ভারতে Tesla-র আগমন নিয়ে হৈচৈ, স্রেফ 6000 মডেল বিক্রি করে সঙ্কটে পাকিস্তানের গাড়ি শিল্প

ভারতের অটোমোবাইল বাজার বিশ্বের মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম। গাড়ির বিক্রি এতটাই বেশি যে এতদিন তিন নম্বরে থাকা জাপানকে পেছনে ফেলে ওই স্থান দখল করতে বিশেষ বেগ…

ভারতের অটোমোবাইল বাজার বিশ্বের মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম। গাড়ির বিক্রি এতটাই বেশি যে এতদিন তিন নম্বরে থাকা জাপানকে পেছনে ফেলে ওই স্থান দখল করতে বিশেষ বেগ পেতে হয়নি ভারতকে। যেকারণে এদেশের বাজারকে লক্ষ্য করে বিভিন্ন সংস্থা ব্যবসা শুরুর আগ্রহ প্রকাশ করে থাকে। এবারে যেমন বিশ্বের বৃহত্তম বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা টেসলা (Tesla) সে পথের পথিক হতে চলেছে। শীঘ্রই এদেশে নিজেদের কারখানা গড়ার পথে এগোচ্ছে ধনকুবের ইলন মাস্ক (Elon Musk)-এর সংস্থা। এদিকে গাড়ি বিক্রির ক্ষেত্রে বেহাল দশা পড়শি দেশ পাকিস্তানের। সে দেশের ডিলারদের সংগঠন পাকিস্তান অটোমেটিভ মানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (PAMA) দ্বারা প্রকাশিত তথ্য দেখে চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগার।

সংস্থাটি জানিয়েছে, গেল মাস অর্থাৎ জুনে গোটা দেশে মাত্র ৬,০৩৪টি গাড়ি বিক্রি হয়েছে। মে মাসের চাইতে বিক্রি ১০% বেড়েছে ঠিকই কিন্তু আগের বছর জুনের চাইতে এবারে বেচাকেনায় ৮২ শতাংশ পতন ঘটেছে। পামা জানিয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে পাকিস্তানে গাড়ির বিক্রি হয়েছে ১,২৬,৮৭৯ ইউনিট। বেচাকেনায় এই চরম দুর্দশার ফলে ঘাটতি গিয়েছে ৫৬%। এমনকি আগামীতেও বিক্রিতে এই ধস অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।

পাকিস্তানে গাড়ি বিক্রির ক্ষেত্রে প্রধান বাধা হয়ে দেখা দিয়েছে স্থানীয়ভাবে নির্মিত যন্ত্রাংশের অভাব। ফলে গাড়ির বিক্রিতেও পতন আটকানো যাচ্ছে না। আবার ফাইন্যান্সিংয়ের শতকরা হার বৃদ্ধি পাওয়ায় সে পথ মাড়াচ্ছেন না অনেকেই। যে কারণে ক্রেতাদের গাড়ি কেনার সামর্থ্য কমতে দেখা যাচ্ছে। যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ছে বিক্রিতে। এদিকে পাকিস্তানের অর্থনীতি এখনও টালমাটাল অবস্থাতেই রয়েছে। ফলে চাপে পড়ছে অটোমোবাইল কোম্পানিগুলি। বহু সংস্থাই সে দেশে গাড়ির উৎপাদন আপাতত বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেছে।

কোন সংস্থা কতগুলি গাড়ি বিক্রি করল

পামা-র প্রকাশিত পরিসংখ্যান বলছে, পাক সুজুকি গত মাসে মাত্র ৩,০০৯ ইউননিট নতুন গাড়ি বেচেছে। এদিকে Toyota-র গাড়ি অ্যাসেম্বেল করে বিক্রি করে ইন্দাস মোটর কোম্পানি। তারা গত মাসে বিক্রি করেছে মাত্র ১,৮৪৬টটি ভেহিকেল। এদিকে Hyundai Nishat Motors গেল মাসে Tucson SUV-এর জনপ্রিয়তার জন্য ১১ শতাংশ উত্থান দেখেছে। তাই বেচাকেনার পরিসংখ্যান দেখে সিঁদুরে মেঘ দেখছে প্রায় সকল সংস্থাই।