ইলেকট্রিক ভেহিকেলের রোড ট্যাক্স সম্পূর্ণ মকুব, নতুন EV পলিসির ঘোষণা দক্ষিণের রাজ্যে
পরিবেশ দূষণ রোধে বৈদ্যুতিক যানবাহনের গুরুত্ব অপরিসীম। যা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত। সেকথা বিবেচনা করে তামিলনাড়ু সরকার তাদের...পরিবেশ দূষণ রোধে বৈদ্যুতিক যানবাহনের গুরুত্ব অপরিসীম। যা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত। সেকথা বিবেচনা করে তামিলনাড়ু সরকার তাদের ২০২৩-এর বৈদ্যুতিক গাড়ি নীতি বা ইলেকট্রিক ভেহিকেল পলিসি সর্বসমক্ষে নিয়ে এল। এই নীতির আওতায় ৫০,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে। ফলস্বরূপ দক্ষিণ ভারতের রাজ্যটিতে ১.৫০ লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি হবে। পাশাপাশি এই বৈদ্যুতিক নীতি প্রণয়নের ফলে রাজ্যের ইলেকট্রিক যানবাহন প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলির ব্যবসায় জোয়ার আসবে বলে আশাবাদী সরকার। এমনকি রাজ্যের লাস্ট মাইল মোবিলিটি ক্ষেত্রে সরকারের ইভি-র ব্যবহার চাঙ্গা করা লক্ষ্য পূরণ সহজ হবে।
তামিলনাড়ুর বৈদ্যুতিক গাড়ি নীতি
২০২৫-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত বৈধ এই বৈদ্যুতিক নীতির আওতায় পথ করে ১০০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে অন্যান্য সুযোগ সুবিধা। রাজ্যের সমস্ত ব্যক্তিগত বৈদ্যুতিক গাড়ি, টু-হুইলার, অটোরিকশা, পরিবহণের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত যানবাহন এবং লাইট গুডস ক্যারিয়ার-কে ইভি নীতির আওতাধীন করা হয়েছে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন গত মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে ইভি পলিসি প্রকাশ করেন। এই নীতি প্রণয়ন করতে দেখে এটি স্পষ্ট যে তামিলনাড়ুতে বৈদ্যুতিক যানবাহন ব্যবহার বৃদ্ধি করতে মরিয়া সরকার। আর সে কারণেই এই লোভনীয় সুযোগ সুবিধাগুলি আনা হয়েছে। প্রশাসনের লক্ষ্য রাজ্যে একটি ইভি ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা। আর এটি তখনই সম্ভব, যখন বৈদ্যুতিক গাড়ির যন্ত্রাংশ নির্মাতা, উচ্চ প্রশিক্ষিত কর্মী এবং গবেষণা ও নির্মাণ কেন্দ্রগুলিকে বিশেষভাবে সুবিধা দেওয়া।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, তামিলনাড়ু ইতিমধ্যেই বৈদ্যুতিক যানবাহনের নির্মাণকারী তালুক হিসেবে নেতৃত্ব প্রদান করছে। Ather Electric, Ola Electric-এর মতো ইলেকট্রিক টু-হুইলার সংস্থাগুলি সে রাজ্যে ঘাঁটি গেড়েছে। নতুন হলেও অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সুনাম অর্জন করেছে কোম্পানিগুলি। ২০২৩ ইভি পলিসি রাজ্যের সাফল্যে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলেই আশা করা হচ্ছে।
আবার পলিসির নথি বলছে, রাজ্যের প্রশাসন বিভিন্ন সংস্থার সাথে মৌ স্বাক্ষর করেছে। চুক্তি অনুযায়ী, তামিলনাড়ুর বৈদ্যুতিক যানবাহনের বাজারে কোম্পানিগুলি প্রায় ২৪,০০০ কোটি টাকা লগ্নি করবে। এতে কমবেশি ৪৮,০০০ মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে। রাজ্য সরকারের লক্ষ্য এক্ষেত্রে ৫০,০০০ কোটির বিনিয়োগ নিয়ে আসা। যাতে ১.৫ লক্ষ কর্মসংস্থান এবং একটি শক্তপোক্ত ইভি ইকোসিস্টেম তৈরি করা যায়।