হইচই ফেলে হাজির Royal Enfield-এর প্রথম ইলেকট্রিক বাইক, ছবি সহ রইল খুঁটিনাটি

গোটা ভারত যখন ক্রিকেট বিশ্বকাপ জ্বরে ফুটছে কিংবা দীপাবলি উদযাপনে প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। ঠিক তখনই ইতালিতে শুরু হয়েছে বিশ্বখ্যাত মিলান মোটরসাইকেল শো বা EICMA। এই আর্ন্তজাতিক…

গোটা ভারত যখন ক্রিকেট বিশ্বকাপ জ্বরে ফুটছে কিংবা দীপাবলি উদযাপনে প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। ঠিক তখনই ইতালিতে শুরু হয়েছে বিশ্বখ্যাত মিলান মোটরসাইকেল শো বা EICMA। এই আর্ন্তজাতিক প্রদর্শনীত ছোট বড় সংস্থার তৈরি বিভিন্ন নতুন টু-হুইলার মডেল উন্মোচিত হওয়ার জন্য মুখিয়ে। Hero MotoCorp থেকে শুরু করে Royal Enfield প্রত্যেকেই নতুন নতুন মডেলের উপর থেকে পর্দা সরাবে সেখানে। ইতিমধ্যেই রয়্যাল এনফিল্ডের হাত ধরে আত্মপ্রকাশ ঘটেছে নতুন প্রজন্মের Himalayan 452 এর। তবে Him-E অর্থাৎ ইলেকট্রিক হিমালয়ান বাইক সামনে এনে সবাইকে পুরো চমকে দিল চেন্নাইয়ের সংস্থাটি।

Royal Enfield প্রথম ইলেকট্রিক বাইক আনল

রয়্যাল এনফিল্ডের ইতিহাসে এটাই তাদের প্রথম ইলেকট্রিক বাইক। যদিও EICMA 2023-তে প্রদর্শিত মডেলটি একদম প্রাথমিক স্তরে রয়েছে বা প্রোটোটাইপ ভার্সন। সংস্থা সূত্রে বলা হয়েছে, প্রতিদিনের যাতায়াত ব্যবস্থার পাশাপাশি দূর দূরান্তে ভ্রমণের ক্ষেত্রেও অদূর ভবিষ্যতে পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে এমন উদ্যোগ নিয়েছে রয়্যাল এনফিল্ড। ভবিষ্যতে তাদের অ্যাডভেঞ্চার বাইকের ডিজাইন কেমন হবে, তারই ধারণা দিয়েছে এটি।

Him-E এর স্পেসিফিকেশন আপাতত পর্দার আড়ালে রেখেছে রয়্যাল এনফিল্ড। সংস্থা সূত্রে জানানো হয়েছে এতে ব্যবহৃত ব্যাটারি বক্সের ডিজাইন তাদের নিজেদের হাতেই তৈরি। এটি বাইকটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। তাছাড়াও ব্যাটারি পরিচালিত হাওয়ার দৌলতে ওজন কমানোর উদ্দেশ্যে জৈব ফ্লেক্স সহযোগে তৈরি ফাইবার দিয়ে ট্যাংকের মতো ডিজাইন বানানো হয়েছে। যদিও Him-E এর পিছনের অংশ অ্যালুমিনিয়াম দ্বারা প্রস্তুত বলে মনে হচ্ছে।

উঁচু-নিচু পাহাড়ি রাস্তায় চলার উপযোগী বিশাল চেহারার হিমালয়ানের সামনের দিকে গোলাকার হেডলাইট দেখতেই অভ্যস্ত আমরা। ইলেকট্রিক ভার্সনেও সামনের অংশে এলইডি ডিআরএল যুক্ত গোলাকার হেডলাইট ব্যবহার করা হয়েছে। ট্যাংকের মত দেখতে অংশের উপরের দিকেই থাকছে চার্জিং পোর্ট। সামনের দিকে লাগানো ব্যাটারির চেম্বারের পিছনে এবং অন্যান্য বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের নিচে বসানো হয়েছে ইলেকট্রিক মোটর।

হার্ডওয়ার সিস্টেম হিসেবে Him-E তে সংযুক্ত থাকবে বড় স্পোক যুক্ত চাকা এবং তার সাথে যে কোনো রাস্তায় চালানোর উপযোগী টায়ার। সামনে ও পিছনে সাসপেনশন সেটআপ হিসাবে ব্যবহৃত হবে Ohlins এর ইউএসডি ফর্কএবং মনোসক অ্যাবজর্ভার। বৈদ্যুতিক মোটরের সঙ্গে চেনের মাধ্যমেই সংযুক্ত থাকবে এর পিছনের চাকা। অনুমান, ২০২৫ সালের মধ্যেই ভারতের বাজারে লঞ্চ হতে পারে বাইকটির প্রোডাকশন ভার্সন।

Him-E প্রজেক্ট সম্বন্ধে বলতে গিয়ে রয়্যাল এনফিল্ডের ই-বাইক বিভাগের প্রধান আধিকারিক মারিও আলভিসি বলেছেন, ” কনসেপ্ট ভার্সনের থেকেও অনেক এগিয়ে ইলেকট্রিক হিমালয়ান। অদূর ভবিষ্যতে আমাদের থেকে কী ধরনের প্রোডাক্ট আপনারা পেতে পারেন কিংবা আমাদের লক্ষ্য সম্বন্ধে ধারণা দেবে এই বাইকটি। বৈদ্যুতিক বাইকের জগতে এটি অন্যতম বড় প্রকল্প। বাইক চালানোর অভিজ্ঞতাকে বৈদ্যুতিকরণ করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে রয়্যাল এনফিল্ড।”