কম তেলে চলে বেশি, প্রতিদিন ব্যবহারের উপযুক্ত Maruti থেকে Tata-র এই পাঁচ গাড়ি
বর্তমানে ভারতে এসইউভি গাড়ির রমরমা মাথা চাড়া দিয়েছে। বহু মানুষ বেশি স্পেস ও ফিচার দেখে এর প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন। কিন্তু...বর্তমানে ভারতে এসইউভি গাড়ির রমরমা মাথা চাড়া দিয়েছে। বহু মানুষ বেশি স্পেস ও ফিচার দেখে এর প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন। কিন্তু যদি প্রত্যহ গাড়ি নিয়ে বেরোতে হয়, সেক্ষেত্রে একটি হ্যাচব্যাক মডেলের জবাব নেই। কারণ এর মাইলেজ, যা এসইউভি গাড়িকেও হার মানায়। আবার আকারে ছোট হওয়ায় অল্প জায়গায় পার্ক করতেও সুবিধা। এছাড়া কম খরচে রক্ষণাবেক্ষণ তো রয়েছেই। এই প্রতিবেদনে দেশের সেরা মাইলেজের ৫টি এন্ট্রি-লেভেল হ্যাচব্যাক গাড়ির সন্ধান রইল, যেগুলির দাম কম হওয়ার জন্য বেশি মানুষ কিনে থাকেন।
Maruti Suzuki Celerio
সবচেয়ে বেশি মাইলেজের কারণে তালিকার প্রথম স্থানে রয়েছে Maruti Celerio। এক লিটার পেট্রোলে গাড়িটি ২৬.২ কিমি পথ চলতে পারে। এছাড়া কম্প্যাক্ট সাইজ, অটোমেটিক গিয়ারবক্স, সিএনজি ভার্সন উপলব্ধ থাকার জন্য এর চাহিদা চোখে পড়ার মতো। Celerio-তে উপস্থিত ১.০ লিটার পেট্রোল ইঞ্জিন থেকে ৬৬ বিএইচপি শক্তি উৎপন্ন হয়। গাড়িটির দাম ৫.২৩ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম)।
Maruti Suzuki S-Presso
যেই সকল গ্রাহক এন্ট্রি-লেভেল হ্যাচব্যাক গাড়িতে এসইউভি স্বাদ পেতে চান, তাদের জন্য Maruti S-Presso সেরা প্রমাণিত হতে পারে। এক লিটার পেট্রলে গাড়িটির মাইলেজ ২৪.১ কিমি। হ্যাচব্যাক গোত্রীয় হওয়া সত্ত্বেও এসইউভির মতো এতে আপরাইট সিটিং পজিশন এবং বক্সি এক্সটেরিয়ার অফার করা হয়। এতে উপস্থিত নতুন K-সিরিজ ১.০ লিটার ইঞ্জিন। ম্যানুয়াল এবং অটোমেটিক উভয় গিয়ারবক্স বিকল্পে কেনা যায় গাড়িটি। এর দাম ৪.২৫ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম)।
Maruti Suzuki Alto
বিগত দুই দশক ধরে আপনি তাদের মন জুগিয়ে এসেছে এন্ট্রি লেভেল Maruti Alto। এক সময় দেশের সর্বাধিক বিক্রিত মডেল ছিল এটি। আবার সম্প্রতি Alto K10 নয়া ভার্সনে লঞ্চ হয়েছে। অল্টোর মাইলেজ প্রতি লিটারে ২২ কিমি। ৮০০ সিসি ও ১.০ লিটার এই দুই ইঞ্জিন বিকল্পে বেছে নেওয়া যায় গাড়িটি। মডেল দুটির দাম যথাক্রমে ৩.৩৯ লক্ষ ও ৩.৯৯ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম) থেকে শুরু।
Renault Kwid
ফরাসি সংস্থার এন্ট্রি লেভেল Renault Kwid-এর ভারতের বাজারে যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। দেখতে যেমন স্টাইলিশ, আবার মাইলেজের দিক থেকেও গ্রাহকদের সন্তুষ্টি দেয়। ১ লিটার পেট্রলে গাড়িটি ২০.৭ কিমি পথ অতিক্রম করতে সক্ষম। Maruti Suzuki Alto-র মতো এটিও ৮০০ সিসি ও ১.০ লিটার ইঞ্জিনের বিকল্পে কেনা যায়। আবার ম্যানুয়াল এবং অটোমেটিক, উভয় গিয়ারবক্স উপলব্ধ এতে। Renault Kwid-এর দাম ৪.৬৪ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম)।
Tata Tiago
ভারতের প্রথম দশটি সর্বাধিক সুরক্ষিত গাড়ির তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে Tata Tiago। সুপার বিল্ট কোয়ালিটির গাড়িটি এক লিটার জ্বালানিতে ২০ কিমি পথ চলতে পারে। দামের দিক থেকে উপরে উক্ত সকল গাড়ি থেকে ওপরে এটি। কিন্তু ৫.৩৯ লক্ষ টাকার (এক্স-শোরুম) মডেলটি টাটার এন্ট্রি লেভেল হ্যাচব্যাক মডেল। এর ইঞ্জিনও বাকিদের থেকে শক্তিশালী। ১.২ লিটার পেট্রল ইঞ্জিন থেকে পাওয়া যায় ৮৫ বিএইচপি শক্তি। আবার গাড়িটি সিএনজি ভ্যারিয়েন্ট এবং ম্যানুয়াল ও অটোমেটিক গিয়ারবক্সের বিকল্পে কেনা যায়।