সংস্থা জানিয়েছে, তাদের মডেলের দাম ১০ লাখ টাকা ছাপিয়ে যেতে পারে।