Maruti Suzuki: মারুতির দারুণ উদ্যোগ, মাঠে চাষ করা খাদ্যশস্য থেকে প্রাপ্ত তেলে চলবে গাড়ি
পরিবেশবান্ধব জ্বালানির মধ্যে অন্যতম একটি হল ফ্লেক্স-ফুয়েল। যা পেট্রোল ও খাদ্যশস্য থেকে প্রাপ্ত ইথানলের মিশ্রণের মাধ্যমে...পরিবেশবান্ধব জ্বালানির মধ্যে অন্যতম একটি হল ফ্লেক্স-ফুয়েল। যা পেট্রোল ও খাদ্যশস্য থেকে প্রাপ্ত ইথানলের মিশ্রণের মাধ্যমে তৈরি করা হয়। এবার এই ধরনের জ্বালানি চালিত গাড়ির লঞ্চ নিশ্চিত করেছে দেশের বৃহত্তম যাত্রীবাহী গাড়ি নির্মাতা মারুতি সুজুকি (Maruti Suzuki)। সংস্থাটি তাদের WagonR হ্যাচব্যাকের ফ্লেক্স-ফুয়েল ভার্সন বাজারে আনবে বলে জানিয়েছে।মারুতির দাবি, গাড়িটি কারখানা থেকে বেরোনোর জন্য প্রস্তুত হলেও এখনই বাণিজ্যিকভাবে ভাবে উৎপাদন শুরুর পক্ষে নয়। কারণ দেশের সর্বত্র ফ্লেক্স-ফুয়েল এখনও সহজলভ্য হয়ে উঠতে পারেনি। তাই ২০২৫ সালের মধ্যে তাদের প্রথম ফ্লেক্স-ফুয়েল গাড়ি বাজারে আনার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে মারুতি সুজুকি।
Maruti WagonR Flex-Fuel লঞ্চ হবে 2025 সালে
ডিসেম্বরে প্রকাশ্যে আসার পর জানুয়ারিতে দিল্লির অটো-এক্সপোতে প্রদর্শিত হয়েছে এই গাড়ি। জাপানের সুজুকি মোটর কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে মারুতি সুজুকির নিজস্ব প্রকৌশলীরা মিলে ফ্লেক্স-ফুয়েল চালিত WagonR হ্যাচব্যাকের ডিজাইন ও ডেভেলপভেন্ট করেছেন। এটি ভারতের প্রথম গণ ব্যবহারের উপযুক্ত ফ্লেক্স-ফুয়েল ভেহিকেল হতে চলেছে। যেটি E20 (২০% ইথানল ও ৮০% পেট্রোল) থেকে E85 (৮৫% ইথানল ও ১৫% পেট্রোল) জ্বালানিতে চলতে সক্ষম।
জানা গিয়েছে, ২০২৫-এ ফ্লেক্স-ফুয়েল ওয়াগনআর এর গণ উৎপাদনে হাত লাগাবে মারুতি সুজুকি। এই জাতীয় জ্বালানিতে গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে পেট্রোল ইঞ্জিনে কিছু পরিবর্তন ঘটাতে হচ্ছে তাদের। যেমন ফ্লেক্স সিস্টেম টেকনোলজিতে ইথানলের শতকরা হার বোঝার জন্য ইথানল সেন্সর ব্যবহার করা হচ্ছে।
নতুন ইঞ্জিন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে রয়েছে ফুয়েল ইনজেক্টার এবং ফুয়েল পাম্প। এটি BS6 Phase2 নির্গমন বিধি পালন করে তৈরি হয়েছে। গাড়িটি যখন E85 জ্বালানিতে চলতে, তখন ইঞ্জিন থেকে কার্বন নিঃসরণ ৭৯% কমবে বলে দাবি করেছে মারুতি সুজুকি। সংস্থার বক্তব্য, এতে গাড়ির শক্তি এবং পারফরম্যান্সে কোনওরকম তারতম্য ধরা পড়বে না।
ফ্লেক্স-ফুয়েল চালিত WagonR-এর বহিরঙ্গে কিছু নতুন গ্রাফিক্সের দেখা মিলবে। বডি জুড়ে থাকবে সবুজের রঙের কারুকার্য। ভেতরে থাকতে পারে ব্ল্যাক এবং বেজের ডুয়েল টোন ফিনিশিং। ফিচার হিসাবে থাকতে পারে কন্ট্রোল সমেত থ্রি-স্পোক স্টিয়ারিং হুইল, স্মার্টফোন কানেক্টিভিটি সহ ৭-ইঞ্চি টাচস্ক্রিন ইনফোটেনমেন্ট সিস্টেম, কিলেস এন্ট্রি সমেত সেন্ট্রাল লকিং, ডুয়েল এয়ারব্যাগ, ইবিডি সহ এবিএস, রিয়ার পার্কিং সেন্সর, সেন্ট্রাল লকিং ইত্যাদি।