Hunter এর পর নতুন প্রজন্মের Bullet, রয়্যাল এনফিল্ড এর 350 সিসির দুই বাইক নিয়ে প্রত্যাশা তুঙ্গে
ভারতের রেট্রো ডিজাইনের বাইক তৈরির জনপ্রিয়তম সংস্থা রয়্যাল এনফিল্ড (Royal Enfield) গত বছরই ঘোষণা করেছিল যে ২০২২-এর...ভারতের রেট্রো ডিজাইনের বাইক তৈরির জনপ্রিয়তম সংস্থা রয়্যাল এনফিল্ড (Royal Enfield) গত বছরই ঘোষণা করেছিল যে ২০২২-এর প্রতি ত্রৈমাসিকে তারা একটি নতুন মডেল হাজির করবে। মোটের ওপর ক্লাসিক স্টাইলপ্রেমীদের রাতের ঘুম কাড়তে একাই দায়িত্ব নিয়েছে চেন্নাইয়ের সংস্থাটি। নতুন Classic 350 ও Meteor 350-র পর এবারে সবচেয়ে কম দামের Royal Enfield Hunter 350 নিয়ে আসতে কোমর বেঁধেছে তারা। যা আগস্টে লঞ্চ হতে পারে। তবে এতেই শেষ নয়, গ্রাহকদের আবেগে ভরিয়ে তুলতে মুখিয়ে রয়েছে অনেকের কাছে চিরকালের সেরা রেট্রো বাইক Royal Enfield Bullet 350।
Royal Enfield Hunter 350
Royal Enfield এর সবচেয়ে সস্তা মডেল হিসাবে জল্পনায় থাকা Hunter 350 আগস্টের প্রথমে লঞ্চ হতে চলেছে। রোডস্টার বাইকটিতে ৩৪৯.৩৪ সিসি, সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন থাকবে। ইঞ্জিন থেকে ২০ হর্সপাওয়ার উৎপন্ন হবে। মোটরসাইকেলটির দৈর্ঘ্য ২,০৫৫ মিমি, প্রস্থ ৮০০ মিমি, উচ্চতা ১,০৫৫ মিমি, হুইলবেস ১,৩৭০ মিমি এবং ওজন (কার্ব) ৩৬০ মিমি।
Hunter 350-তে সংস্থার চিরাচরিত টেলিস্কোপিক ফ্রন্ট ফর্ক এবং পেছনে ডুয়েল শক অ্যাবসর্বার থাকছে। এতে সিঙ্গেল চ্যানেল এবং ডুয়েল চ্যানেল এবিএস অপশন সহ ডিস্ক ব্রেকের দেখা মিলবে। Meteor-এর চাইতে ছোট সুইং আর্ম, নতুন ফুয়েল ট্যাঙ্ক এবং একটি সিঙ্গেল পিস সিট আছে। এর দাম ১.৪ লাখ টাকার কাছাকাছি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
Royal Enfield Bullet 350
Royal Enfield Classic 350, Meteor 350, Hunter 350-এর মতো Bullet 350 -ও নতুন ‘J’প্ল্যাটফর্মে উপর ভিত্তি করে তৈরি হচ্ছে। সম্প্রতি কোনরকম আবরণ ছাড়াই রাস্তায় দেখা গিয়েছে বাইকটি। পুরনো ঘরানার সাথে এতে নতুন ডিজাইন লক্ষ্য করা গিয়েছে। যেমন আগের মতই এতে গোলাকার হেডলাইট, টুইন পাইলট লাইট, রাউন্ড রিয়ার ভিউ মিরর এবং বৃত্তাকার ইন্ডিকেটর থাকছে। বৃহৎ হ্যান্ডেল বারের সাথে আপ রাইট রাইডিং পজিশান অফার করা হবে এতে।
Royal Enfield Bullet 350 এ জে প্ল্যাটফর্মের অর্ন্তগত ৩৪৯ সিসির সেই সিঙ্গেল এয়ার কুল্ড ইঞ্জিনে থাকবে। যা Classic 350 ও Meteor 350-এও রয়েছে। এর ক্ষমতা ২০.২ বিএইচপি এবং টর্ক ২৭ এনএম। সঙ্গে থাকবে ৫-স্পিড গিয়ার বক্স। এছাড়া সাসপেনশনের জন্য এতে দেওয়া হবে টেলিস্কোপিক ফ্রন্ট ফর্ক এবং রিয়ার টুইন শক অ্যাবজর্ভার। সামনে ডিস্ক এবং পেছনে ড্রাম ব্রেকের সাথে সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস সিস্টেম থাকবে। আবার পুরনো মডেলের মতো স্পোক হুইল ও ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টারের ডিজাইন অপরিবর্তিত থাকতে চলেছে।