Tata Motors তাদের বাড়তে থাকা জনপ্রিয়তার উপর ভরসা রেখে এই অর্থবর্ষে 50,000 ইলেকট্রিক গাড়ি বেচার লক্ষ্য নিল
চলতি অর্থবর্ষে ৫০ হাজার ইলেকট্রিক গাড়ি বিক্রির লক্ষ্য নিয়ে এগোতে চায় টাটা মোটরস (Tata Motors)। ৩১ মার্চের আগে এই...চলতি অর্থবর্ষে ৫০ হাজার ইলেকট্রিক গাড়ি বিক্রির লক্ষ্য নিয়ে এগোতে চায় টাটা মোটরস (Tata Motors)। ৩১ মার্চের আগে এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে চেষ্টার কসুর করবে না তারা। আবার পরবর্তী অথর্বর্ষে তার দ্বিগুণ অর্থাৎ বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি ১ লাখ ইউনিটে পৌঁছতে দেখতে চায় ভারতীয় সংস্থাটি। গত সোমবার শেয়ারহোল্ডারদের এক মিটিংয়ে এমনই পরিকল্পনার কথা জানালেন টাটা মোটরস-এর চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন।
তিনি উক্ত বৈঠকে বলেন, "বিশ্বজুড়ে সেমিকন্ডাক্টর চিপের যোগান শৃঙ্খলের যে সমস্যা ছিল, তা ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। উপরকরণের দাম মাথাচড়া দিয়ে উঠলেও তা ধীরে ধীরে নেমে আসছে। ফলে সংস্থার বিক্রি ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে আরও বাড়বে বলেই তিনি বিনিয়োগকারীদের কাছে আশাপ্রকাশ করেছেন।" উল্লেখ্য, বিগত অথবর্ষে ১৯,১০৫টি ব্যাটারি পরিচালিত গাড়ি বেচেছে টাটা। যা আগের বছরের তুলনায় ৩৫৩ শতাংশ বেশি।
এদিকে গত মাসে ৩,৫০৭টি ইলেকট্রিক গাড়ি বেচেছে টাটা। আর ২০২২-২৩ আর্থিকবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে (এপ্রিল-জুন) সংস্থার ৯,২৮৩টি ব্যাটারি পরিচালিত গাড়ি বিক্রি হয়েছে। বলতে গেলে Nexon EV, Tigor EV ও Nexon EV Max -এর কাঁধে ভর করে বর্তমানে ভারতের বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারের সিংহভাগ জুড়ে রয়েছে টাটা মোটরস। ক্রমশ বাকিদের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে তারা।
এদিকে তেল আমদানির পরিমাণ কমিয়ে রাজকোষের খরচ সামলানো এবং পরিবেশ দূষণের কমানোর লক্ষ্যে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার বাড়ানোয় জোর দিচ্ছে মোদি সরকার। কেন্দ্রের লক্ষ্য, ২০৩০-এর মধ্যে বিক্রি হওয়া সমস্ত গাড়ির ৩০ শতাংশ হবে ইলেকট্রিক। যেটা এখন ১ শতাংশ। আবার রাস্তায় চলা ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল ও স্কুটারের মধ্যে ৮০ শতাংশ হবে বৈদ্যুতিক৷ যা বর্তমানে ২ শতাংশ। উল্লেখ্য, এই ধরনের গাড়ি কিনতে আর্থিক সুবিধা দিতে অনেক বছর আগেই ফেম-টু প্রকল্প চালু হয়েছে।