'গাড়ি ফেরত নিয়ে যান', Tata-র বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে নেটমাধ্যমে পোস্ট মহিলার
ভারতের বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারে Tata Nexon EV-এর সাফল্য বাস্তবেই প্রশংসার দাবি রাখে। যার নেপথ্যে রয়েছে এসইউভিটির সুরক্ষা...ভারতের বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারে Tata Nexon EV-এর সাফল্য বাস্তবেই প্রশংসার দাবি রাখে। যার নেপথ্যে রয়েছে এসইউভিটির সুরক্ষা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা। অসংখ্য গ্রাহক দেশের বেস্ট সেলিং এই ব্যাটারি চালিত গাড়িতে পরিবেশবান্ধব উপায়ে পথ চলার আনন্দ উপভোগ করছেন। আবার গাড়িটি ব্যবহার করে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন, এমন ক্রেতার সংখ্যাও নেহাত ককম নয় । যাদের মধ্যে বেশিরভাগ অভিযোগ Nexon EV-এর রেঞ্জ কমে যাওয়া। সম্প্রতি নেক্সন ইভি-র এমনই এক ব্যবহারকারীরা নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতা নেটমাধ্যমে উগরে দিয়েছেন।
কারমেলিটা ফার্নান্ডেজ নানে এক মহিলা টুইটারে নিজের গাড়ির বেহাল দশার কথা তুলে ধরেছেন। এমনকি সেখানে তিনি টাটার কাছে গাড়িটি ফেরত নিয়ে নেওয়ার দাবিও জানান। জানা গেছে, ওই মহিলা দু’দিন মুম্বাই থেকে পুণে যাওয়ার পথে তাঁর নেক্সন ইভি-তে গোলযোগ দেখা দেয়। প্রথম দিন ব্যাটারিতে সমস্যা দেখা দেয়। যদিও পরবর্তীতে ডিলারশিপের তরফে সেটি বদলে দেওয়া হয়। আবার দ্বিতীয় দিনে চার্জিং স্টেশন ঠিকঠাক কাজ না করার অভিযোগ করেন কারমেলিটা।
মহিলার আরও অভিযোগ, টাটার ZConnect Support থেকে কোনো পরিষেবা পাওয়া যায়নি। এমনকি টাটার টোল ফ্রি নম্বরেও ফোন করেও কোন সুরাহা পাওয়া যায়নি। টুইটারে কারমেলিটার পোস্ট দেখে সত্বর উত্তর দেয় টাটা। সংস্থাট জানায়, “আমরা বাস্তবেই আপনাকে সাহায্য করতে চাই।” তাঁর যোগাযোগের তথ্য, ডিলারশিপ এবং লোকালয় সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। সংস্থার তরফে তাঁকে পূর্ণ সাহায্য করা হবে বলে আশ্বস্ত করা হয়।
Tata Nexon EV স্পেসিফিকেশন
Tata Nexon EV Prime-এ উপস্থিত একটি ৩০.২ কিলোওয়াট আওয়ার ব্যাটারি প্যাক। এর ইলেকট্রিক মোটর থেকে ১২৯ পিএস শক্তি এবং ২৪৫ এনএম টর্ক উৎপন্ন হয়। ০-১০০ কিমি প্রতি ঘন্টার গতিবেগ ১০ সেকেন্ডে তুলতে সক্ষম গাড়িটি। অন্যদিকে, Tata Nexon EV Max-এ রয়েছে একটি ৪০.৫ কিলোওয়াট আওয়ার ব্যাটারি প্যাক। এর মোটরটি থেকে পাওয়া যায় ১৪৩ পিএস শক্তি এবং ২৫০ এনএম টর্ক। গাড়িটি ০-১০০ কিমি প্রতি ঘন্টার গতিবেগ ৯ সেকেন্ডে তুলতে পারে। এতে তিনটি ড্রাইভিং মোড উপলব্ধ – ইকো, সিটি এবং স্পোর্টস।