১৯৬৯-এ প্রথম মানুষের পায়ের ছাপ পড়েছিল চাঁদের বুকে। হেঁটেছিলেন তিন মার্কিন মহাকাশচারী। পাঁচ দশক পর ফের চন্দ্রাভিযানের উদ্যোগ নিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা (NASA)। তাদের লক্ষ্য, ২০২৫ সালের মধ্যে চাঁদে ফের মানুষ পাঠানো। তবে মহাকাশচারীরা নাসার মহাকাশযানে চেপে চাঁদে পাড়ি দিলেও, তাঁদের লঞ্চ প্যাডে পৌঁছে দেওয়ার বিশেষ গাড়িটি আউটসোর্সিংয়ের পথে হাঁটছে নাসা। ২০১৭ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রতিষ্ঠিত ক্যানু (Canoo) নামে একটি স্টার্টআপকে সেই গাড়ি তৈরির দায়িত্ব দিয়েছে তারা।
নাসা বলেছে, তাদের এমন স্ট্রিট লিগাল ভেহিকেল প্রয়োজন, যার মধ্যে স্পেস স্যুট পরিহিত চারজন, তিনজন অতিরিক্ত যাত্রী এবং এক ড্রাইভার ধরে যাবে। আবার কার্গোর জন্য আলাদা জায়গা, প্রত্যেকের জন্য দুই কিউবিট ফুট স্পেস, ঢোকা ও বেড়োনোর জন্য দু’টো বড় দরজা থাকা আবশ্যিক বলে জানানো হয়েছে।
সবচেয়ে বড় কথা, ভেহিকেলটি এমিশন ফ্রি হতে হবে। অর্থাৎ কোনও ক্ষতিকর গ্যাস নির্গমন হতে দেওয়া চলবে না। সেটি বিদ্যুৎ বা হাইব্রিড ব্যবস্থায় চালাতে হবে আর এখানেই মুশকিল আসান করতে নেমেছে ক্যানু। নাসার কনট্রাক্টে বলা হয়েছে, গাড়ির রেঞ্জ নূন্যতম ৮০.৫ কিলোমিটার হতে হবে। ইলেকট্রিক ভেহিকেল নির্মাণে ক্যানুর দক্ষতা তাঁদেরকে মহাকাশচারী পরিবহনের উপযুক্ত প্রার্থী করে তুলেছে।
ক্যানু এ কাজে খুব সম্ভবত তাদের মিনিভ্যানকে ব্যবহার করবে। যার রেঞ্জ ৪০০ কিমি এবং পাওয়ার ৩৩০ বিএইচপি। ভেহিকেলটি ২০২৩-এর জুনের মধ্যে প্রস্তুত করে নাসার হাতে তুলে দিতে হবে। অর্থাৎ আর এক বছরের অপেক্ষা।