Tata Nexon EV: সবচেয়ে কম সময়ে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, নতুন রেকর্ড গড়ার পথে টাটার বৈদ্যুতিক গাড়ি
নতুন রেকর্ড গড়ার পথে বেরিয়ে পড়ল Tata Nexon EV Max। মাত্র চার দিনে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী যাত্রা করবে গাড়িটি। গত...নতুন রেকর্ড গড়ার পথে বেরিয়ে পড়ল Tata Nexon EV Max। মাত্র চার দিনে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী যাত্রা করবে গাড়িটি। গত শনিবার, ২৫শে ফেব্রুয়ারি শ্রীনগর থেকে যাত্রা শুরু হয়েছে। শুধু চার্জ নেওয়ার জন্য থেমে বাকি সময়টা নন স্টপ রাইডের ফলে ৪,০০০ কিমি দূরত্বের সফর সম্পন্ন করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে । মূলত ইলেকট্রিক গাড়িতে সওয়ার হয়ে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারীর দূরত্ব সবচেয়ে কম সময়ে শেষ করাই অভিযানের উদ্দেশ্য।
Tata Nexon EV Max এর অভিযানের পিছনে রয়েছে বৈদ্যুতিক গাড়ির কার্যকারিতা প্রমাণের লক্ষ্য
সমগ্র যাত্রাপথে Nexon EV Max-কে ভারতীয় উপমহাদেশের আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা এবং বিভিন্ন ধরনের অঞ্চল দিয়ে যেতে হবে। এই ধরনের চ্যালেঞ্জ নেওয়ার পিছনে রয়েছে নেক্সন এর মত ইলেকট্রিক গাড়ির এই দীর্ঘ যাত্রাপথ পাড়ি দেওয়ার ক্ষমতা এবং সমগ্র দেশ জুড়ে ছড়িয়ে থাকা পাবলিক চার্জিং পরিকাঠামোর কথা জনসমক্ষে নিয়ে আসার উদ্দেশ্য।
সম্প্রতি, Nexon EV Max এর রাইডিং রেঞ্জ বাড়িয়ে ৪৫৩ কিমি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি সমগ্র দেশজুড়ে হাইওয়ের পাশে টাটা পাওয়ারের তৈরি চার্জিং প্রযুক্তির বিকাশ ঘটিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে ইভি চার্জিং ব্যবস্থা অনেক সহজলভ্য করা হয়েছে। এর ফলে ইলেকট্রিক গাড়ির মালিকদের মধ্যে এক আলাদা ধরনের মানসিক প্রশান্তির পাশাপাশি সাধারণ জনগণকে আরো বেশি সংখ্যক ইলেকট্রিক মোবিলিটির পথে আকর্ষিত করতে সুবিধা হবে।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো Nexon EV Max সর্বপ্রথম ইলেকট্রিক গাড়ি হিসাবে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু যান চলাচলযোগ্য রাস্তা উমলিং লা পাস অতিক্রম করেছে, যা সমুদ্রতল থেকে ১৯,০২৪ ফুট উঁচুতে অবস্থিত। গতবছর সেপ্টেম্বরে একদল অভিজ্ঞ চালক উমলিং লা পাস অতিক্রম করে এবং Nexon EV Max এর নাম ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-এর পাতায় তোলে ।
Tata Nexon EV Max: রেঞ্জ, চার্জিং
টেস্টিং অথোরিটির শংসাপত্র অনুযায়ী, এখন সম্পূর্ণ চার্জে Nexon EV Max সর্বোচ্চ ৪৫৩ কিমি পর্যন্ত চলতে সক্ষম। যদিও এটা পরীক্ষিত রেঞ্জ নয়। গাড়িটিতে রয়েছে একাধিক রাইডিং মোড ও বিভিন্ন ধরনের চার্জিং এর অপশন। ডিসি ফাস্ট চার্জিং, এসি ফাস্ট চার্জিং এর পাশাপাশি সাধারণ ১৫ অ্যাম্পিয়ারের প্লাগ পয়েন্ট এর মাধ্যমেও এটিকে চার্জ দেওয়া সম্ভব। এর ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও চার্জিং এর বিষয়টি কোন সমস্যা সৃষ্টি করবে না। ৫০ কিলোওয়াট এর ডিসি ফার্স্ট চার্জার এর মাধ্যমে একে মাত্র এক ঘণ্টাতেই ০-৮০% পর্যন্ত চার্জ হয়ে যায়।
Tata Nexon EV Max: ফিচার্স
Nexon EV Max তে রয়েছে বেশ কিছু অত্যাধুনিক ফিচার যা এই ইলেকট্রিক এসইউভি গাড়িটিকে যে কোনো ধরনের অবস্থাতেই স্বাচ্ছন্দে চলাচল করতে সাহায্য করে। এরমধ্যে অন্যতম কয়েকটি বৈশিষ্ট্য হলো- i-VBAC সহ ESP, হিল ডিসেন্ট কন্ট্রোল, IP67 রেটিং যুক্ত ব্যাটারি প্যাক এবং মোটর, অটোর ডিমিং IRVM, হাই গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স, হাই ওয়াটার ওয়েডিং ক্যাপাসিটি, ইলেকট্রনিক পার্কিং ব্রেক এবং অটো ভেহিকেল হোল্ড।
থকাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী যাত্রার কথা বলতে গিয়ে টাটা প্যাসেঞ্জার ইলেকট্রিক মোবিলিটি লিমিটেডের প্রধান বিবেক শ্রীবাস্তব বলেছেন, "এক নতুন অবিস্মরণীয় প্রযুক্তি চালু করতে হলে বাস্তবিক জগতে এবং বাস্তবিক অবস্থায় তার ব্যবহারিক উপযোগিতা সকলকে জানানো প্রয়োজন। Nexon EV Max কে সাথে নিয়ে এই অসাধারণ যাত্রা পথ শেষ করে আমরা বর্তমানের পাশাপাশি আগামীদিনের ইলেকট্রিক ভেহিকেল এর মালিকদের নেক্সন এর লম্বা রেঞ্জ এবং চার্জিং স্টেশনের ব্যবহারের পাশাপাশি টাটা পাওয়ারের ইকো সিস্টেমকে সমস্ত প্রমাণ দিয়ে জানাতে চাইছি।"