Hunter 350 নাকি Bajaj Avenger 220? কোন মোটরসাইকেল কিনলে আপনার সবচেয়ে লাভ

গত বছর আগস্টে Hunter 350 রোডস্টার লঞ্চ করে এক বড়সড় ধামাকা এনে হাজির করেছিল Royal Enfield। Classic ও Meteor এর ইঞ্জিন দিয়ে স্বল্প বাজেটের মধ্যে…

গত বছর আগস্টে Hunter 350 রোডস্টার লঞ্চ করে এক বড়সড় ধামাকা এনে হাজির করেছিল Royal Enfield। Classic ও Meteor এর ইঞ্জিন দিয়ে স্বল্প বাজেটের মধ্যে হালকা ওজনের হান্টার অল্প সময়ের মধ্যেই জনপ্রিয়তার শিখরে রাজ করছে। অন্যদিকে এই সেগমেন্টে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই বিক্রি হয়ে আসছে Bajaj Avenger 220 Cruise। স্বাভাবিকভাবেই এই দুই বাইকের মধ্যে কোনটি কেনা উচিত তা নিয়ে কিছুটা বিভ্রান্তি তৈরি হতেই পারে। তাই Royal Enfield Hunter 350 ও Bajaj Avenger 220 Cruise এর মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা রইল এই প্রতিবেদনে।

Royal Enfield Hunter 350 vs Bajaj Avenger 220 Cruise: লুক ও ডিজাইন

দুটি বাইকের ডিজাইন সম্পূর্ণভাবেই আলাদা। লম্বা হুইলবেস, চওড়া হ্যান্ডেল বার, নিচু করা সিট, সামনের দিকে লাগানো ফুটপেগ, ব্যাকরেস্ট এবং সুউচ্চ উইন্ডস্ক্রিন সমৃদ্ধ অ্যাভেঞ্জার ২২০ ক্রুজ কার্যত একটি আদ্যপ্রান্ত ক্রুজার বাইক। বসার ভঙ্গি অনেক আরামদায়ক। অন্যদিকে হান্টার ৩৫০ কিন্তু একটি ছোট চেহারার রোডস্টার বাইক। ডিজাইনও বেশ আধুনিক।

Royal Enfield Hunter 350 vs Bajaj Avenger 220 Cruise: ইঞ্জিন স্পেসিফিকেশন

উভয় ক্ষেত্রেই এয়ার/অয়েল কুল্ড এবং ফুয়েল ইনজেক্টটেড ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। তাছাড়াও দুটি বাইকের মধ্যেই থাকছে ফাইভ স্পিড গিয়ার বক্স। বাজাজ অ্যাভেঞ্জার ২২০ ক্রুজকে চালিকাশক্তি যোগায় ২২০ সিসির শক্তিশালী ইঞ্জিন, যা আইকনিক Pulsar 220F এর মধ্যেও ব্যবহার করা হয়েছে। এই ইঞ্জিনটি ৮৫০০ আরপিএম গতিতে সর্বোচ্চ ১৮.৭৬ বিএইচপি শক্তি এবং ৭০০০ আরপিএম গতিতে সর্বাধিক ১৭.৫৫ এনএম টর্ক উৎপাদন করতে পারে।

অন্যদিকে হান্টার ৩৫০ এর মধ্যে ক্লাসিক ৩৫০ এবং মিটিওর ৩৫০ এর ইঞ্জিনই লাগানো রয়েছে। তবে তা ভিন্নভাবে টিউন করা। হান্টার ৩৫০ কে দৌড়নোর সমস্ত শক্তি সরবরাহ করে ৩৪৯ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন, যা ৬১০০ আরপিএম গতিতে ২০.১১ বিএইচপি শক্তি এবং সর্বাধিক ২৭ এনএম টর্ক উৎপাদন করার ক্ষমতা রাখে।

Royal Enfield Hunter 350 vs Bajaj Avenger 220 Cruise: ফিচার্স

বৈশিষ্ট্যের কথা বলতে গেলে অ্যাভেঞ্জার ২২০ ক্রুজ বাইকটির মধ্যে ফুল ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, স্পোক যুক্ত চাকা, এলইডি ডিআরএল, ও হ্যালোজেন হেডলাইট দেওয়া হয়েছে। হান্টার ৩৫০ তিনটি আলাদা ভ্যারিয়েন্টে উপলব্ধ। এই বাইকটির ক্ষেত্রে সেমি ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, ইউএসবি চার্জিং পোর্ট, হ্যালোজেন হেডলাইট, অ্যালয় হুইল, ডুয়েল চ্যানেল এবিএস এবং ট্রিপার নেভিগেশন সিস্টেম দেখতে পাওয়া যায়। অর্থাৎ ফিচারে হান্টার অনেকটাই এগিয়ে। ।

Royal Enfield Hunter 350 vs Bajaj Avenger 220 Cruise: দাম

আগেই বলেছি হান্টার ৩৫০ বাইকটি তিনটি আলাদা ভ্যারিয়েন্টে কিনতে পাওয়া যায়- রেট্রো, মেট্রো ও মেট্রো রেবেল। বেস মডেলটির এক্স শোরুম মূল্য ১.৫০ লাখ টাকা হলেও টপ ভার্সনটির ক্ষেত্রে তা ১.৭৩ লাখ টাকা। অন্যদিকে, বাজাজ অ্যাভেঞ্জার ২২০ ক্রুজের এক্স শোরুম মূল্য ১.৪৩ লাখ টাকা। খাঁটি ক্রুজার নিতে চাইলে Avenger আদর্শ। তবে সামান্য বেশি খরচ করে আরও আধুনিক ও স্টাইলিশ বাইক চাইলে হান্টার পারফেক্ট।

WhatsApp Follow Button

লেটেস্ট খবর পড়তে হোয়াটসঅ্যাপে

WhatsApp Logo যুক্ত হোন