Electric Bike: ফোনে স্ক্যান করে ই-বাইক নিয়ে যান, নামমাত্র খরচে যাতায়াতের নয়া মাধ্যম মেট্রোয়
পরিবেশ দূষণ রোধে তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করল নয়ডার প্রশাসন। সেখানকার ৬২টি মেট্রো স্টেশনে এবার থেকে মিলবে ইলেকট্রিক...পরিবেশ দূষণ রোধে তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করল নয়ডার প্রশাসন। সেখানকার ৬২টি মেট্রো স্টেশনে এবার থেকে মিলবে ইলেকট্রিক বাইক পরিষেবা। এই মর্মে নয়ডা কর্তৃপক্ষের সাথে চুক্তিবদ্ধ একাবেসরকারি সংস্থা ৩০০-র বেশি বৈদ্যুতিক বাইক ভাড়ায় দেবে। যাত্রীরা সেগুলি ভাড়া নিয়ে শহরের যে কোনো গন্তব্যে নির্ঝঞ্ঝাটে পৌঁছতে পারবেন।
এই প্রসঙ্গে নয়ডা কর্তৃপক্ষের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার এসপি সিং বলেন, যাত্রীদের কম খরচে, পরিবেশবান্ধব উপায়ে যাত্রার জন্য এই পরিষেবা। তাঁর কথায়, “স্টেশন থেকে যাত্রীদের দূষণহীণ পদ্ধতিতে গন্তব্যে পৌঁছানোয় উৎসাহিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। নয়ডা ৬২টি বাইক ডকিং এবং চার্জিং স্টেশন তৈরি করেছে। প্রতিটি স্টেশনে কমপক্ষে পাঁচটি বাইক থাকবে। চাহিদা বাড়লে বাইকের সংখ্যা ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে।”
মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ইলেকট্রিক সাইকেলগুলি ব্যবহার করা যাবে। অ্যাপ নির্ভর ই-বাইক পরিষেবা সমস্ত দিল্লিতেই মিলবে। নয়ডার সেক্টর ১-১৬, ফিল্ম সিটি সেক্টর, ডিএসসি রোড, স্পাইস মল সহ আরো একাধিক অঞ্চলে চার্জিং স্টেশন তৈরি করা হয়েছে। যাত্রীরা যেকোনো ডকিং স্টেশন থেকে ই-বাইক ভাড়া নিতে পারবেন। যেই ডকিং স্টেশন থেকে ই-বাইক ভাড়া নেওয়া হয়েছে কেবলমাত্র সেখানেই ফেরত দেওয়ার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। সামান্য কিছু অর্থের বিনিময়ে সুরক্ষার সাথে পথ চলতে পারবেন গ্রাহকরা। এতে থাকবে জিপিএস ব্যবস্থা।
প্রতিদিন সকাল ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ডকিং স্টেশন থেকে ই-বাইকগুলি ভাড়া নেওয়া যাবে। তবে ভবিষ্যতে চাহিদা বাড়লে পরিষেবার সময়সীমা দীর্ঘায়িত করা হতে পারে। মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে একটি QR কোড স্ক্যান করে ই-বাইক রিজার্ভ করা যাবে। ই-বাইকের স্টেশনে কোনো মানুষের প্রয়োজন পড়বে না। রাইড শেষ হওয়ার পর গ্রাহকের মোবাইলে একটি টেক্সট মেসেজ যাবে। দিনে এবং রাতে পার্কিং করার জন্য বাইকে থাকবে পাওয়ার এবং একটি লকিং সিস্টেম। প্রয়োজন পড়লে স্টেশনগুলিতে শিফট অনুযায়ী সহকারী রাখা হবে। আগামী পাঁচ বছরের জন্য রক্ষণাবেক্ষণের থাকবে একটি বেসরকারি সংস্থা। মাসুলও নামমাত্র হবে বলে জানা গিয়েছে।