গত ১৫ মার্চ অর্থাৎ এই মঙ্গলবার একটি স্ক্র্যাম্বলার স্টাইলের মোটরসাইকেল ভারতের বাজারে লঞ্চ করেছে রয়্যাল এনফিল্ড। যার নাম স্ক্র্যাম ৪১১ (Scram 411 )। বাইকটি উঁচু-নীচু রাস্তার পাশাপাশি হাইওয়েতেও চালানোর জন্য উপযুক্ত। অর্থাৎ রয়্যাল এনফিল্ড স্ক্র্যাম ৪১১-এ চেপে অফ-রোড বা অন-রোড দুই ক্ষেত্রেই আরামসে সফর করা যাবে। রয়্যাল এনফিল্ড হিমালায়ান (Royal Enfield Himalayan)-এর বেশ কিছু গুনাগুন এতেও মিললেও মোটরসাইকেল দু’টির মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্যও রয়েছে। এই প্রতিবেদনে Royal Enfield Scram 411 ও Himalayan-এর বৈশিষ্ট্যগত প্রধান পাঁচটি পার্থক্য সম্পর্কে আলোচনা করা হল।
- সামনের চাকা ছোট
রয়্যাল এনফিল্ড স্ক্র্যাম ৪১১-এর সামনের চাকা ১৯ ইঞ্চি, কিন্তু হিমালায়ানে অফ-রোডিংয়ের জন্য উপযুক্ত ২১ ইঞ্চির হুইল দেওয়া হয়েছে। বাইকটির গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্সও কিছুটা কম, ২০০ মিমি। হিমালয়ানের ক্ষেত্রে সেটা ২২০ মিমি।
- ভিন্ন রাইডিং ভঙ্গী
হ্যান্ডেলবারের উচ্চতা কম হওয়ার কারণে Royal Enfield Scram 411-এর রাইডিং পোশ্চারে সামান্য বদল রয়েছে। হ্যান্ডেলবারটি চালকের বেশ কাছে অবস্থিত। চালকের সুবিধার জন্য Royal Enfield Himalayan-এর তুলনায় স্ক্র্যাম ৪১১-র সিটের উচ্চতাও (৭৯৫ মিমি) কম রাখা হয়েছে। ফলে বেঁটে হলেও সওয়ারিতে সমস্যা হবে না৷
ভিন্ন মিটার কনসোল
Royal Enfield Scram 411 একটি বেসিক সিঙ্গেল পড ক্লাস্টারের সাথে বিকল্প হিসেবে ট্রিপার নেভিগেশন সিস্টেম সহ হাজির হয়েছে। অন্যদিকে হিমালায়ান-এ ট্রিপার নেভিগেশন সিস্টেমটি স্ট্যান্ডার্ড মডেলের সাথেই রয়েছে।
আপডেটেড বডি প্যানেল
যেখানে হিমালয়ানে দেওয়া হয়েছে একটি ফ্রন্ট বডি মাউন্টেড স্ট্যাটিক হেডল্যাম্প, সেখানে স্ক্র্যাম ৪১১-এ আছে ডাইনামিক বার মাউন্টেড ফ্রন্ট হেডল্যাম্প। এছাড়া স্ক্র্যাম ৪১১-র বডি প্যানেলে একাধিক পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে, যেমন, হিমালয়ের মতো এতে পেছনের দিকে লাগেজ ক্যারিয়ার র্যাক এবং ফ্রন্ট সেফটি বার অনুপস্থিত। আবার হিমালয়নে স্প্লিট সিটের দেখা মেলে, কিন্তু স্ক্র্যাম ৪১১-র সিটটি হল সিঙ্গেল।
আলাদা ইঞ্জিন টিউনিং
দু’টি বাইকেই ৪১১ সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন রয়েছে, যা থেকে ৩২ এনএম টর্ক পাওয়া যায়। এমনকি দুটিতেই ৫-স্পিড গিয়ার বক্স লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু স্ক্র্যাম ৪১১-এর ইঞ্জিনের টিউনিংটি ভিন্ন।