ভারতের বৈদ্যুতিক যানবাহনের বিক্রি বৃদ্ধিতে অবদান রাখছেন পরিবেশ সচেতক গ্রাহকরা। আবার পরিবেশ দূষণের বিষয়ে বিশেষ চিন্তিত না হলেও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি থেকে রেহাই পেতেও অসংখ্য মানুষ বৈদ্যুতিক যানবাহনের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন। ফলে দেশে ইলেকট্রিক গাড়ির বিক্রির সূচক ক্রমশ আকাশ পানে চাইছে। এবারে দেশের সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী (Nitin Gadkari)-র কথাতেও সেই বার্তাই পাওয়া গেল। বুধবার রাজ্যসভায় মন্ত্রী দাবি করেছেন এখনও পর্যন্ত এদেশে ১৩ লাখের বেশি বৈদ্যুতিক যানবাহন নথিভুক্ত হয়েছে।
গডকড়ী এ-ও জানান, এই ১৩ লাখের মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা এবং লাক্ষাদ্বীপে বিক্রি হওয়া বৈদ্যুতিক গাড়ির পরিসংখ্যান অন্তর্ভুক্ত নয়। অর্থাৎ মন্ত্রীর কথানুযায়ী উল্লিখিত রাজ্যগুলিতে এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিক্রিত ইলেকট্রিক যানবাহনের সংখ্যা যুক্ত হলে স্বভাবতই তা আরও নতুন উচ্চতা স্পর্শ করবে। বৈদ্যুতিক যানবাহনের এই গগনচুম্বি বিক্রির পরিসংখ্যানের জন্য গডকড়ী কেন্দ্রের ফাস্টার অ্যাডপশান অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং অফ ইলেকট্রিক ভেহিকেলস-প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায় অর্থাৎ FAME-II-কে সম্পূর্ণ কৃতিত্ব দিয়েছেন।
এদিন সংসদে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, FAME-II প্রকল্পের আওতায় মোট ২,৮৭৭টি বৈদ্যুতিক গাড়ির চার্জিং স্টেশন বসানোর অনুমতি পত্র দেওয়া হয়েছে। যেগুলি দেশের ৬৮টি শহরে ছড়িয়ে রয়েছে। আবার ৯টি রাজপথ ও ১৬টি জাতীয় সড়কের পাশে গড়ে ওঠা বৈদ্যুতিক চার্জিং স্টেশনের সংখ্যা ১,৫৭৬। VAHAN 4-এর তথ্য অনুযায়ী এখনো পর্যন্ত ভারতে মোট ১৩,৩৪,৩৮৫টি ইলেকট্রিক গাড়ি বিক্রি হয়েছে।
গডকড়ী দাবি করেন ব্যুরো অফ এনার্জি এফিশিয়েন্সির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৪ জুলাই পর্যন্ত ভারতে মোট ২,৮২৬টি পাবলিক চার্জিং স্টেশন চালু হয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে গডকড়ী বলেন, ভারতের রাস্তায় মোট ২৭,২৫,৮৭,১৭০টি যানবাহন চলাচল করে। যা ২০৭টি দেশে বিক্রি হওয়া গাড়ির (২,০৫,৮১,০৯,৪৮৬) ১৩.২৪ শতাংশ।