Maruti Engage: পুরো ছাদ খোলা যাবে, এবার প্যানোরামিক সানরুফ যুক্ত গাড়ি আনছে মারুতি
বর্তমানে ভারতের বৃহত্তম যাত্রী গাড়ি নির্মাতা মারুতি সুজুকি (Maruti Suzuki)-র উদ্যম সপ্তমে। একটি লাক্সারি মাল্টিপারপাস...বর্তমানে ভারতের বৃহত্তম যাত্রী গাড়ি নির্মাতা মারুতি সুজুকি (Maruti Suzuki)-র উদ্যম সপ্তমে। একটি লাক্সারি মাল্টিপারপাস ভেহিকেল বা এমপিভি (MPV) নিয়ে সংস্থার মাতামাতি নজরকাড়ার মতোই। যেটি নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে গাড়িটি Toyota Innova Hycross এর রিব্যাজড ভার্সন রূপে আনতে চলেছে ইন্দো-জাপানি সংস্থাটি। এমতাবস্থায় এদেশে তাদের ‘এনগেজ’ (Engage) নামে একটি ট্রেডমার্ক দায়ের করার খবর সামনে এলো। ফলে নতুন এমপিভি লঞ্চের জল্পনা নয়া দিশা পেয়েছে। মনে করা হচ্ছে, সংস্থার আসন্ন ৭-সিটার গাড়ির নাম ‘এনগেজ’ রাখা হতে পারে।
Maruti Suzuki Engage : ডিজাইন ও ফিচার্স
মারুতি সুজুকির নতুন প্রিমিয়াম এমপিভি গাড়িটি ২০২৩-এর জুলাইয়ের মধ্যে বাজারে হাজির হবে। মারুতি এনগেজ (Maruti Engage) সংস্থার ফ্ল্যাগশিপ এবং সবচেয়ে দামী মডেল হিসেবে আসবে। ডিজাইন এবং স্টাইলিংয়ের দিক থেকে এটি Toyota Innova Hycross-এর থেকে সামান্য আলাদা হবে। এতে থাকতে পারে সংস্থার সিগনেচার গ্রিল (Grand Vitara-র সমান) এবং নতুন ডিজাইনের হেডল্যাম্প, টেলল্যাম্প এবং ফ্রন্ট বাম্পার। Innova Hycross-এর মতো Engage-ও TNGA-C প্ল্যাটফর্মের উপর ভিত্তি করে আসবে। সাথে থাকবে ফ্রন্ট উইল ড্রাইভ সিস্টেম।
মারুতির নতুন এমপিভি-র ইন্টেরিয়ারে ভিন্ন ধরনের থিমের দেখা মিলতে পারে। তবে ফিচারের দিক থেকে গাড়িটি Innova Hycross-এর সমান হবে। এর অর্থ ইন্দো-জাপানি সংস্থার প্রথম মডেল হিসেবে এটি অ্যাডভান্সড ড্রাইভার অ্যাসিস্ট্যান্স সিস্টেম বা অ্যাডাস (ADAS) পেতে চলেছে। এছাড়া থাকতে পারে ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরা, নতুন ১০ ইঞ্চি টাচস্ক্রিন ইনফোটেনমেন্ট সিস্টেম, প্যানোরামিক সানরুফ ইত্যাদি।
নতুন Maruti Suzuki Engage : ইঞ্জিন
Maruti Suzuki Engage MPV-তে দেওয়া হতে পারে একটি ২.০ লিটার পেট্রোল ইঞ্জিন, যার একটি হাইব্রিড টেকনোলজি সমর্থন করবে এবং অপরটি করবে না। উভয় পাওয়ারট্রেন Toyota Innova Hycross-এর থেকেই নেওয়া হবে। ২.০ লিটার স্ট্রং হাইব্রিড ভার্সন থেকে ১৮৬ পিএস শক্তি এবং ২০৬ এনএম টর্ক উৎপন্ন হবে। এতে থাকছে একটি ই-সিভিটি গিয়ারবক্স। অন্যদিকে ২.০ লিটার পেট্রোল মোটর থেকে পাওয়া যাবে ১৭৪ পিএস শক্তি এবং ২০৫ এনএম টর্ক। গ্যাসোলিন ইউনিটের সাথে সংযুক্ত থাকবে একটি সিভিটি অটোমেটিক ট্রান্সমিশন। গাড়িটির মূল্য ১৯ লক্ষ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম) ধার্য করা হতে পারে।