কৌতুহলের অবসান! Tata Altroz CNG-এর মাইলেজ প্রকাশ্যে, মারুতির থেকে কম না বেশি

বিগত কয়েক বছরে দেশে পেট্রোল ও ডিজেল চালিত গাড়ির পাশাপাশি সিএনজি মডেলও বেশ ভাল বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে Maruti Suzuki-র ঝুলিতে এই ধরনের গাড়ি সবচেয়ে বেশি…

বিগত কয়েক বছরে দেশে পেট্রোল ও ডিজেল চালিত গাড়ির পাশাপাশি সিএনজি মডেলও বেশ ভাল বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে Maruti Suzuki-র ঝুলিতে এই ধরনের গাড়ি সবচেয়ে বেশি থাকলেও, হালে ইন্দো-জাপানি সংস্থাটিকে টেক্কা দিতে ময়দানে নেমেছে Tata Motors।
বিভিন্ন বাজেট ফ্রেন্ডলি গাড়ির সিএনজি ভ্যারিয়েন্ট লঞ্চ করছে তারা। সংস্থার এমনই এক জনপ্রিয় হ্যাচব্যাক হল Altroz। গাড়িটির সিএনজি ভ্যারিয়েন্ট গত মে মাসে লঞ্চ করেছে। দাম ৭.৫৫ লাখ টাকা থেকে শুরু এবং টপ ভার্সনের মূল্য ১০.৫৫ লাখ টাকা। এবার Altroz CNG এর মাইলেজ প্রকাশ্যে আনলো টাটা।

Tata Altroz CNG এর মাইলেজ ঘোষণা হল

অ্যালট্রোজ সিএনজি তে শক্তি সরবরাহ করে টাটার বহু পরিচিত ১.২ লিটার ৩ সিলিন্ডার ইঞ্জিন। পেট্রোল ভার্সনের ক্ষেত্রে ইঞ্জিনটির পাওয়ার এবং টর্ক আউটপুট যথাক্রমে ৮৮ এইচপি এবং ১১৫ এনএম। যেখানে সিএনজি মোডে পাওয়ার এবং টর্ক আউটপুট তুলনমূলকভাবে কম। আল্ট্রোজ সিএনজি সর্বোচ্চ ৭৭ এচপি ক্ষমতা এবং ১০৩ এনএম টর্ক উৎপন্ন করতে সক্ষম।

টাটা মোটরস দাবি করেছে, প্রতি কেজি সিএনজি গ্যাসে প্রায় ২৬.২ কিমি পথ পাড়ি দিতে পারবে এটি। টাটা অ্যালট্রোজ সিএনজি এর অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী হলো Maruti Baleno এবং Toyota Glanza এর সিএনজি ভার্সন। এই দুটিতেই সর্বোচ্চ ৭৭ হর্সপাওয়ার উৎপন্ন হলেও টর্ক মাত্র ৯৮.৫ এনএম। তবে এরা আরও বেশি জ্বালানি সাশ্রয়কারী হিসাবে পরিচিত। প্রতি কেজি সিএনজি মাইলেজ মেলে ৩০.৬১ কিমি।

Tata Altroz CNG: ভ্যারিয়েন্ট ও ফিচার্স

অ্যালট্রোজ সিএনজি ছ’টি ভ্যারিয়েন্টে বাজারে উপলদ্ধ – XE, XM+, XM+ (S), XZ, XZ+ (S) and XZ+ O (S)। গাড়িটির অন্যতম আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হল সানরুফ। যা XM+ (S), XZ+ (S) and XZ+ O (S) ভ্যারিয়েন্টে দেখা যায়। উল্লেখ্য, প্রথম সিএনজি হ্যাচব্যাক হিসাবে অ্যালট্রোজে সানরুফ উপলব্ধ।

গাড়িটিতে টাটা মোটরসের নিজস্ব ফিচার হিসাবে ডুয়াল সিলিন্ডার ব্যবহার করা হয়েছে। বুট ফ্লোরের নিচে উপস্থিত রয়েছে দুটি ৩০ লিটারের গ্যাস ট্যাংক। ঠিক এই কারণেই আর পাঁচটি সাধারণ সিএনজি গাড়ির র তুলনায় অ্যালট্রোজ এর বুট স্পেস অনেকটাই বেশি।

উপরন্তু শুরুতেই সরাসরি সিএনজি মোডে চলা শুরু করতে পারে টাটার এই প্রিমিয়াম হ্যাচব্যাক। অন্যান্য বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে রয়েছে ডিজিটাল ড্রাইভার ডিসপ্লে, ৭.০ ইঞ্চির টাচ স্ক্রীন, ভয়েস অ্যাক্টিভেটেড সানরুফ, স্বয়ংক্রিয় ক্লাইমেট কন্ট্রোল, ইঞ্জিন স্টার্ট/স্টপ বাটন, অ্যান্ড্রয়েড অটো ও অ্যাপল কারপ্লে। এছাড়াও আছে চালকের সিট এর উচ্চতা নির্ণয় করার ব্যবস্থা, ১৬ ইঞ্চির অ্যালয় হুইল, পিছনের দিকের এসি ভেন্ট, লেদারেট এর সিট, সেন্ট্রাল আর্ম রেস্ট ইত্যাদি।

WhatsApp Follow Button

লেটেস্ট খবর পড়তে হোয়াটসঅ্যাপে

WhatsApp Logo যুক্ত হোন