ইলেকট্রিক গাড়ি রাজ করবে বাজারে, চমকপ্রদ দাবি ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সির রিপোর্টে

সমগ্র বিশ্বেই ইলেকট্রিক যানবাহনের বিস্তার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে নিত্য নতুন মডেল হাজির করা হচ্ছে। সম্প্রতি প্রকাশিত ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (International…

সমগ্র বিশ্বেই ইলেকট্রিক যানবাহনের বিস্তার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে নিত্য নতুন মডেল হাজির করা হচ্ছে। সম্প্রতি প্রকাশিত ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (International Energy Agency) এর এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, এবছর সারা বিশ্বে বিক্রিত প্রতি পাঁচটি গাড়ির মধ্যে একটি হবে ব্যাটারি চালিত মডেল। অর্থাৎ এবছর যানবাহনের বাজারের এক পঞ্চমাংশ জায়গা দখল করবে ইলেকট্রিক মডেলগুলি। মোট বিক্রিত গাড়ির ১৮% হবে বৈদ্যুতিক। ২০২০-তে ছিল ৪%।

এবছর বিক্রি হওয়া পাঁচটি গাড়ির মধ্যে একটি হবে ইলেকট্রিক ভেহিকেল

পেট্রোল-ডিজেল ভার্সন থেকে ইলেকট্রিক মডেলের চাহিদা বৃদ্ধি পেলে সারা বিশ্বে প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০ লক্ষ ব্যারেল জ্বালানির চাহিদা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। এসইউভি এবং বড় গাড়িগুলি মিলে বর্তমানে চীন, ইউরোপ এবং আমেরিকার বাজারে ব্যাটারি ইলেকট্রিক মডেলের দুই তৃতীয়াংশ দখল করে রেখেছে। এই প্রসঙ্গে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, “চীনের বাইরে সস্তায় আসল যন্ত্রাংশ নির্মাতার প্রয়োজন।” এতে ইলেকট্রিক ভেহিকেলের চাহিদা বৃদ্ধি পাবে বলে দাবি করা হয়েছে।

ব্যাপকভাবে কমবে জ্বালানির চাহিদা

ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে ইলেকট্রিক দুই ও তিন চাকার গাড়ি ফোর-হুইলারকে টেক্কা দিয়েছে। ২০২২-এ নথিভুক্ত হওয়া থ্রি হুইলারের মধ্যে ৫০ শতাংশের বেশি বৈদ্যুতিক বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের মধ্যে ভারত তৃতীয় বৃহত্তম অটোমোবাইল মার্কেট হওয়া সত্ত্বেও এখানে ইলেকট্রিক ভেহিকেলের প্রসারের হার নগণ্য, মাত্র ১ শতাংশ।

আরও বলা হয়েছে, যে কোনো দেশে বৈদ্যুতিক যানবাহনের সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে কয়েকটি জিনিস ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। যেগুলি হল সরকারি অনুদান, স্থানীয়ভাবে ব্যাটারির নির্মাণ, রাজ্য স্তরে ভর্তুকি এবং জিএসটি-এর হারে হ্রাস। ২০৩০-এর মধ্যে মোট বিক্রিত যানবাহনের ৩০ শতাংশ বৈদ্যুতিক ভার্সন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ভারত সরকার।