বাম্পারে উঠতেই চাকা ভেঙে টায়ার বেরিয়ে এল, Ola S1 Pro নিয়ে ফের ভোগান্তি
একদিকে পৌষ মাস, তো আপরদিকে সর্বনাশ! সাফল্যের চূড়ায় অবতরণ করলেও, ওলা ইলেকট্রিক (Ola Electric)-এর প্রতি গ্রাহকদের খেদের...একদিকে পৌষ মাস, তো আপরদিকে সর্বনাশ! সাফল্যের চূড়ায় অবতরণ করলেও, ওলা ইলেকট্রিক (Ola Electric)-এর প্রতি গ্রাহকদের খেদের তালিকাও পাহাড় সমান হচ্ছে। কখনও সামনের চাকা সাসপেনশন থেকে ভেঙে বেরিয়ে আসা, তো কখনও পিছন পানে তীব্র গতিতে ছুটতে আরম্ভ করা। এছাড়া স্কুটারে আগুন ধরে যাওয়ার বদনাম তো রয়েছেই। সবমিলিয়ে শিরে সংক্রান্তি চলছে ওলার। তাতে এবার নতুন করে যোগ হল আরও এক ক্রেতার গুরুতর অভিযোগ। এবারের অভিযোগও Ola S1 Pro-কে ঘিরেই। চলতে চলতে ফের সামনের সাসপেনশন ভাঙল। ফলে ওলার ইলেকট্রিক স্কুটারে ব্যবহৃত উপাদানের গুণগত মান বারংবার কাঠগড়ায় উঠছে।
প্রিয়াঙ্ক ভরদ্বাজ নামে পেশায় উকিল এক ব্যক্তি তাঁর কালো রঙের S1 Pro ই-স্কুটারের সামনের সাসপেনশন ও ভাঙা চাকার দু'টি ছবি টুইটারে শেয়ার করেছেন। প্রিয়াঙ্কের অভিযোগ, "বাম্পারের উপর ওঠা মাত্রই সামনের ফর্ক ভেঙে চাকা থেকে টায়ার খুলে বেরিয়ে আসে।” এতে তাঁর কোনো আঘাত না লাগলেও স্কুটারটির প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিনি ওলা ইলেকট্রিককে শীঘ্রই সেটি মেরামত করে দেওয়ার জন্য আর্জি জানিয়েছেন।
প্রিয়াঙ্কের টুইট ওলা ইলেকট্রিকের বিরুদ্ধে নেটিজেনদের মন্তব্যের ঝড় ওঠে। যেখানে প্রস্তুতকারী সংস্থাটিও মন্তব্য করে। " আমরা আপনার সাথে খুব শীঘ্রই ফোনে যোগাযোগ করতে চলেছি”, বলে লেখে ওলা। সংস্থার অসংখ্য গ্রাহক স্কুটারের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন তোলে সেখানে। কেউ কেউ দাবি করেন অত্যন্ত খারাপ মানের উপাদান দিয়ে তৈরি হয়েছে ওলা এস১ প্রো। আবার কারোর অভিযোগ, সমস্যায় পড়লে অনেক দেরি করে উত্তর দেয় সংস্থা।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে শ্রীনাধ মেনন নামে এক ব্যক্তি টুইটারে ওলার স্কুটার চলতে চলতে হঠাৎ সামনের সাসপেনশন ভেঙে চাকা বেরিয়ে আসার ছবি সামাজিক গণমাধ্যমে শেয়ার করেন। সেখানে তিনি এটি অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং বিপদজনক ঘটনা বলে অভিহিত করেন। সংস্থাটিকে যা খতিয়ে দেখার জন্য আর্জি জানান তিনি। সেখানেও একাধিক গ্রাহক তাদের সাথে এই একই ঘটনা ঘটেছে বলে মন্তব্য করেন। ফলত বারবার ওলার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের আঙুল আগামীতে গ্রাহকদের ই-স্কুটার কিনতে অনুৎসাহী করে তুলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।