বিপুল বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান হবে দেশে, মারুতি সুজুকির নতুন কারখানার শিলান্যাস করলেন নরেন্দ্র মোদি
ভারতের গাড়ির বাজারের প্রসার যে ক্রমশ বাড়ছে তার আরও এক নিদর্শন উঠে এল। গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের বৃহত্তম...ভারতের গাড়ির বাজারের প্রসার যে ক্রমশ বাড়ছে তার আরও এক নিদর্শন উঠে এল। গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের বৃহত্তম যাত্রী গাড়ি নির্মাতা মারুতি সুজুকি (Maruti Suzuki)-র তৃতীয় কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর করেন। হরিয়ানার খারখোদাতে গড়ে তোলা হবে এটি। একই সাথে প্রধানমন্ত্রী ওইদিন গুজরাতে সুজুকির বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি উৎপাদন কেন্দ্রের শিলান্যাস করেন। যেটি ওই রাজ্যের হনসলপুরে গড়ে তোলা হবে। যার জন্য ৭,৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে মারুতি সুজুকি।
গুজরাতের গান্ধীনগরে মহাত্মা মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদি গাড়ি শিল্পে ভারত এবং জাপানের যৌথ উদ্যোগ সম্পর্কে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, “মারুতি সুজুকির এই সাফল্য ইন্দো জাপান সম্পর্কের মজবুতির প্রকৃষ্ট উদাহরণ। গত ৮ বছরে দুই দেশের এই সুসম্পর্ক উত্তরোত্তর নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে।” অন্যদিকে মারুতি সুজুকি ইন্ডিয়া লিমিটেডের চেয়ারম্যান আরসি ভার্গব বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, “ভারত এবং জাপানের দুই গাড়ি সংস্থার জোট আমাদের বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম গাড়ির সংস্থা হিসেবে পরিণত হতে সাহায্য করেছে। এই অংশীদারিত্বে ভারত এবং জাপানের সমন্বিত শক্তি সমগ্র বিশ্বকে প্রতিযোগিতায় সম্মুখীন করেছে।”
ভার্গব যোগ করেন, “আমরা শিখেছি, কর্মী এবং পরিচালন বর্গের মজবুত দলগতভাবে কাজ করা সম্ভব। যা উভয়ের পক্ষেই হিতকর। আমাদের ৯৮% কর্মচারী আয়কর দেন। যাদের মধ্যে বৃহৎ সংখ্যকের নিজস্ব গাড়ি ও বাড়ি রয়েছে।” প্রসঙ্গত, খারখোদার কারখানাটিকে বিশ্বের মধ্যে অন্যতম বৃহত্তম যাত্রীবাহী গাড়ির ফেসিলিটি হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এগোচ্ছে মারুতি সুজুকি। এ দেশে সংস্থার তৃতীয় কারখানাটি থেকে বার্ষিক ১০ লক্ষ গাড়ি উৎপাদনের পরিকল্পনা করছে তারা। সংস্থা সূত্রে খবর, গত বছর সমগ্র বিশ্বে সুজুকি গোষ্ঠী প্রায় ২৮ লক্ষ্য গাড়ি তৈরি করেছে। এই প্রসঙ্গে ভার্গব বলেন, “যার মধ্যে ১৬ লক্ষের বেশি, অথবা প্রায় ৬০ শতাংশ ভারতেই নির্মিত হয়েছে।”
বর্তমানে ভারতে জাপানি অটো জায়ান্ট সংস্থাটি তাদের ৪০ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করছে। তাদের নতুন ইভি ব্যাটারি ফেসিলিটিতে অত্যাধুনিক রসায়নের ব্যাটারি সেল তৈরি হবে। সংস্থাটি তাদের বৈশ্বিক গবেষণা এবং উন্নয়ন কেন্দ্র গড়ে তুলবে। এই প্রসঙ্গে সুজুকি মোটর কর্পোরেশনের সভাপতি তোশিহিরো সুজুকি বলেন, “নতুন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সক্ষমতা এবং প্রতিযোগিতা বাড়াতে গবেষণা এবং উন্নয়ন কেন্দ্রের শক্তি বৃদ্ধি আমাদের লক্ষ্য। সেটি কেবলমাত্র ভারতের জন্য নয়, বরং সমগ্র বিশ্ব বাজারের জন্য।”এদিকে সংস্থা সূত্রে জানানো হয়েছে, ২০২৫-এর মধ্যে তারা বাজারে প্রথম বৈদ্যুতিক মডেলটি নিয়ে আসবে।