Mahindra Thar-কে টেক্কা দিতে Tata আনছে নতুন গাড়ি, রইল খুঁটিনাটি
অফ-রোডিংয়ের স্বাদ কোনো এসইউভি গাড়িতে পেতে হলে সর্বাগ্রে যে গাড়িটির নাম মাথায় আসে, সেটি হল Mahindra Thar। সাজসজ্জা...অফ-রোডিংয়ের স্বাদ কোনো এসইউভি গাড়িতে পেতে হলে সর্বাগ্রে যে গাড়িটির নাম মাথায় আসে, সেটি হল Mahindra Thar। সাজসজ্জা এবং ফিচারের দিক থেকে এককথায় এটি অনন্য। কিন্তু এই একই বৈশিষ্ট্য ভারতের উপলব্ধ যদি অন্য কোনো গাড়িতে পেতে হয়, তবে Thar-এর মূল্যের তুলনায় আরও অনেক বেশি গাঁটের কড়ি খরচ করতে হয়। যে কারণে Mahindra Thar-কে প্রতিপক্ষহীন মডেলের তালিকায় সংযোজন করা হয়েছে। এদিকে মাহিন্দ্রা প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী টাটা (Tata) বিনা লড়াইয়ে সূচাগ্র মেদিনী ছাড়তে নারাজ। তাই এবারে Thar-কে কঠিন প্রতিযোগিতায় শামিল করতে টাটা তাদের একটি নতুন গাড়ি আনতে চলেছে। কেমন হবে সেটি? আসুন জেনে নেওয়া যাক।
Mahindra Thar-এর প্রতিপক্ষ
টাটার আসন্ন এসইউভি গাড়িটির প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, যেহেতু তারা ২০২০-এর অটো এক্সপো-তে ‘Sierra’ নামের একটি মডেলের প্রদর্শন করেছিল, তাই এটি একপ্রকার নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে Thar-এর প্রতিপক্ষ সেই নাম ব্যবহার করেই বাজারে আসবে। আশা করা হচ্ছে, এটি আইসিই ভার্সনের পাশাপাশি বৈদ্যুতিক মডেলেও লঞ্চ হবে। এটি অফ-রোডার সেগমেন্টে খেল পরিবর্তনকারীর ভূমিকা পালন করতে পারে।
Mahindra Thar-এর প্রতিপক্ষের ডিজাইন
টাটা বরাবর নিজেদের নির্মাণরত গাড়ির প্রসঙ্গে যেমন রহস্য বজায় রাখতে পছন্দ করে, এক্ষেত্রেও তার অন্যথা হচ্ছে না। অটো এক্সপো-তে দেখানো নমুনা মডেলটিতে ছিল একটি স্প্লিট রিয়ার গ্লাস নজরে পড়েছিল, যা আসল গাড়িটিতেও দেওয়া হবে। এছাড়া এতে স্প্লিট হেডল্যাম্প সেটআপ, ফ্লাশ ডোর হ্যান্ডেল, পেছনে এলইডি বারের দেখা মিলবে।
Mahindra Thar-এর প্রতিপক্ষের ফিচার
Sierra গাড়িটি টাটার প্রিমিয়াম মডেল হিসেবেই আসবে। এটি বডি স্ট্রাকচার, অফ রোড সক্ষমতার দিক থেকে Thar-এর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করলেও, ফিচারের তালিকায় যথেষ্ট ভিন্নতা লক্ষ্য করা যাবে। যেমন বৃহৎ টাচস্ক্রিন সিস্টেম, প্রিমিয়াম সাউন্ড সিস্টেম, মাল্টি রিজেন মোড, ডুয়েল জোন ক্লাইমেট কন্ট্রোল, প্যানারামিক সানরুফ ও আরও অন্যান্য বৈশিষ্ট্য।
Mahindra Thar-এর প্রতিপক্ষের স্পেসিফিকেশন
আশা করা হচ্ছে , নতুন Sierra জেন-২ সিগমা আর্কিটেকচারের উপর ভিত্তি করে আসবে। প্ল্যাটফর্মের প্রসঙ্গে বললে সেটি হল ব্যাপকভাবে বদল ঘটানো ALFA প্ল্যাটফর্ম। যেই প্ল্যাটফর্মের ওপর ভিত্তি করে Altroz, Punch ও আরও বেশ কয়েকটি টাটার গাড়ি এসেছে। এতে দেয়া হতে পারে একটি নতুন ১.৫ লিটার কার্বো পেট্রোল ইঞ্জিন। আবার ২.০ লিটার Kryotec ইঞ্জিন, যা Harrier ও Safari-তে ব্যবহার করা হয়েছে। টাটার তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে, এর বৈদ্যুতিক মডেলের রেঞ্জ ৫০০ থেকে ৬০০ কিলোমিটার হবে।
Mahindra Thar-এর প্রতিপক্ষের দাম ও লঞ্চ
Sierra EV-র আগে টাটা চাইছে Curvv ও Avinya-এর উপর ভিত্তি করে গাড়ি আনতে। এরপরই Sierra-র উন্মোচন হতে পারে। ২০২৫ নাগাদ এটি লঞ্চের সম্ভাবনা। দামের প্রসঙ্গে বললে আসন্ন গাড়িটির মূল্য ২০ লক্ষ টাকার (এক্স-শোরুম) কাছাকাছি হওয়ার অনুমান করা হচ্ছে।