Royal Enfield Hunter থেকে Honda CB350RS, 2 লাখের মধ্যে এখন বাজারে তুলনাহীন এই বাইকগুলি
মোটরসাইকেল কেনার বাজেট বেশি হলে তখন সামনে আরও বিকল্প চলে আসে। একইভাবে ভারতে দু'লাখ টাকা রেঞ্জের মধ্যে বিভিন্ন দুর্দান্ত...মোটরসাইকেল কেনার বাজেট বেশি হলে তখন সামনে আরও বিকল্প চলে আসে। একইভাবে ভারতে দু'লাখ টাকা রেঞ্জের মধ্যে বিভিন্ন দুর্দান্ত মোটরসাইকেল বর্তমান। কোনটা ছেড়ে কোনটা নেব সেটা নিয়ে দ্বিধা চলে আসে। তবে অবশ্যই এ ক্ষেত্রে কী উদ্দেশ্যে দু'চাকা ব্যবহার করবেন তা একটা বড় ফ্যাক্টর। এই প্রতিবেদনে সংশ্লিষ্ট সেগমেন্টে পাঁচটি সেরা বাইকের সন্ধান রইল।
Royal Enfield Hunter 350
গত সপ্তাহে লঞ্চ হওয়া এই মোটরসাইকেলটি এই মুহূর্তে রয়্যাল এনফিল্ডের সবচেয়ে কম দামি বাইক। তিনটি ভ্যারিয়েন্টে লঞ্চ হয়েছে এই বাইকটি- Retro, Metro Dapper ও Metro Rebel। প্রথম ভ্যারিয়েন্টটিতে দুটি রং ও বাকি দুটি ভ্যারিয়ান্টে তিনটি করে কালার অপশন পাওয়া যাবে। ক্লাসিক ও মিটিওরের ন্যায় একই J সিরিজের ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে এই বাইকে, যার উৎপাদিত সর্বোচ্চ পাওয়ার ও টর্ক যথাক্রমে ২০.২ বিএইচপি ও ২৭ এনএম। যদিও বাইকটির হুইলবেস খানিকটা ছোট। এর এক্স শোরুম মূল্য ১.৪৯ লাখ থেকে শুরু হয়েছে।
TVS Ronin
গত মাসে আত্মপ্রকাশ করা টিভিএসের স্ক্র্যাম্বলার সেগমেন্টের বাইক এটি। মোট তিনটি ভ্যারিয়েন্টের প্রত্যেকটিতে দুই ধরনের কালার স্কিম নিয়ে লঞ্চ করেছে এই বাইকটি। ২২৬ সিসির ইঞ্জিন সমৃদ্ধ এই বাইকটিতে সিঙ্গেল চ্যানেল ও ডুয়েল চ্যানেল এবিএস এই দুই ধরনের অপশনই উপলব্ধ। Ronin এর বেস ভ্যারিয়েন্টের দাম ১.৪৯ লাখ থেকে শুরু হলেও টপ ভ্যারিয়েন্টের এক্স শোরুম মূল্য ১.৭০ লাখ টাকা।
Royal Enfield Classic 350
নতুন J সিরিজের ইঞ্জিনে বলিয়ান হয়ে ক্লাসিক ৩৫০ এখন জনপ্রিয়তার নিরিখে শীর্ষস্থান দখল করে রয়েছে। ৩৪৯ সিসির এয়ার/অয়েল কুল্ড ইঞ্জিন যুক্ত এই নতুন জেনারেশন ক্লাসিকে ইঞ্জিনের কম্পন প্রায় নেই বললেই চলে। ইঞ্জিনটি ৬১০০ আরপিএম গতিতে সর্বোচ্চ ২০.২ বিএইচপি ক্ষমতা ও ৪০০০ আরপিএম গতিতে ২৭ এনএম টর্ক উৎপাদন করতে সক্ষম। সাথে রয়েছে ৫ স্পিড গিয়ার বক্স যুক্ত ট্রান্সমিশন সিস্টেম ও ডুয়েল চ্যানেল এবিএস। রয়্যাল এনফিল্ড ক্লাসিক ৩৫০ এর দাম ১.৯ লাখ থেকে শুরু করে ২.২ লাখ পর্যন্ত বিস্তৃত।
Yamaha R 15 V4
জাপানি এই সংস্থার হাত ধরে ফেয়ারিং যুক্ত স্পোর্টস বাইক সেগমেন্টে বরাবরই ভরসাযোগ্য নাম R15। এই বাইকটির চতুর্থ প্রজন্মের মডেলে ১৫৫ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার, লিকুইড কুল্ড ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে, যার সর্বোচ্চ পাওয়ার ও টর্ক যথাক্রমে ১৮.১ বিএইচপি ও ১৪.২ এনএম। ইঞ্জিনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ৬ ধাপযুক্ত ম্যানুয়াল গিয়াহ বক্স। এতে থাকা ব্লুটুথ সংযোজনযুক্ত ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টারে সমস্ত ধরনের তথ্য দেখা সম্ভব। বাইকটিতে রয়েছে Track ও Street এই দুই ধরনের রাইডিং মোড। সাসপেনশনের দিক সামলানোর জন্য সামনের চাকায় ইউএসডি ফর্ক ও পিছনে মনোশক অ্যাবজর্ভার দেওয়া রয়েছে। R 15 V4 এর এক্স শোরুম প্রাইস ১.৭৯ লাখ টাকা।
Honda H'ness CB350
বলা ভালো হোন্ডা এই বাইকটি লঞ্চ করে সাবেকীয়ানার গন্ধ আবার ফিরিয়ে এনেছে। রেট্রো ডিজাইনের এই H'ness CB350 RS কে চলার রসদ জোগাতে রয়েছে ৩৪৮.৩৬ সিসির এয়ারকুল্ড, সিঙ্গেল সিলিন্ডার যুক্ত ইঞ্জিন। এর থেকে ৩০ এনএম টর্ক পাওয়া যায়। ডুয়েল চ্যানেল এবিএস যুক্ত এই বাইকটির সামনে টেলিস্কোপিক ফর্ক ব্যবহার করা হলেও পিছনে রয়েছে টুইন হাইড্রোলিক সাসপেনশন। বাইকটির রাইডিং এক্সপেরিয়েন্স যথেষ্ট আরামপ্রদ বলে ক্রুজার সেগমেন্টে এর জনপ্রিয়তা উত্তরোত্তর যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। H'ness CB 350এর দাম শুরু হচ্ছে ১.৯৮ লাখ টাকা থেকে।