Ola-র শাখা সংস্থা Ola Electric (ওলা ইলেকট্রিক )বৈদ্যুতিক গাড়ির ওপর বেশ বড় বাজি ধরেই ময়দানে নেমেছে৷ দু’হাজার চারশো কোটি টাকা লগ্নি করে ওলা তামিলনাড়ুতে বিশ্বের বৃহত্তম ইলেকট্রিক টু-হুইলার কারখানা গড়ে তুলছে। তবে এখানেই শেষ নয়, এবার OLA তার ইলেকট্রিক গাড়ির জন্য নতুন চার্জিং পরিকাঠামো গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করলো, যার পোশাকি নাম Hypercharger Network (হাইপারচার্জার নেটওয়ার্ক)৷ ওলার দাবি, হাইপারচার্জার নেটওয়ার্ককে তারা বিশ্বের বৃহত্তম ইলেকট্রিক টু-হুইলার চার্জিং নেটওয়ার্ক হিসেবে গড়ে তুলবে, এবং আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশের চারশোটি শহরে এক লক্ষেরও বেশি এরকম চার্জিং পয়েন্ট থাকবে।
ওলার প্রথম ইলেকট্রিক স্কুটার খুব সম্ভবত জুনেই মধ্যেই বাজারে পা রাখছে। হাইপারচার্জার নেটওয়ার্কের পরিকল্পনা সেই দিকেই এক বড় পদক্ষেপ। ওলার আপকামিং ইলেকট্রিক টু-হুইলারগুলি এই চার্জিং পরিচাঠামো ব্যবহার করতে পারবে। বর্তমান অর্থবর্ষে একশোটি শহরে পাঁচ হাজার চার্জিং পয়েন্ট ইনস্টল হবে বলে OLA জানিয়েছে। যার মধ্যে কয়েকশত চার্জিং পয়েন্ট ওলার প্রথম ই-স্কুটার লঞ্চের আগেই বসানো হবে।
ওলার আপকামিং ই-স্কুটার কোম্পানির চার্জিং নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে মাত্র ১৮ মিনিটেই ৫০ শতাংশ চার্জ হয়ে যাবে বলে দাবি করা হয়েছে। যা ৭৫ কিমির কাছাকাছি রাইডিং রেঞ্জের জন্য আদর্শ৷ তবে ওলার প্রত্যেকটি ই-স্কুটারের সাথে স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে হোম-চার্জারও সরবরাহ করা হবে। ওলা বলছে, ব্যাটারি ফুল চার্জ করতে হাইপারচার্জার নেটওয়ার্ক এক ঘন্টারও কম সময় নেবে।
ওলার হাইপারচার্জার নেটওয়ার্ক কোথায় কোথায় বসানো হবে
ওলা এবং তার অংশীদারদের দ্বারা আনুমানিক দু’বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে এই চার্জিং নেটওয়ার্কের পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে। এটি দুটি ফরম্যাটে আসবে; একটি হবে ভার্টিকাল টাওয়ার ভিত্তিক চার্জার, এবং পাশাপাশি, শপিং মল, আইটি পার্ক
এবং ক্যাফের মতো পাবলিক স্পেসে এটি স্টান্ড এলোন চার্জার হিসেবে বসানো হবে।
ওলার হাইপারচার্জার-এর ক্যাপাসিটি
ওলার হাইপারচার্জারের ক্যাপাসিটি হবে ১২ কিলোওয়াট এবং এটি ওলার ইলেকট্রিক ভেহিকেলের জন্য ডেডিকেটেড চার্জিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে আসবে। শপিং মল সহ অন্যান্য জায়গায় বসানো স্টান্ড এলোন চার্জার পয়েন্টগুলি ধীর গতির হবে। তবে ওলা জানিয়েছে, ইনস্টল করা চার্জারের সিংহভাগ হাইপারচার্জার হবে।
ওলার হাইপারচার্জার নেটওয়ার্ক কীভাবে ব্যবহার করা যাবে?
ওলা ই-স্কুটার আরোহীকে হাইপারচার্জার নেটওয়ার্ক পয়েন্টে এসে চার্জিং পয়েন্টের প্লাগটি স্কুটারের সাথে সংযুক্ত করতে হবে। ব্যাটারি কতটা চার্জ হল বা ফুল চার্জ হতে কতটা বাকি তা ওলার ইলেকট্রিকের একটি ডেডিকেটেড মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে মনিটর করা যাবে। পরিষেবা নেওয়ার পর আবার ওই অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে পেমেন্ট করার সুবিধা থাকবে।
হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন