গাড়ি-বাইকের নাট-বল্টু ঠিক করতেও মোটা অঙ্কের বিল, জুলুম আটকাতে এবার কড়া কেন্দ্র

টু-হুইলার বা গাড়িতে সামান্যতম সমস্যা হলেও অথোরাইজড সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে ছোটা ব্যতীত ভিন্ন কোনো উপায় থাকে না। বাইরের মেকানিকের থেকে যদি একটি বল্টুও টাইট দেওয়া…

টু-হুইলার বা গাড়িতে সামান্যতম সমস্যা হলেও অথোরাইজড সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে ছোটা ব্যতীত ভিন্ন কোনো উপায় থাকে না। বাইরের মেকানিকের থেকে যদি একটি বল্টুও টাইট দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে ওয়ারেন্টি হাতছাড়া হতে পারে। সেই আশঙ্কায় ভোগেন না, এমন গ্রাহক বাস্তবে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তাই অগত্যা কোম্পানির সার্ভিস সেন্টারই ভরসা। কিন্তু এক্ষেত্রে প্রতি মুহূর্তে যে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, তা হল সামান্য রিপেয়ারিং করালেও দিতে হয় লেবার চার্জ। যে সমস্যায় নাজেহাল সাধারণ মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরে অভিযোগের পর অভিযোগ জানিয়েও অবশেষে শূন্য হাতেই ফিরতে হয়েছে। তবে এবারে এই দুর্ভোগের থেকে পরিত্রাণ দিতে সচেষ্ট হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

উপভোক্তা বিষয়ক দপ্তর সম্প্রতি ‘রাইট টু রিপেয়ার’ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যার জন্য নতুন পোর্টাল চালু করা হয়েছে। এই ব্যবস্থার ফলে যে কোনো গাড়ির ব্যবহারকারী থার্ড পার্টি ওয়ার্কশপ থেকে নিজের ব্যবহারের মডেলের সামান্য মেরামত করালেও ওয়ারেন্টির জন্য দাবি জানাতে পারবেন। বর্তমানে ওই পোর্টালে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছে হিরো মোটোকর্প (Hero MotoCorp) এবং হোন্ডা মোটরসাইকেল অ্যান্ড স্কুটার ইন্ডিয়া বা এইচএমএসআই (HMSI)। সেখানে সেল্ফ রিপেয়ারিং ম্যানুয়াল এবং থার্ড পার্টি সেন্টারের যাবতীয় তথ্য উপলব্ধ থাকবে।

দুই সংস্থার ক্রেতারা বর্তমানে টু-হুইলার কেনার প্রথম দিন থেকেই তাদের বাইক বা‌ স্কুটারে ত্রুটি ধরা পড়লে, বাইরের কোনো মেকানিকের থেকে মেরামত করাতে পারবেন। আবার ডায়াগনস্টিক টুল এবং স্পেয়ার পার্টস ক্রেতাদের কাছে আরও বেশি সহজলভ্য হবে।
বর্তমানে উপভোক্তা বিষয়ক দপ্তর যত বেশি সংখ্যক সংস্থাকে এই পোর্টালের আওতায় আনা যায় সেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

রাইট টু রিপেয়ার যে রাতারাতি মেইনস্ট্রিমে পরিণত হবে না, তা প্রকার নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়। সার্বিকভাবে এর আওতায় চারটি বিভাগকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে – ইলেকট্রনিক, কনজিউমার ডুরাবেল, অটোমোবাইল এবং ফার্মিং যন্ত্রাংশ। অন্যদিকে ব্যক্তিগত ব্যবহারের বিভিন্ন ডিভাইস এবং ঘরোয়া ক্ষেত্রে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ এই রাইট টু রিপেয়ার স্কিমের আওতায় সুরক্ষিত। Samsung, Apple, Havells, Hewlett-Packard, LG, Panasonic, Oppo ইত্যাদি সংস্থা নিজেদের নাম নথিভুক্ত করিয়াছে।