দেশের অন্যতম সুরক্ষিত গাড়িও বাঁচাতে পারল না, ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু 3 জনের
ইদানিং ক্রেতারা গাড়িতে বেশি সেফটি ফিচার্সের খোঁজ করছেন। তার একমাত্র কারণ গাড়িটি যাতে বাইরের যে কোন অভিঘাত সহ্য করতে...ইদানিং ক্রেতারা গাড়িতে বেশি সেফটি ফিচার্সের খোঁজ করছেন। তার একমাত্র কারণ গাড়িটি যাতে বাইরের যে কোন অভিঘাত সহ্য করতে পারে। ভেতরে থাকা চালক ও যাত্রীদের যত বেশি সুরক্ষা প্রদান করতে পারবে, সেই মডেলের কদর ততই বেশি। এক্ষেত্রে কোন গাড়ি কতটা বেশি সুরক্ষা দিতে সক্ষম, তা জানা যায় গ্লোবাল এনক্যাপ (GNCAP)-এর ক্র্যাশ টেস্ট থেকে। যদিও এদেশে GNCAP-এর বিধি মেনে সম্প্রতি ভারত এনক্যাপ (BNCAP) গাড়ির ক্র্যাশ টেস্ট নেওয়া শুরু করেছে।
যাই হোক, সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় দেখা গেছে, ৫-স্টার রেটিং থাকা সত্ত্বেও দুর্ঘটনা কবলিত টাটা মোটরসের (Tata Motors) একটি এসইউভি গাড়ির শোচনীয় অবস্থা। মডেলটি যেন মুড়ির টিনের মত দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে। যাত্রীরা আদৌ প্রাণে বেঁচে রয়েছেন কিনা তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।
এখন বিষয় হচ্ছে, গাড়িতে ৫-স্টার রেটিং থাকার অর্থ এমনটা নয় যে, যেমনভাবে খুশি গাড়ি চালালেও কিচ্ছু হবে না। সেফ ড্রাইভ – কতটা জরুরী, তা এই দুর্ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। গাড়িটি ছিল Tata Harrier facelift। সুরক্ষার বিচারে যা ৭-আসন সংখ্যার মডেল Tata Safari-র সমগোত্রীয় বলা যায়। এতে প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশু উভয় যাত্রীদের জন্যই উচ্চ সুরক্ষাবলয় রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও গাড়িটির এমন বেহাল দশা সামনে এসেছে।
Tata Harrier Facelift দুর্ঘটনা
‘প্রতীক সিং’ নামক এক ইউটিউব চ্যানেল মারফত এই দুর্ঘটনার কথা জানা গেছে। কোন গাড়ি কতটা সুরক্ষিত, কেমন ফিচারস ও পারফর্মেন্স – এই সম্পর্কিত বিভিন্ন পর্যালোচনা করা হয় এই চ্যানেলে। সূত্রের দাবি, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসি'তে। এতে পাঁচ জন যাত্রী ছিলেন। দুর্ভাগ্যবশত দুর্ঘটনায় পেছনের সারিতে বসে থাকা তিনজনের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। চালক ও চালকের পাশে যাত্রী গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
যদিও দুর্ঘটনা কিভাবে ঘটেছে সেই সম্পর্কিত বিশদ তথ্য সামনে আসেনি। আরেক সূত্র মারফত দাবি করা হয়েছে পাঁচ জন যাত্রী বর্তমানে বেঁচে রয়েছেন। সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় এখন তাঁরা হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। এমন দাবির সত্যতা যাচাই করে দেখা হয়নি। তবে গাড়ির যা অবস্থা তাতে করে যাত্রীদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। উপরিউক্ত ঘটনা থেকে এটা বলা যায় যে, গাড়ি যতই সেফটি ফিচারস থাকুক না কেন, সুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফিরতে হলে সুরক্ষার সাথে গাড়ি চালানোর কোন বিকল্প নেই।