Indian EV Market: তেলের ঝাঁঝালো দামের কারনে ভারতে বিক্রি হওয়া মোট গাড়ির ৩০% হবে বৈদ্যুতিক, বলছে সমীক্ষা

গতকালের পর আজ বুধবার ফের মাথা চাড়া দিল পেট্রল-ডিজেলের দাম। কলকাতায় প্রতি লিটার পেট্রল ৮৩ পয়সা বেড়ে হয়েছে ১০৬.৩৪ টাকা। ডিজেলের দর ৮০ পয়সা বেড়ে…

গতকালের পর আজ বুধবার ফের মাথা চাড়া দিল পেট্রল-ডিজেলের দাম। কলকাতায় প্রতি লিটার পেট্রল ৮৩ পয়সা বেড়ে হয়েছে ১০৬.৩৪ টাকা। ডিজেলের দর ৮০ পয়সা বেড়ে পৌঁছেছে ৯১.৪২ টাকায়। প্রশ্ন উঠছে তবে কি বিকল্প জ্বালানিই আগামী দিনের পরিবহণের মূল কান্ডারি হতে চলেছে? এই প্রশ্নের হ্যাঁ সূচক উত্তর এসেছে কাউন্সিল অন এনার্জি, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ওয়াটার (CEEW)-এর  সমীক্ষায়। যেখানে দেখা গেছে ভারতে যে হারে পেট্রোপণ্যের মূল্য ঝাঁঝালো হচ্ছে, তাতে বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রিতে জোয়ার আসতে পারে। এমনকি উক্ত সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, যে ২০৩০-এর মধ্যে ভারতে বিক্রিত গাড়ির ৩০ শতাংশ বৈদ্যুতিক হওয়া উচিত ।

সমীক্ষার রিপোর্ট যদি সত্যি হয়, তবে ভারতে জ্বালানি তেলের ব্যবহার যে সঙ্কুচিত হবে তা বলাই বাহুল্য। ফলে এর আমদানিও করতে হবে কম। এতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। বর্তমানে রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে সামরিক সংঘাতের ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম ১০০ ডলার পেরিয়ে গিয়েছে। সে কারণে তেল বিপণন সংস্থাগুলিও পেট্রল-ডিজেলের দাম মহার্ঘ করার কথা ঘোষণা করতে বাধ্য হচ্ছে। এর ফলে পরিবহণ ক্ষেত্রটিও অধিক ব্যয়বহুল হতে চলেছে। পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী এবং খাদ্যপণ্যের দামেও যে আগুন লাগবে তা যথেষ্টই টের পাচ্ছেন আমজনতা।

পেট্রোপণ্যের এই বেলাগাম মূল্যবৃদ্ধি দেশের মানুষকে ব্যাটারি চালিত যানবাহনের দিকে নজর ফেরাতে বাধ্য করছে। জ্বালানির খরচ নগণ্য হওয়া ছাড়াও ইলেকট্রিক ভেহিকেলের অপর একটি সুবিধা হল একটি আইসিই (ইন্টার্নাল কম্বাশন ইঞ্জিনে) গাড়ির তুলনায় এর রক্ষণাবেক্ষণের ব্যয় কম। বর্তমানে দেশের প্রয়োজনীয় জ্বালানি তেলের ৮৫ শতাংশই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। দেশের বেশিরভাগ আমজনতা বিদ্যুৎ চালিত গাড়ির দিকে ঝুঁকলে এর আমদানির পরিমাণ স্বভাবতই কমবে।

সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, বৈদ্যুতিক যানবাহনের বিক্রিবাটা বাড়লে তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়বে ইলেকট্রিক মোটর, ব্যাটারি এবং চার্জারের বিক্রিবাটা। এর পরিমাণ পৌছাতে পারে প্রায় ২ লক্ষ কোটিতে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের ফেম ২ (FAME II) প্রকল্পের কারণে বৈদ্যুতিক গাড়ি অনেকটাই সস্তায় কিনতে পারছেন মানুষ। এছাড়াও বিভিন্ন রাজ্য সরকার ‘আর্থিক সুযোগ-সুবিধা’ চালু করেছে যাতে আরও বেশি পরিমাণে মানুষ বৈদ্যুতিক গাড়ি কিনতে আগ্রহী হন।

WhatsApp Follow Button

লেটেস্ট খবর পড়তে হোয়াটসঅ্যাপে

WhatsApp Logo যুক্ত হোন