Flex-Fuel Car: কমবে গাড়ি চালানোর খরচ, বাধ্যতামূলক হচ্ছে ফ্লেক্স ইঞ্জিন, শীঘ্রই নির্দেশ জারি
অনেকদিন ধরেই বিকল্প জ্বালানির পক্ষে সওয়াল করছেন সড়ক পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গডকড়ী (Nitin Gadkari)। আর আজ তাঁর বার্তা,...অনেকদিন ধরেই বিকল্প জ্বালানির পক্ষে সওয়াল করছেন সড়ক পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গডকড়ী (Nitin Gadkari)। আর আজ তাঁর বার্তা, পুরোপুরি বায়ো-ফুয়েল বা জৈব জ্বালানিতে চলতে পারে এমন ফ্লেক্স ইঞ্জিন (পেট্রোল + ইথানল) চালিত গাড়ি আনার জন্য শীঘ্রই সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দেবেন তিনি।
প্রতিটি ইন্টারনাল কম্বাশন ইঞ্জিন বা আইসিই গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থার জন্য এই নির্দেশ বাধ্যতামূলক হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। প্রথমে বিএমডব্লিউ-র কাছে নির্দেশ পৌঁছবে। তার পর একে একে অন্যান্য সংস্থার কাছে। Flex Engine-কে পরিবেশবান্ধব হিসেবেই ধরা হয়। ফলে সরকারের লক্ষ্য দূষণের পাশাপাশি তেল আমদানির খরচ ছেঁটে রাজকোষের চাপ কমানো।
প্রসঙ্গত, লিটার প্রতি পেট্রোল কিনতে এখন ১০০ টাকা কাছাকাছি ও ডিজেল কিনতে ৯০ টাকার উপরে খরচ হচ্ছে আমজনতার। সেখানে বায়ো-ইথানলের দাম লিটার প্রতি ৬৫ টাকা। ফলে বায়ো-ফুয়েল বা জৈব জ্বালানিতে গাড়ি চালাতে পারলে সুরাহা হবে গাড়ি মালিকদের। তা ছাড়া দেশে আখ, ধান, ভুট্টা, চিনির উৎপাদন ব্যাপক ভাবে হওয়ায় জৈব জ্বালানি সহজেই উৎপাদন করা যাবে।
প্রসঙ্গত, ব্রাজিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, এবং সুইডেনের ফ্লেক্স ফুয়েল ইঞ্জিন চালিত গাড়ির চল রয়েছে। ব্রাজিলের ৫০ শতাংশের বেশি গাড়ি ফ্লেক্স ফুয়েলে চলে। এই দেশগুলিতে গাড়ি ব্যবহারকারীরা ১০০ শতাংশ গ্যাসোলিন (পেট্রল) বা ১০০ শতাংশ বায়ো-ইথানল ব্যবহার করতে পারেন। তবে ভারতে বর্তমানে পেট্রোলে ৮.৫ শতাংশ ইথানল মেশানো যায়। আগামী বছরে অবশ্য সেটা ১০ শতাংশ এবং ২০২৫ সালের মধ্যে ২০ শতাংশ করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।