Pulsar-কে টেক্কা দিতে সামনে বিশাল পরিবর্তন, আর কী কী আপগ্রেড থাকছে Hero-র নতুন বাইকে
হিরো মোটোকর্প (Hero MotoCorp)-এর ঝুলিতে সাশ্রয়ী মূল্যের কমিউটার টু-হুইলারের সংখ্যাই বেশি। এমনকি এদের বিক্রিতেও সর্বাধিক...হিরো মোটোকর্প (Hero MotoCorp)-এর ঝুলিতে সাশ্রয়ী মূল্যের কমিউটার টু-হুইলারের সংখ্যাই বেশি। এমনকি এদের বিক্রিতেও সর্বাধিক অবদান রাখে এই মডেলগুলি। যার মধ্যে অন্যতম – Splendor, Super Splendor, Passion, Glamour ও আরও অন্যান্য। এদের কাঁধে ভর করেই দীর্ঘদিন ধরে দেশের বৃহত্তম দু’চাকার গাড়ি সংস্থার তকমা ধরে রেখেছে হিরো। এদিকে তাদের ১৬০ সিসি সেগমেন্টে প্রিমিয়াম মোটরসাইকেল হিসেবে রয়েছে Xtreme 160R। যেটি ক্রেতাদের মধ্যে তেমনভাবে সাড়া ফেলতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই এবারে মোটরসাইকেলটির আপডেট ভার্সন আনতে চলেছে সংস্থা। নতুন মডেলটিতে কেমন পরিবর্তন থাকছে, চলুন দেখে নেওয়া যাক।
Hero Xtreme 160R আপডেট
এবারে Xtreme 160R বাইকটি ইউএসডি ফর্ক সহ হিরো হাজির করতে পারে বলে জল্পনা দানা বেঁধেছে। কারণ সম্প্রতি বাইকটির টেস্ট রান চলাকালীন ফাঁস হওয়া ছবিতে তেমনটাই দেখা গেছে। অনুমান করা হচ্ছে শীঘ্রই ভারতের বাজারে নতুন ভার্সনে পা রাখতে চলেছে মোটরসাইকেলটি। ইউএসডি ফর্ক ছাড়াও অন্যান্য পরিবর্তনের মধ্যে থাকছে নতুন কালার অপশন এবং ডিজাইনে কিছু পরিবর্তন।
Hero Xtreme 160R গুরুত্বপূর্ণ ফিচার্স
নতুন Xtreme 160R-কে ক্রেতা মহলে নতুনভাবে আকর্ষণীয় গড়ে তোলার ক্ষেত্রে কোনো রকম খামতি হিরো রাখবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। এর ফিচারের তালিকায় এলইডি হেডলাইট, এলইডি টার্ন ইন্ডিকেটর, স্মোকড এফেক্ট হাউজিং সহ এলইডি টেল লাইট, হ্যাজার্ড লাইট, নেগেটিভ এলসিডি এবং গিয়ার পজিশন ইন্ডিকেটর সমেত ফুল ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, পেশীবহুল ডিজাইনের দেখা মিলতে পারে। এর ওজন হতে পারে ১৩৮ কেজি। তেমনটি হলে এটিই হবে এই সেগমেন্টের সবচেয়ে হালকা মোটরসাইকেল।
Hero Xtreme 160R ইঞ্জিন ও সম্ভাব্য মূল্য
নতুন Hero Xtreme 160R-এ চালিকা শক্তি জোগাতে থাকছে একটি ১৬৩ সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন। ৫-স্পিড গিয়ারবক্স যুক্ত মোটরটি থেকে ১৫ বিএইচপি শক্তি এবং ১৪ এনএম টর্ক উৎপন্ন হবে। সুরক্ষা জনিত ফিচারের তালিকায় থাকতে পারে একটি সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস সেটআপ সহ রিয়ার অপশনাল ডিস্ক ব্রেক। আবার ইউএসডি ফ্রন্ট ফর্ক সেটআপ সহ মোটরসাইকেলটি আগের চাইতে ৫,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা মহার্ঘ হতে পারে।