অবিশ্বাস্য! Tata-র গাড়িতে ধাক্কা মেরে হেঁচড়ে নিয়ে গেল লরি, তার পরেও সম্পূর্ণ অক্ষত সবাই
ভারতবর্ষের মতো অধিক জনবসতিপূর্ণ দেশে সড়কপথে প্রতিনিয়তই ঘটে চলেছে নানা ধরনের দুর্ঘটনা। আর এই জাতীয় দুর্ঘটনা থেকে...ভারতবর্ষের মতো অধিক জনবসতিপূর্ণ দেশে সড়কপথে প্রতিনিয়তই ঘটে চলেছে নানা ধরনের দুর্ঘটনা। আর এই জাতীয় দুর্ঘটনা থেকে অনেকটাই রক্ষা করতে পারে শক্তপোক্ত গাড়ি। এখান থেকেই জন্ম নিয়েছে "সেফেস্ট কার" এর ভাবনা। ভারতবর্ষ সহ বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন গাড়ি নির্মাতারা যাত্রীগণের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে নানাবিধ সুরক্ষা কবচের ব্যবস্থা করেন। আর এই পর্যাপ্ত সুরক্ষার ধরনের উপরেই মেলে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সেফটি রেটিং। এবার যদি প্রশ্ন করা হয় ভারতবর্ষের অন্যতম সুরক্ষিত গাড়ি কোনটি? এক বাক্যেই এর উত্তর আসবে টাটা নেক্সন (Tata Nexon)।
বিগত দিনে টাটার এই কম্প্যাক্ট এসইউভি গাড়িটি সুরক্ষার প্রশ্নে ফুল মার্কস নিয়ে সমস্ত পরীক্ষায় পাস করেছে। সম্প্রতি আরও একটি দুর্ঘটনার খবরে এই তত্ত্বেই যেন কঠোরভাবে সিলমোহর পড়ে গেল। কয়েকদিন আগেই টাটা নেক্সন-এর মালিকদের নিয়ে তৈরি এক ফেসবুক গ্রুপে একটি দুর্ঘটনার খবর ছবিসহ প্রকাশ করেন শুভম নামে জনৈক এক ব্যক্তি। তার কথায় প্রবাল বেগে ধেয়ে আসা একটি ট্রাকের সাথে সজোরে ধাক্কা লাগে একটি টাটা নেক্সনে গাড়ির। ধাক্কা মেরে কিছুটা হেঁচড়ে নিয়ে যায় ট্রাকটি।
তবে সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা সত্বেও গাড়ির মধ্যে বসে থাকা একজন ব্যক্তির গায়েও এক ফোঁটা আঁচড় পর্যন্ত লাগেনি। ফেসবুকে শেয়ার করা ছবি থেকে স্পষ্ট ড্রাইভারের আসনের দিকে সজোরে ধাক্কা লাগায় সেই অংশের দরজার বনেট অনেকটাই থুবড়ে গিয়েছে। ছবি থেকে ধাক্কার অভিঘাত খানিকটা আন্দাজ করা যায়। তাই আবারও নিজেকে "নিরাপদ গাড়ি" হিসেবে তুলে ধরল টাটা নেক্সন।
প্রসঙ্গত এ যাবৎ কাল পর্যন্ত টাটা নেক্সন গাড়িটি ভারতবর্ষের প্রথম গাড়ি, যা GNCAP কর্তৃক ক্র্যাশ টেস্ট রেটিং-এ পাঁচ স্টার ছিনিয়ে এনেছে। অর্থাৎ সুরক্ষার বিষয়ে ফুল মার্কস পেয়েছে টাটা নেক্সন। এই গাড়িতে ব্যবহৃত অত্যন্ত শক্তিশালী বনেট ও সুরক্ষার সমস্ত ধরনের বন্দোবস্তের কারণেই জুটেছে এই তকমা। নেক্সনে রয়েছে ইলেকট্রনিক্স স্টেবিলটি কন্ট্রোল, ইবিডি সহ এবিডি প্রযুক্তি, রোল ওভার মিডিকেশন, হিল হোল্ড কন্ট্রোল, এমার্জেন্সি ব্রেক অ্যাসিস্ট, ব্রেক ডিস্ক ওয়াইপিং এবং ডুয়েল এয়ার ব্যাগ।