বছরের শুরুতেই পরপর ধাক্কা, জানুয়ারির পর ফেব্রুয়ারি মাসেও Tata-র গাড়ির দাম বাড়ছে
দেশে সকল পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্কটকালীন পরিস্থিতিতে গোদের ওপর বিষ ফোঁড়া হয়ে দেখা দিল টাটা মোটরস (Tata Motors)-এর...দেশে সকল পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্কটকালীন পরিস্থিতিতে গোদের ওপর বিষ ফোঁড়া হয়ে দেখা দিল টাটা মোটরস (Tata Motors)-এর গাড়ির দাম বাড়ানোর ঘোষণা। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে যাত্রীবাহী গাড়ির দাম ১.২ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে চলেছে দেশীয় সংস্থাটি। ২০২৩-এর জানুয়ারির পর এই নিয়ে দু’মাসে পরপর দু’বার ক্রেতাদের কাঁধে দর বৃদ্ধির বোঝা চাপানো হল।
Tiago এবং Punch থেকে শুরু করে Safari ও Harrier SUV মডেলগুলি এদেশে বিক্রি করে টাটা। এই অল্পদিনের ব্যবধানে পুনরায় দাম বাড়ানোর কারণ স্বরূপ ফের কাঁচামালের ব্যয় বৃদ্ধিকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে তারা। নতুন বডি স্টাইলের এসইউভি এবং ব্যাটারি চালিত টেকনোলজির ওপর কাজ করা সংস্থাটি অবিরাম গাড়ির দাম বাড়িয়ে চলেছে।
এই প্রসঙ্গে সংস্থার তরফে এক অফিসিয়াল বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “কোম্পানি খরচ বৃদ্ধির একটি বৃহৎ অংশ নিজের কাঁধে বহন করছে। যার কারণ ইনপুট খরচ বেড়ে যাওয়া। সেজন্য ব্যয় বৃদ্ধির বোঝার কিছুটা অংশ ক্রেতাদের সাথেও ভাগ করে নেওয়া হচ্ছে।” প্রসঙ্গত, টাটা মোটরস কেবলমাত্র সংস্থা নয়, যারা সম্প্রতি গাড়ির দাম বাড়িয়েছে। প্রায় প্রতিটি যাত্রীবাহী গাড়ির নির্মাতা গত বছর ডিসেম্বরে তাদের পণ্যের দর মহার্ঘ করার পথ বেছে নিয়েছে।
দাম বেড়ে যাওয়ার ফলে ২০২৩-এর প্রথম দিন থেকেই গাড়ি কেনার জন্য ক্রেতাদের অতিরিক্ত অর্থ গুণতে হয়েছে। সংস্থাগুলির তরফে সাফাই উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়া এবং মুদ্রাস্ফীতির কারণে এই পদক্ষেপ। এদিকে, বিশ্বের মধ্যে যানবাহন বিক্রিতে জাপানকে পেছনে ফেলে ভারত চতুর্থ থেকে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে। যার নেপথ্যে যাত্রীবাহী গাড়ির প্রতি চাহিদার বাড়বাড়ন্তকে কৃতিত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধির ধারা বজায় থাকলে চাহিদায় প্রভাব পড়তে পারে বলেই মনে করছেন একদল বিশেষজ্ঞ।