Petrol-Diesel Sales: পেট্রোল-ডিজেল বিক্রি হু হু করে কমছে দেশে, হঠাৎ কেন এমন পরিস্থিতি?
জুন শুরু হতেই ভারতের বাজারে পেট্রোল-ডিজেলের চাহিদায় ছন্দপতন ঘটলো। আসলে বর্ষার আগমনে কৃষিখাতে চাহিদা এবং রাস্তায়...জুন শুরু হতেই ভারতের বাজারে পেট্রোল-ডিজেলের চাহিদায় ছন্দপতন ঘটলো। আসলে বর্ষার আগমনে কৃষিখাতে চাহিদা এবং রাস্তায় যানবাহনের ব্যবহার ব্যাপকভাবে কমেছে। ফলত জ্বালানি তেলের চাহিদাতেও ভাটা পড়তে দেখা গেছে। চলতি মাসের প্রথমার্ধে এদেশে সর্বাধিক ব্যবহৃত জ্বালানি অর্থাৎ ডিজেলের চাহিদা গত বছর ১-১৫ জুন থেকে ৬.৭% কমে ৩০.৪৩ লক্ষ টন হয়েছে।
জুন শুরু হতেই পেট্রোল ডিজেলের চাহিদায় ভাটা
এ বছর এপ্রিল এবং মে’তে ডিজেলের চাহিদা যথাক্রমে ৬.৭% ও ৯.৩% বৃদ্ধি পেতে দেখা গিয়েছিল। কারণ ওই দুই মাসে এদেশের কৃষি জমিতে ট্রাক্টরের ব্যবহার বেশি হয়েছিল। এছাড়া গ্রীষ্মের দাবদাহে গাড়িতে বাতানুকূল যন্ত্র বেশি ব্যবহার করার ফলে ডিজেলের চাহিদা বেড়েছিল। ফলে এপ্রিলের (১-১৫ তারিখ) তুলনায় মে’তে ডিজেলের বিক্রি ৩.৪% বৃদ্ধি পেয়েছিল।
আগের বছরের তুলনায় এ বছরে জুনের প্রথমার্ধে পেট্রোলের ব্যবহার ৫.৭% কমে হয়েছে ১.৩ কোটি টন। আবার মে-এর চাইতে পেট্রোলের চাহিদা ৩.৮% সঙ্কুচিত হতে দেখা গেছে। মার্চের দ্বিতীয়ার্থে ভারতের শিল্প ও কৃষিক্ষেত্রে গাড়ির ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় পেট্রোল এবং ডিজেলের চাহিদা ছিল আকাশছোঁয়া।
বর্ষার আগমন ঘটতেই তাপমাত্রায় পতন অনুভূত হচ্ছে। ফলে ফসলের ক্ষেতে জল ছেটানোর প্রয়োজন কম পড়ছে। এতে জেনারেটরের ব্যবহার কমায় স্বভাবতই জ্বালানির চাহিদাও কমছে। ২০২৩ এর ১-১৫ জুন দেশে পেট্রোলের চাহিদা করোনার ২০২১ ও ২০১৯-এর থেকে যথাক্রমে ৪৪.২ শতাংশ ও ১৪.৬ শতাংশ বাড়তে দেখা গেছে। আর ডিজেলের ক্ষেত্রে বিক্রি যথাক্রমে ৩৮ শতাংশ ও ৮.৮ শতাংশ বাড়তে লক্ষ্য করা গিয়েছে।