নববর্ষের আগেই খারাপ খবর, রাত পোহালেই দাম বাড়ছে জনপ্রিয় দুই মোটরসাইকেলের

দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে নভেম্বর মাসে মহাসমারহে ভারতে লঞ্চ হহয়েছে Royal Enfield Himalayan 450। নতুন চেহারা এবং সর্বোপরি নিউ ইঞ্জিন সহযোগে লঞ্চ হওয়া ৪৫০ সিসির…

দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে নভেম্বর মাসে মহাসমারহে ভারতে লঞ্চ হহয়েছে Royal Enfield Himalayan 450। নতুন চেহারা এবং সর্বোপরি নিউ ইঞ্জিন সহযোগে লঞ্চ হওয়া ৪৫০ সিসির হিমালয়ান যেন ভারতের অ্যাডভেঞ্চার বাইকের সংজ্ঞা বদলে দিয়েছে। রয়্যাল এনফিল্ডের ইতিহাসে এই প্রথম বাইকটিতে ব্যবহৃত হয়েছে লিকুইড কুল্ড ইঞ্জিন। ইতিমধ্যেই যথেষ্ট ইতিবাচক সাড়া মিলেছে বাইকটির সম্পর্কে। তবে রাত পোহালেই আরও দামি হচ্ছে নতুন প্রজন্মের হিমালয়ান। একইসাথে আগামীকাল থেকেই দাম বাড়ছে বাজাজ-ট্রায়াম্ফ যৌথ উদ্যোগে লঞ্চ করা বাইক, Triumph Speed 400-এর।

Royal Enfield Himalayan 450

হিমালয়ান ৪৫০-এর বেস মডেল কাজা ব্রাউন এর এক্স শোরুম মূল্য ২.৬৯ লাখ টাকা। অন্যদিকে স্লেট হিমালয়ান সল্ট এবং স্লেট পপি ব্লু এই দুটি রঙের ভার্সনের ক্ষেত্রে দাম নির্ধারিত হয়েছে ২.৭৪ লাখ টাকা (এক্স শোরুম)। এর থেকে আরেকটু দামি হলো ক্যামেট হোয়াইট রং এর ভার্সনটি। এটির প্রারম্ভিক এক্স শোরুম মূল্য ২.৭৯ লাখ টাকা। আর হিমালয়ান ৪৫০ এর টপ মডেলটি হল হানলে ব্ল্যাক যার এক্স শোরুম মূল্য ২.৮৪ লাখ টাকা। এই সমস্ত ঘোষিত দাম আজ ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্তই কার্যকর থাকবে। ১লা জানুয়ারি থেকেই বর্ধিত মূল্য কার্যকর হবে সবকটি মডেলের ক্ষেত্রেই।

বাইকটিতে ৪৫২ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার সমৃদ্ধ লিকুইড কুল্ড DOHC ইঞ্জিন সর্বোচ্চ ৪০ পিএস শক্তি এবং সর্বাধিক ৪০.০২ এনএম টর্ক তৈরি করতে পারে। সঙ্গে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছে সিক্স স্পিড গিয়ার বক্স যুক্ত ট্রান্সমিশন সিস্টেম এবং স্ট্যান্ডার্ড ফিচার হিসেবে থাকা স্লিপার ক্লাচ। বাইকের সর্বত্রই এলইডি লাইটের ব্যবহার এবং কালার টিএফটি ডিসপ্লে অন্যতম আকর্ষণের বিষয়। সুরক্ষা ব্যবস্থা হিসাবে উভয় চাকাতেই ডিস্ক ব্রেক এর সাথে ডুয়েল চ্যানেল এবিএস উপলব্ধ।

Triumph Speed 400

চলতি বছরের জুলাইতেই লঞ্চ করেছিল আরো এক প্রবাদপ্রতিম নির্মাতা Triumph-এর এন্ট্রি লেভেল বাইক Speed 400। সকলকে অবাক করে এই বাইকটির এক্স শোরুম মূল্য নির্ধারিত হয়েছিল ২.২৩ লাখ টাকা। রাত পোহালেই Speed 400-এর এক্স শোরুম মূল্য বেড়ে হবে ২.৩৩ লাখ টাকা। একে চালিকাশক্তি সরবরাহ করে ৪০ পিএস শক্তি এবং ৩৭.৫ এনএম টর্ক উৎপাদনকারী ৩৯৮ সিসির লিকুইড কুল্ড ইঞ্জিন। সামনের দিকে ইউএসডি ফর্ক, এলইডি লাইট, রাইড-বাই-ওয়্যার প্রযুক্তি এর মতো আরো অনেক ফিচার রয়েছে এতে।