Best Selling Electric Car in October

দাদাগিরি শেষ! লঞ্চের ১ মাস পরেই টাটাকে হারিয়ে বেস্ট সেলার এই নতুন বৈদ্যুতিক গাড়ি

Best Selling Electric Car in October - বাজারে আসার একমাসের মধ্যে ঝড় তুলল এমজি’র নতুন ইলেকট্রিক গাড়ি। টাটা-মাহিন্দ্রাদের ছুঁড়ে দিল কঠিন চ্যালেঞ্জ।

Suvrodeep Chakraborty 4 Nov 2024 12:43 PM IST

থমকে থাকা ইলেকট্রিক গাড়ির বাজারে নতুন চমক জেএসডাব্লিউ এমজি মোটরের উইন্ডসর ইভি। লঞ্চ হওয়ার প্রথম মাসেই হিট এই চার চাকা। এক মাসে কোম্পানির সবথেকে বেশি বিক্রি হওয়া ইভির তকমা পেল উইন্ডসর। অক্টোবরে এই গাড়ির ৩,১১৬টি ইউনিট বিক্রি করেছে এমজি। এমনকি টাটাকে হারিয়ে বর্তমানে এটি দেশের সবথেকে বেশি বিক্রিত যাত্রীবাহী ইলেকট্রিক গাড়ি।

ব্যাটারি চালিত চার চাকার বাজারে টাটা-মাহিন্দ্রাদের কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিল এমজি। উৎসবের মরশুমে অনেকেই নতুন গাড়ি কেনেন। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দাপিয়ে বেড়াল এমজির নতুন চার চাকা। একনজরে দেখুন বিক্রির পরিসংখ্যান।

কত বিক্রি হল?

এমজির পক্ষ থেকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরে ৭০৪৫টি গাড়ি বিক্রি করেছে তারা। এর মধ্যে উইন্ডসর বিক্রি হয়েছে ৩,১১৬টি। যা কোম্পানির ইতিহাসে একমাসে সবথেকে বেশি। মোট গাড়ির বিক্রি বেড়েছে ৩১ শতাংশ। ঠিক একবছর আগে ২০২৩ এর অক্টোবরে বিক্রির সংখ্যাটা ছিল ৫,১০৮।

তফাৎ গড়ে দিল ইলেকট্রিক গাড়ি

এমজির মোট বিক্রির মধ্যে ৭০ শতাংশ ইলেকট্রিক গাড়ি। বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী যা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। পেট্রল-ডিজেল চালিত গাড়ির বিক্রি থমকে গেলেও, ঊর্ধ্বমুখী ইলেকট্রিক গাড়ির বিক্রিবাটা। যার মুখ্য উদাহরণ উইন্ডসর ইভির সেলস রিপোর্ট। জানলে অবাক হবেন, গাড়ির বুকিং চালু করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৫ হাজার বুকিং পায় কোম্পানি। এটি কোম্পানির প্রথম ইলেকট্রিক গাড়ি যেখানে ব্যাটারি অ্যাস সার্ভিস রেন্টাল প্রোগ্রামের সুবিধা রাখা হয়েছে।

এমজি উইন্ডসর রেঞ্জ, স্পেসিফিকেশন ও দাম

গাড়িতে রয়েছে ৩৮ কিলোওয়াট আওয়ার ব্যাটারি প্যাক। সর্বাধিক রেঞ্জ ফুল চার্জে ৩৩২ কিলোমিটার। চার্জ হতে সময় লাগে ৬.৫ ঘণ্টা। গাড়ির ব্যাটারি ও ইলেকট্রিক মোটর সর্বোচ্চ ১৩৪ হর্সপাওয়ার এবং ২০০ এনএম টর্ক তৈরি করতে পারে। ভারতে গাড়িটির এক্স-শোরুম দাম রাখা হয়েছে ১০ লাখ টাকা থেকে ১৩.৫০ লাখ টাকা। ভারতের বাজারে টাটা কার্ভ ইভি, টাটা নেক্সন ইভি এবং মাহিন্দ্রার এক্সইউভি৪০০-এর সঙ্গে গাড়িটির প্রতিযোগিতা চলে।

Show Full Article
Next Story