Tata Motors তাদের জনপ্রিয় দুই ইলেকট্রিক গাড়ির দাম বাড়িয়ে দিল, জেনে নিন এখন কত খরচ
একদিকে জ্বালানি তেলের দামে ছ্যাকা, অন্যদিকে দোসর হয়ে দাঁড়িয়েছে গাড়ির ক্রমবর্ধমান মূল্য। মহার্ঘের এই দুই ফলায়...একদিকে জ্বালানি তেলের দামে ছ্যাকা, অন্যদিকে দোসর হয়ে দাঁড়িয়েছে গাড়ির ক্রমবর্ধমান মূল্য। মহার্ঘের এই দুই ফলায় বিঁধছেন গ্রাহকরা। জুলাই মাস শুরু হতেই প্রথাগত জ্বালানির সমস্ত যাত্রীবাহী ও বাণিজ্যিক গাড়ির দর বাড়িয়েছে টাটা মোটরস (Tata Motors)। এবারে দেশের বেস্ট-সেলিং ইলেকট্রিক মডেল Tata Nexon EV ও Tata Nexon EV Max-এর মূল্য বৃদ্ধির পথে হাঁটলো সংস্থা। মডেল পিছু এক লাফে ৬০,০০০ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়ানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, মূল্যবৃদ্ধির আগে Tata Nexon EV-র বেস মডেল অর্থাৎ XM ভ্যারিয়েন্টটির দাম ছিল ১৪.৫৪ লাখ টাকা (এক্স-শোরুম)। কিন্তু ৪৫,০০০ টাকা বৃদ্ধির পর গাড়িটির বর্তমান এক্স-শোরুম মূল্য ১৪.৯৯ লক্ষ টাকা। এর XZ+ ভ্যারিয়েন্টের দাম ২০,০০০ টাকা বেড়েছে। যা এই রেঞ্জের মধ্যে নূন্যতম। বর্তমানে এর দাম ১৬.৪৯ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম)। অন্যদিকে টপ স্পেক সংস্করণ XZ+ Lux-এর দাম ৩৫,০০০ টাকা বেড়ে হয়েছে ১৭.৫০ লাখ টাকা (এক্স-শোরুম)।
সমস্ত ভ্যারিয়েন্টের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে সদ্য লঞ্চ হওয়া Tata Nexon EV Max-এর। চারটি ভ্যারিয়েন্টের প্রতিটির দাম ৬০,০০০ টাকা বেড়েছে। মূল্যবৃদ্ধির পর বর্তমানে গাড়িটির দাম ১৮.৩৪ লাখ টাকা (এক্স-শোরুম) থেকে শুরু। প্রিমিয়াম মডেলটির মূল্য ১৯.৮৪ লাখ টাকা (এক্স-শোরুম)। এটি হল Nexon EV-র লং রেঞ্জ ভার্সন। বৃহৎ ব্যাটারি এবং অধিক শক্তিশালী ইলেকট্রিক মোটর থাকায় রেঞ্জ এবং পারফরম্যান্স দুইই বেড়েছে।
Tata Nexon EV Max-এ উপস্থিত একটি শক্তিশালী ৪০.৫ কিলোওয়াট আওয়ার ব্যাটারি প্যাক। যা নেক্সনের স্ট্যান্ডার্ড মডেলে উপস্থিত ৩০.২ কিলোওয়াট আওয়ার ব্যাটারির চাইতেও বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন। ফলে যেখানে স্ট্যান্ডার্ড ভার্সনে ৩১২ কিমি রেঞ্জ পাওয়া যায় সেখানে মডেলটি ৪৩৭ কিমি বলে দাবি করা হয়। যদিও স্ট্যান্ডার্ড ও ম্যাক্স মডেলটির বাস্তবিক রেঞ্জ যথাক্রমে ২০০ কিমি ও ৩০০ কিমির কাছাকাছি।
আবার Tata Nexon EV Max-এ ৭.২ কিলোওয়াট চার্জিং সিস্টেম উপলব্ধ থাকায় স্ট্যান্ডার্ড ভার্সনের চাইতে কম সময়ে ব্যাটারি চার্জ হয়ে যায়। ৩.২ কিলোওয়াট চার্জার দিয়ে স্ট্যান্ডার্ড মডেলটি সম্পূর্ণ চার্জ হতে যেখানে ৯ ঘন্টা সময় লাগে, সেখানে ম্যাক্স মডেলের ব্যাটারি ৭ ঘন্টাতেই সম্পূর্ণ চার্জ করা যায়। আবার ডিসি ফাস্ট চার্জারে সম্পূর্ণ চার্জ হতে এক ঘন্টার কাছাকাছি সময় লাগে।