Saera Electric ভারতে কারখানা খুলল, 25 কোটি টাকা লগ্নি করবে, 300 কর্মসংস্থানের সুযোগ

আগামী দিনের বৈদ্যুতিক গাড়ির মত এক সম্ভাবনাময় শিল্পকে পাখির চোখ করে এগোতে চাইছে দেশ- বিদেশের নানা সংস্থা। এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগের সম্ভাবনাও…

আগামী দিনের বৈদ্যুতিক গাড়ির মত এক সম্ভাবনাময় শিল্পকে পাখির চোখ করে এগোতে চাইছে দেশ- বিদেশের নানা সংস্থা। এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগের সম্ভাবনাও প্রকট হচ্ছে। বৈদ্যুতিক যানবাহনের যন্ত্রপাতির ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময়ই বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলির ওপর ভরসা করতে হয় দেশীয় সংস্থাগুলিকে। সেই নির্ভরশীলতা কাটাতে এবার তৎপর হল এক স্বনামধন্য ভারতীয় নির্মাতা। গতকাল রাজস্থানের ভিওয়াড়িতে অত্যাধুনিক ম্যানুফ্যাকচারিং ফেসিলিটির উদ্বোধন করেছে সায়রা ইলেকট্রিক অটো প্রাইভেট লিমিটেড (SEAPL)।

দুই চাকার বৈদ্যুতিক গাড়ির ফ্রেম ও চ্যাসিস নির্মাণ হবে উৎপাদন কেন্দ্রটিতে। ওই ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিটে ধাপে ধাপে ২৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে সায়েরা গোষ্ঠী। বর্তমানে তাদের উৎপাদন ক্ষমতা বছরে প্রায় ৭৫০০ ইউনিট। নতুন লগ্নির মাধ্যমে বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়ে ৫০,০০০ ইউনিট করাই তাদের লক্ষ্য। আবার সুদূর ভবিষ্যতে এই কারখানার উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়ে মাসে ৫ লক্ষ ইউনিট করার লক্ষ্য রাখছে সংস্থাটি।

সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর নিতিন কাপুর বলেন, “ভিওয়াড়িতে নির্মিত আমাদের নতুন কারখানা দূষণহীন ও সুরক্ষিত বৈদ্যুতিক যানবাহন তৈরি করার ক্ষেত্রে আমাদের যথেষ্ট সাহায্য করবে। তার সাথে বৈদ্যুতিক যানবাহনের ক্রমবর্ধমান চাহিদাকে পূরণ করবে এটি।”

সায়েরা তাদের নতুন কারখানায় সমস্ত কার্য দেখভালের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে ৫০ জন দক্ষ কর্মী নিয়োগ করলেও, হলেও আগামীতে উৎপাদন বৃদ্ধির সঙ্গে তা বাড়িয়ে ৩০০ জন করা হবে বলে জানা গেছে। ২০১১ সালে ভারতের বাজারে যাত্রা শুরু করেছিল সায়েরা। শুরুতে তারা L3 ক্যাটাগরির বৈদ্যুতিক যানবাহন যেমন ই-রিক্সা, ই-কার্ট লোডার এবং কম গতিশীল ইলেকট্রিক স্কুটারের যন্ত্রাংশ তৈরি ও সরবরাহের কাজে যুক্ত ছিল। আর এভাবেই এই শিল্পে শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান রূপে পরিচিতি লাভ করেছে।

প্রসঙ্গত, সায়েরা দেশের প্রথম সংস্থা যারা ময়ূরী (Mayuri) ব্র্যান্ড নাম ব্যবহার করে ভারতে ব্যাটারি চালিত রিক্সা লঞ্চ করে। এছাড়াও, Yogo Bike ব্র্যান্ডের অধীনে বর্তমানে কমগতির বৈদ্যুতিক স্কুটার উৎপাদন করছে তারা। সংস্থার দাবি, দু’চাকা হোক বা চার অথবা তিন চাকা, তাদের প্রতিটি মডেলের নকশা এবং উৎপাদন অত্যন্ত আধুনিক পদ্ধতিতে সম্পন্ন হয়।