Tata Motors প্রতিপক্ষদের টেক্কা দিয়ে জিতল বড় টেন্ডার, 1500 ইলেকট্রিক বাস দেবে সরকারকে

প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে বড় টেন্ডার হাতে পেল টাটা মোটরস (Tata Motors)। পাঁচটি বা দশটি নয়, একসাথে ১,৫০০টি ইলেকট্রিক...
SUMAN 23 July 2022 5:40 PM IST

প্রতিদ্বন্দ্বীদের হারিয়ে বড় টেন্ডার হাতে পেল টাটা মোটরস (Tata Motors)। পাঁচটি বা দশটি নয়, একসাথে ১,৫০০টি ইলেকট্রিক বাসের বরাত পেল তারা। সংস্থাটি যা সরবরাহ করবে দিল্লি সরকারকে। দিল্লির পরিবহণ দপ্তর (DTC)-এর থেকে এই লোভনীয় বরাত পাওয়ার কথা আজ ঘোষণা করেছে টাটা। কনভারজেন্স এনার্জি সার্ভিসেস (CES)-এর ডাকা দরপত্র থেকে এই বরাত জিতে নিয়েছে দেশের বৃহত্তম বাণিজ্যিক গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থাটি। দিল্লির পরিবহণ দপ্তরের সাথে চুক্তি অনুযায়ী, বাসগুলি ডেলিভারির পর আগামী ১২ বছরের জন্য সেগুলি রাস্তায় চালানো এবং বাতানুকূল ব্যবস্থার রক্ষণাবেক্ষণের দায়ভার টাটাকেই নিতে হবে। নিচু মেঝের বাসগুলি লম্বায় হবে ১২ মিটার।

এই প্রসঙ্গে সিইএসএল-এর এমডি এবং সিইও মহুয়া আচার্য বলেন, “সিইএসএল-এর গ্র্যান্ড চ্যালেঞ্জের আওতায় ডিটিসি যে এই ইলেকট্রিক বাসের বৃহৎ বরাত দিয়েছে তাতে আমরা ভীষণ খুশি। ইলেকট্রিক বাস ব্যবহারের ক্ষেত্রে দিল্লি সরকার অনুকরণীয় নেতৃত্ব দেখিয়েছে। এর থেকে উপকৃত হতে পেরে আমরা সৌভাগ্যবান। এবং টাটা মোটরসকে তাদের উদার সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানাই।”

অন্য দিকে দিল্লির পরিবহণ দপ্তরের শীর্ষকর্তা নীরজ সেমওয়াল বলেন, “টাটা মোটরসকে ১৫০০টি ইলেকট্রিক বাসের বরাত নিশ্চিত করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এই পরিবেশবান্ধব বাসগুলি বায়ু দূষণ কমাতে সাহায্য করবে। লক্ষ লক্ষ দিল্লিবাসী চলাফেরার ক্ষেত্রে উপকৃত হবেন। যাত্রী ও বৃহৎ সমাজের জন্য নতুন প্রযুক্তি নিয়ে আসার ক্ষেত্রে ডিটিসি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

টাটা মোটরসের সহ-সভাপতি (প্রোডাক্ট লাইন–বাস) রোহিত শ্রীবাস্তবের কথায়, “ডিটিসি-র থেকে ইলেকট্রিক বাসের বৃহত্তম বরাত পেয়ে আমরা খুশি। বাসগুলির ডেলিভারি ডিটিসি-র সাথে আমাদের অংশীদারিত্ব আরও মজবুত করবে। একই সাথে দিল্লির পরিবেশবান্ধব পরিবহণে সহায়তা করবে।” প্রসঙ্গত, বর্তমানে টাটা মোটরস দেশে পরিবেশবান্ধব যানবাহন নিয়ে আসার জন্য নিরন্তর কাজ করে চলেছে। যেমন ব্যাটারি-ইলেকট্রিক, হাইব্রিড, সিএনজি, এলএনজি এবং হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল টেকনোলজি। এখনও পর্যন্ত সংস্থাটি বিভিন্ন রাজ্যে ৬৫০টি বৈদ্যুতিক বাস সরবরাহ করেছে।

Show Full Article
Next Story