সরকারি সাহায্য বন্ধ, ইলেকট্রিক বাইক-স্কুটার ও গাড়ি কেনার খরচ বাড়ছে এই রাজ্যে
পরিবেশ দূষণের চোখ রাঙানিকে জব্দ করতে আইসিই বা জীবাশ্ম জ্বালানি যানবাহনের ব্যবহারে লাগাম টানার বার্তা দিয়েছিলেন...পরিবেশ দূষণের চোখ রাঙানিকে জব্দ করতে আইসিই বা জীবাশ্ম জ্বালানি যানবাহনের ব্যবহারে লাগাম টানার বার্তা দিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। বিকল্প পথ হিসেবে যাতায়াতের জন্য বেশি সংখ্যক পরিবেশবান্ধব ইলেকট্রিক গাড়ি ব্যবহারের বিধান দেওয়া হয়েছিল। সেই পথ সুগম করতে কেন্দ্রের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজ্য সরকার পালা ধরে ইভি পলিসি বা বৈদ্যুতিক গাড়ি নীতি ঘোষণা করেছিল। ভারতের বৈদ্যুতিক যানবাহন তৈরির আঁতুড় ঘর তামিলনাড়ু সরকারও সেই পথেই হেঁটেছিল। কিন্তু এবারে তা শেষ হওয়ার কথা ঘোষণা করল সে রাজ্যের সরকার। ইভি পলিসির মেয়াদ বাড়ানো অথবা অতিরিক্ত কিছু সুযোগ-সুবিধা সরবরাহের প্রসঙ্গে অবশ্য কিছু বলেনি রাজ্য প্রশাসন।
তামিলনাড়ু সরকারের বৈদ্যুতিক নীতির আওতায় প্রথমবার ইলেকট্রিক টু-হুইলার কিনলে ১০০% পথকর ছাড় পাওয়া যেত। এছাড়াও বিনামূল্যে নথিভুক্তকরণের সুবিধা দেওয়া হতো। কিন্তু নতুন বছরে সেই সুবিধা শেষ হল। আর এতেই একলাফে যে কোনো ব্যাটারি নির্ভর দু’চাকার গাড়ি কেনার খরচ নিদেনপক্ষে ১৫% বৃদ্ধি পেতে চলেছে। কিছু কিছু মডেলের ক্ষেত্রে খরচ বৃদ্ধির হার ১৫ শতাংশের বেশি।
আসলে বৈদ্যুতিক যানবাহনের বিক্রিতে গতি সঞ্চার করতে বেশিরভাগ রাজ্য সরকার ইভি পলিসির মেয়াদ মোটামুটি ২ বছরের জন্য বৈধ রাখার কথা ঘোষণা করেছিল। তাই বছর দুয়েক পর যে মেয়াদ উত্তীর্ণ হবে, সেটাই স্বাভাবিক। তামিলনাড়ু প্রশাসন ২০২০-এর ২ নভেম্বর ওই নীতি কার্যকর করেছিল। আর ২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর তার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে।
এতোদিন উক্ত নীতির আওতায় বৈদ্যুতিক গাড়ির ক্ষেত্রে ৫০-১০০% পথকরের ছাড় পাওয়া যেত। এমনকি ইলেকট্রিক ভেহিকেল চার্জিং পরিকাঠামোর উন্নয়নেও সরকারি ভর্তুকি মিলেছে। এদিকে তামিলনাড়ুতে বৈদ্যুতিক নীতির আওতায় গত দু’বছরে কত সংখ্যক যানবাহন বিক্রি হয়েছে, তার কোনো পরিসংখ্যান প্রকাশ হয়নি। কোভিড অতিমারির সময় এই নীতি কার্যকর হয়েছিল। সে সময় সেমিকন্ডাক্টর চিপের আকাল, কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধির মতো চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়েছিল গাড়ি সংস্থাগুলিকে।