ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যাটারি উৎপাদনে 42,000 কোটি টাকা বিনিয়োগের ঘোষণা করল Tata
সমগ্র বিশ্বে ইলেকট্রিক গাড়ি যে হারে রমরমিয়ে বিক্রি হচ্ছে, তাতে ব্যাটারির উৎপাদন না বাড়ালে জোগান-শৃঙ্খলে ঘাটতি দেখা...সমগ্র বিশ্বে ইলেকট্রিক গাড়ি যে হারে রমরমিয়ে বিক্রি হচ্ছে, তাতে ব্যাটারির উৎপাদন না বাড়ালে জোগান-শৃঙ্খলে ঘাটতি দেখা দিতে পারে। তাই কার্যত বিভিন্ন গাড়ি কোম্পানি নিজেরাই এক্ষেত্রে ময়দানে নেমে পড়েছে। বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি তৈরিতে হাত পাকাতে উৎসাহী টাটা গোষ্ঠীওঞ (Tata Group)। ভারতীয় কোম্পানিটি এবারে ব্রিটেনে ইভি ব্যাটারি প্ল্যান্ট তৈরির জন্য ৪০০ কোটি পাউন্ড বা প্রায় ৪২,০০০ কোটি টাকার বেশি অর্থ লগ্নির কথা ঘোষণা করেছে। এখানে উৎপাদিত ব্যাটারি প্রাথমিক পর্যায়ে Tata Motors ও Jaguar Land Rover-কে সরবরাহ করা হবে। ২০২৬ থেকে সেটি শুরু হবে বলে নিশ্চিত করেছে কোম্পানি।
টাটা গোষ্ঠী ব্রিটেনে ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যাটারি কারখানা তৈরি করবে
নতুন ইভি ব্যাটারি কারখানার সক্ষমতা থাকবে ৪০ গিগাওয়াট। যাতে বছরে ৫ লক্ষ গাড়িতে ব্যাটারি জোগান দেওয়া যায়। ২০২৬ থেকে ব্যাটারির উৎপাদন শুরু করার লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে টাটা সন্স-এর চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন বলেন, “টাটা গোষ্ঠী ইউরোপের অন্যতম বৃহত্তম ব্যাটারি তৈরির কারখানা ব্রিটেনে গড়ে তুলবে। আমাদের এই বিপুল বিনিয়োগ দেশে বিশ্বমানের প্রযুক্তি নিয়ে আসবে। যা ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরিতে আমাদের এবং Jaguar Land Rover-কে সহায়তা করবে।”
তিনি যোগ করেন, “এই কৌশলগত বিনিয়োগ ব্রিটেনে টাটা গোষ্ঠীর প্রতিশ্রুতিকে দৃঢ় করবে। আমাদের কোম্পানি সে দেশে টেকনোলজি, কনজিউমার, সেবামূলক পরিষেবা, স্টিল, কেমিক্যাল এবং অটোমোটিভ-এর ব্যবসা করে। এই বিনিয়োগের সুবিধা পাওয়ার জন্য আমি ব্রিটেনের প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”
যদিও ব্রিটেনের কোথায় ইলেকট্রিক ভেহিকেলের ব্যাটারি তৈরির কারখানা গড়ে তোলা হবে, সে প্রসঙ্গে এখনও কিছু নির্দিষ্টভাবে জানায়নি টাটা গোষ্ঠী। বর্তমানে পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তির সম্প্রসারণে জোর দেওয়ার পরিকল্পনা করছে কোম্পানি। জানানো হয়েছে, ব্যাটারির রিসাইক্লিন করে এর কাঁচামাল পুনরায় ব্যবহার করা হবে, যাতে আর্থিক ইকো সিস্টেমের চাকার গতি অব্যাহত থাকে।
এদিকে ভারতের বাইরে ব্রিটেনে এই প্রথম গিগা ফ্যাক্টরি তৈরি করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। তাঁর বক্তব্য, “এটি যে দেশে কর্মসংস্থান তৈরি হবে তাই নয়, পাশাপাশি সমগ্র বিশ্বে ইলেকট্রিক ভেহিকেলের বাজারে আমাদের নেতৃত্ব প্রদান করতে সহায়তা করবে। ফলে আমাদের অর্থনীতির বিকাশ ঘটবে।”