Tata Motors এর যে 3 গাড়ি সবচেয়ে বেশি কিনছেন ভারতীয়রা
করোনা পরবর্তী সময়ে ভারতে গাড়ির চাহিদা তুলনামুলক ভাবে বেড়েছে। কিছু ক্ষেত্রে বিক্রির নিরিখে ২০১৯-কেও হার মানাচ্ছে ২০২২।...করোনা পরবর্তী সময়ে ভারতে গাড়ির চাহিদা তুলনামুলক ভাবে বেড়েছে। কিছু ক্ষেত্রে বিক্রির নিরিখে ২০১৯-কেও হার মানাচ্ছে ২০২২। এদিকে দেশের তৃতীয় বৃহত্তম গাড়ি সংস্থা হিসেবে টাটা মোটরসের (Tata Motors) বিক্রিতে ঘটছে উত্থান। প্রতি মাসেই কোনো না কোনো নতুন রেকর্ড তৈরি করছে তারা। গত মাসে মোট ৪৭,৫০৫টি যাত্রীবাহী গাড়ি বিক্রি করেছে তারা। যার মধ্যে অন্যতম অবদান রেখেছে Tata Nexon, Punch ও Altroz। জুলাইয়ে কোন মডেল কতগুলি বিক্রি হয়েছে চলুন দেখে নেওয়া যাক।
Tata Nexon
বর্তমানে ভারতের সর্বাধিক জনপ্রিয় এসইউভি গাড়ি Tata Nexon। আবার এটি টাটার বেস্ট-সেলিং মডেল। গত মাসে মোট ১৪,২১৪টি নেক্সন বিক্রি করেছে টাটা। যেখানে আগের বছর জুলাইয়ে এটি বিক্রি হয়েছিল ১০,২৮৭ ইউনিট। ফলে গতবারের তুলনায় এবারে ৩৮% বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে। Tata Nexon পেট্রোল এবং ডিজেল উভয় ইঞ্জিনের বিকল্পে উপলব্ধ। আবার ম্যানুয়াল এবং অটোমেটিক গিয়ারবক্স সহ বেছে নেওয়া যায় গাড়িটি। এছাড়া ইলেকট্রিক ভার্সনেও বিক্রি হয় এটি। সম্প্রতি Nexon EV-র লং রেঞ্জ ভার্সনে এসেছে, যার নাম Nexon EV Max। প্রথাগত জ্বালানির পাশাপাশি বৈদ্যুতিক সেগমেন্টেও শীর্ষস্থানে রয়েছে নেক্সন।
Tata Punch
দেশের সর্বাধিক সুরক্ষিত গাড়ি হিসেবে জয়ধ্বজা উড়িয়ে চলেছে Tata Punch। বিক্রিতে সাব কম্প্যাক্ট এসইউভি মডেলটিও কোনো অংশে কম যায় না। জুলাইয়ে এর বেচাকেনার পরিমাণ ছিল ১১,০০৭। এটি ১.২ লিটার পেট্রোল ইঞ্জিনে অফার করা হয়। যা থেকে ৮৪ বিএইচপি শক্তি এবং ১১৩ এনএম টর্ক উৎপন্ন হয়। এটি ম্যানুয়াল এবং অটোমেটিক গিয়ার বক্স সহ বেছে নেওয়া যায়। ১ লিটার জ্বালানিতে ১৮.৯ কিমি পথ চলতে পারে গাড়িটি। বাজারে এর প্রতিপক্ষ মডেলগুলি হল Citroen C3, Maruti Suzuki Ignis ও Mahindra KUV100।
Tata Altroz
টাটার বেস্ট সেলিং মডেলগুলির মধ্যে তিন নম্বরে রয়েছে Tata Altroz। গত মাসে গাড়িটি মোট ৬,১৫৯ ইউনিট বিক্রি হয়েছে। তুলনাস্বরূপ আগের বছর জুলাইয়ে এর বেচাকেনার পরিমাণ ছিল ৬,৯৮০। ফলে আগের বারের তুলনায় বিক্রিতে ১২% পতন ঘটেছে। Tata Altroz একটি ১.২ লিটার NA পেট্রল ইঞ্জিন, ১.২ লিটার টার্বো পেট্রোল এবং ১.৫ লিটার ডিজেল ইঞ্জিনে বেছে নেওয়া যায়। ম্যানুয়াল এবং অটোমেটিক উভয় গিয়ারবক্সের বিকল্প রয়েছে এতে। ন্যাচারালি অ্যাস্পিরিটেড পেট্রোল ইঞ্জিনটি থেকে ৮৫ বিএইচপি, ডিজেল মিল থেকে ৮৯ বিএইচপি এবং টার্বো পেট্রোল ভার্সন থেকে ১০৮ বিএইচপি আউটপুট উৎপন্ন হয়।