খরচে নাজেহাল আমজনতা, গত 1 বছরে দেশে পেট্রল ডিজেলের দাম বেড়েছে 76 বারের বেশি
দেশে জ্বালানি তেলের দাম এখন স্থিতিশীল থাকলেও, বিগত ১ বছরে পেট্রোলের মূল্য বেড়েছে ৭৮ বার। যা অতিমারির সঙ্গে যুঝতে থাকা...দেশে জ্বালানি তেলের দাম এখন স্থিতিশীল থাকলেও, বিগত ১ বছরে পেট্রোলের মূল্য বেড়েছে ৭৮ বার। যা অতিমারির সঙ্গে যুঝতে থাকা আমজনতার দুর্ভোগ আরও বাড়িয়েছে। অথচ ওই সময়ের মধ্যে পেট্রলের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় জ্বালানির দাম কমানো হয়েছে মাত্র ৭ বার। ডিজেলের ক্ষেত্রেও বিগত ১ বছরে ৭৬ বার মূল্যবৃদ্ধি লক্ষ্য করা গিয়েছে। আর দাম কমেছে কেবলমাত্র ১০ বার। সর্বকালীন উচ্চতা ছুঁয়েছে জ্বালানি তেলের মূল্য৷ কেন্দ্র কিছুটা উৎপাদন শুল্ক এবং কয়েকটি রাজ্য ভ্যাট কমালেও তা অতি নগণ্য৷
সংসদে বাদল অধিবেশন চলাকালীন বিরোধীদের প্রশ্নের উত্তরে পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রক এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। পেট্রল-ডিজেল বিক্রি করে ও শুল্ক বাবদ কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলির কোষাগার যে কোটি কোটি টাকার বাড়তি আয়ে ফুঁলেফেপে উঠেছে, মন্ত্রণালয়ের জবাবেই তা স্পষ্ট। শুধু তেল শুল্ক থেকে গত অর্থবর্ষে (২০২১-২২) ৪.৯২ লক্ষ কোটি এসেছে কেন্দ্রের ঝুলিতে। আর রাজ্যগুলির ভাঁড়ারে এসেছে ২.৮২ লক্ষ টাকা।
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে আমাদের দেশের অধিকাংশ পণ্য সামগ্রী জিএসটি আওতাধীন হলেও পেট্রোল ডিজেল সেই তালিকার বাইরে। দেশের অর্থনীতিবিদদের একাংশ মনে করেন যে জীবাশ্ম জ্বালানিকে জিএসটি ভুক্ত করলে খানিকটা সুরাহা মিলবে ভারতবাসীর। যদিও চলতি বছরের মে মাস নাগাদ প্রায় প্রতিদিনই জ্বালানির দাম বাড়তে থাকায় কেন্দ্রীয় সরকার দাম খানিকটা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। লিটার প্রতি পেট্রোল ও ডিজেলের উপরে বসানো এক্সাইজ ডিউটিতে যথাক্রমে ৯.৫ টাকা ও ৭ টাকা ছাড় দেওয়া হয়।
এছাড়াও গত বছরের নভেম্বরে মোদি সরকার পেট্রোল ও ডিজেলের থেকে এক্সসাইজ ডিউটি বাবদ লিটার প্রতি ৫ টাকা ও ১০ টাকা মুকুবের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। যদিও ২০২০ সাল থেকে কেন্দ্রীয় সরকার ক্রমান্বয়ে পেট্রোলের উপর লিটার প্রতি ৩৩ টাকা এবং ডিজেলের উপর ৩১.৮ টাকা এক্সাইজ ডিউটি বাড়িয়েছে। মূল্য বাড়লেও অবশ্য জ্বালানি তেলের চাহিদায় ভাটা পড়েনি। লকডাউন উঠে যাওয়ার পর অর্থনীতি সচল হওয়া যার প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।