Tata Atroz ও Punch এর CNG ভার্সন জুনের মধ্যেই লঞ্চ হতে পারে, চমক থাকবে বুট স্পেসে
ভারত বরাবরই পেট্রল-ডিজেলের মতো জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যাপারে অন্যান্য দেশের উপর নির্ভরশীল। এদেশের সঞ্চিত বৈদেশিক মুদ্রার...ভারত বরাবরই পেট্রল-ডিজেলের মতো জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যাপারে অন্যান্য দেশের উপর নির্ভরশীল। এদেশের সঞ্চিত বৈদেশিক মুদ্রার বেশিরভাগটাই খরচ হয় খনিজ তেল আমদানি করতে। যে কারণেই এদেশের পেট্রোল-ডিজেলের দাম মাত্রাতিরিক্ত। তাই জ্বালানির প্রয়োজন মেটাতে এবং অন্য দেশের উপর এই ব্যাপারে নির্ভরশীলতা কমাতে সিএনজি অর্থাৎ প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার চালু হয়েছে অনেকদিন থেকেই। এদেশের রাস্তায় চলাচল করা বিভিন্ন গাড়িতেই ব্যবহৃত হয় এই প্রাকৃতিক গ্যাস। একদিকে যেমন খানিকটা অর্থসাশ্রয়ের সুযোগ মেলে, তেমনই পরিবেশকেও কিছুটা স্বস্তি দেওয়া সম্ভব হয়।
গত মাসেই দিল্লিতে আয়োজিত অটো এক্সপোতে টাটা মোটরস তাদের জনপ্রিয় দুটি মডেলের সিএনজি ভ্যারিয়েন্ট প্রদর্শন করে। প্রথমটি হল প্রিমিয়াম হ্যাচব্যাক Altroz, আর দ্বিতীয়টি হল মাইক্রো এসইউভি মডেল-Punch। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে Tiago এবং Tigor এর সিএনজি সংস্করণ লঞ্চ করে এই ধরনের গাড়ির বাজারে প্রবেশ করেছিল টাটা। এবার তারা বাজারে নিয়ে আসছে Altroz CNG ও Punch CNG। লঞ্চ হতে পারে জুনের মধ্যেই।
সিএনজি গাড়ির পিছনে বুট স্পেসে গ্যাস ট্যাংক লাগানো থাকে বলে তা অনেকটাই জায়গা দখল করে থাকে। ফলে পিছনের অংশে জিনিসপত্র রাখা নিয়ে সমস্যায় পড়েন গ্রাহকরা। সেই সমস্যার সমাধান অবশ্য করে ফেলেছে ফেলল এবার টাটা। সামনেই আগত Altroz এবং Punch এর সিএনজি ভ্যারিয়েন্টে রয়েছে স্প্লিট ট্যাংক সেটআপ। অর্থাৎ গাড়ি দুটির মধ্যে দুটি ছোট সিএনজি ট্যাঙ্ক বসানো রয়েছে বুট অংশের নিচের ফ্লোরে, যার ফলে বুট স্পেসের ব্যবহারযোগ্য জায়গা অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে।
যদিও সাধারণ মডেলের তুলনায় এই সিএনজি ভ্যারিয়েন্টে বুথ স্পেস কতটা অপরিবর্তিত থাকবে তা এখনো পর্যন্ত নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। Altroz এবং Punch মডেল দুটির সাধারণ পেট্রোল ডিজেল চালিত সংস্করণে যথাক্রমে ৩৪৫ লিটার এবং ৩৬৬ লিটার বুট স্পেস মেলে। প্রসঙ্গত, নতুন এই মডেলে থাকা সিএনজি ট্যাংকের প্রতিটির ক্যাপাসিটি ৩০ লিটার।
এই দুটি গাড়ির ইঞ্জিন স্পেসিফিকেশনে নজর দিলে দেখা যাবে Altroz এবং Punch উভয় ক্ষেত্রেই তিনটি সিলিন্ডার যুক্ত ১.২ লিটারের পেট্রল ইঞ্জিন ব্যবহৃত হয়েছে। ইঞ্জিন থেকে ৮৬ পিএস পাওয়ার এবং ১১৩ এনএম টর্ক উৎপন্ন হয়। অন্যদিকে সিএনজি মোডে এই ইঞ্জিন থেকে উৎপাদিত পাওয়ার এবং টর্ক আউটপুট যথাক্রমে ৭৭ পিএস এবং ৯৩ এনএম। সাথে রয়েছে পাঁচ ধাপ যুক্ত ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন। Tiago CNG এর মতোই Altroz এবং Punch এর ক্ষেত্রে প্রতি কেজি গ্যাসে প্রায় ২৬-২৭ কিমি পথ অতিক্রম করা যাবে বলে দাবি করা হয়েছে।
অন্যদিকে এই গাড়ি দুটির বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে ৭ ইঞ্চির টাচ স্ক্রিন যুক্ত ইনফোটেনমেন্ট সিস্টেম, অ্যান্ড্রয়েড অটো এবং অ্যাপেল কার প্লে সংযুক্তিকরন, সেমি ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, ইঞ্জিন স্টার্ট/স্টপ বোতাম, অটোমেটিক ক্লাইমেট কন্ট্রোল এবং হাইট এডজাস্টেবল ড্রাইভার সিট। এছাড়াও দামের প্রসঙ্গে বলতে গেলে সিএনজি সংস্করণের জন্য সাধারণ মডেলের তুলনায় অন্তত ৯০,০০০- ১ লাখ টাকা অতিরিক্ত খরচ করতে হতে পারে।