Royal Enfield এর প্রথম ইলেকট্রিক বাইক কবে বাজারে আসবে? বহুচর্চিত প্রশ্নের উত্তর দিল সংস্থা
রয়্যাল এনফিল্ড (Royal Enfield)-এর রেট্রো বাইকগুলির অন্যতম আকর্ষণই হল এর গুরুগম্ভীর ধুকধুক শব্দ। বহু ক্রেতা যার প্রেমে...রয়্যাল এনফিল্ড (Royal Enfield)-এর রেট্রো বাইকগুলির অন্যতম আকর্ষণই হল এর গুরুগম্ভীর ধুকধুক শব্দ। বহু ক্রেতা যার প্রেমে পাগল হয়ে অবশেষে কিনতে বাধ্য হন। আবার রয়্যাল এনফিল্ডের বাইক ব্যবহার করেন না, অথচ এর শব্দ ভীষণ প্রিয়, এমন মানুষের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। কিন্তু বৈদ্যুতিক ভার্সনে এদের বাইক এলে তাতেও কি হৃদয়ে দোলা জাগানো আওয়াজের সুমধুর অনুভূতি পাওয়া যাবে? এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন! তবে রয়্যাল এনফিল্ডের প্রথম ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল বাজারে আসতে এখনও কম করে চার বছর অপেক্ষা করতে হবে। এমনটাই জানালেন রয়্যাল এনফিল্ড ও তার মূল সংস্থা আইশার মোটরসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সিদ্ধার্থ লাল।
সিদ্ধার্থ বলেছেন, সংস্থার বেশ কিছু পরিকল্পনা রয়েছে। যেগুলি সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়িত করতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে। তবে বৈদ্যুতিক মোটরসাইকেল নিয়ে মজাদার কিছু করতে চলেছে রয়্যাল এনফিল্ড। তাঁর কথায়, “আমরা প্রাথমিক কিছু গবেষণা এবং কয়েকটি প্রাথমিক প্ল্যাটফর্মের উপর কাজ করছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কিছুই নির্দিষ্ট নয়। আমার ধারণা সিটি রাইডিংয়ের মতো বৈদ্যুতিক বাইক চালানোও মজাদার হবে। এটি আমাদের নতুন ডিজাইনের উপর কাজ করার নমনীয়তা দেয়।” তিনি আরও জানান, বাইকটি যখন রয়্যাল এনফিল্ডের, তবে সেটি অবশ্যই নতুন কোনো চমক নিয়ে আসবে বলে আশা করা যায়।
পেট্রোল পাশাপাশি ইলেকট্রিক ভার্সনেও কিভাবে রেট্রো মোটরসাইকেলের বাজারে আধিপত্য বজায় রাখা যায়, এখন সেটা মাথায় রেখেই ছক কষছে রয়্যাল এনফিল্ড। সংস্থার সঙ্গে রাজকীয়তা ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে। ফলে সাধারণ ই-বাইক লঞ্চ করবে না তারা। নকশা, কারিগরি, ফিচার্স সব দিক থেকেই সাড়া জাগাবে রয়্যালের প্রথম ব্যাটারি পরিচালিত মোটরসাইকেল।
সিদ্ধার্থ লাল বলেন, “আমাদের ক্লাসিক থেকে মডার্ন ক্লাসিক মডেল রয়েছে। Hunter 350-এ যেমন সাবেকিয়ানার সাথে আধুনিকতার মিশেল রয়েছে। তবে Himalayan-এ তেমন কোনো পুরনো দিনের স্বাদ নেই বললেই চলে। কিন্তু তা সত্ত্বেও সংস্থার আভিজাত্য সম্পূর্ণরূপে বর্তমান এতে। তাই আমরা একদম নিশ্চিত যে বৈদ্যুতিক মডেলটি গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ করবে। নতুন চেসিসটি আমাদের কর্মীরা অতি গুরুত্বের সাথে তৈরি করছে।”