Tata Motors এর মুকুটে নতুন পালক, দ্রুততম সময়ে 1 লাখ Punch SUV বিক্রি করে রেকর্ড গড়ল
ভারতের সুরক্ষিত গাড়ির তালিকার শীর্ষস্থানে দীর্ঘদিন ধরে বিরাজমান Tata Punch। সাব কম্প্যাক্ট এসইউভি হলেও মজবুতিতে আকারে...ভারতের সুরক্ষিত গাড়ির তালিকার শীর্ষস্থানে দীর্ঘদিন ধরে বিরাজমান Tata Punch। সাব কম্প্যাক্ট এসইউভি হলেও মজবুতিতে আকারে আরও বড় যাত্রীবাহী গাড়িকেও হার মানায় এটি। সেফটি ফিচার্স ও দুর্দান্ত স্পেসিফিকেশন দিয়ে অল্প দিনেই গ্রাহকদের হৃদয় জিতে নিয়েছে টাটার এই গাড়ি। এবারে যার প্রত্যক্ষ প্রমাণ পাওয়া গেল। Tata Punch-এর বিক্রি ১ লাখ স্পর্শ করার কথা গর্বের সঙ্গে জানালো টাটা মোটরস (Tata Motors)। ভারতে উপলব্ধ এসইউভিগুলির মধ্যে সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে এই রেকর্ড গড়েছে Punch। পাঁচ আসন বিশিষ্ট গাড়িটি মাত্র ১০ মাসে ওই মাইলফলক স্পর্শ করেছে।
২০২১-এর অক্টোবরে আনুষ্ঠানিকভাবে লঞ্চ হয়েছিল Tata Punch। হালকা অথচ দৃঢ় ALFA (অ্যাজাইল লাইট ফেক্সিবল অ্যাডভান্সড) প্ল্যাটফর্মের ওপর ভিত্তি করে এসেছে এটি। লঞ্চের পর Gobal NCAP-এর থেকে সুরক্ষার ৫ তারার মানপত্র পেয়ে দেশের সবচেয়ে সুরক্ষিত গাড়ির স্থান দখল করে পাঞ্চ। বাজারে যাকে নিয়ে গ্রাহকদের মধ্যে উৎসাহের ঢল নামে। তড়িঘড়ি বুকিং করার ব্যস্ততা দেখা যায়। ফলে প্রতি মাসে দেশের বাজারে এর বিক্রির পরিমাণ বাড়তে থাকে। গত মাসে ১১,০০৭টি মডেল বিক্রির মাধ্যমে টাটার দ্বিতীয় বেস্ট সেলিং প্যাসেঞ্জার ভেহিকেলের জায়গা করে নেয় গাড়িটি।
Punch-এর ১ লাখ তম ইউনিট কারখানা থেকে রোলআউটের খদর টুইট মারফত জানায় টাটা। সেখানে তারা লেখে, “১,০০,০০০ তম Tata Punch বিক্রি করতে পেরে আমরা অতি রোমাঞ্চিত! আমাদেরকে দ্রুততম ১ লাখ এসইউভি বিক্রির সংস্থা বানানোর জন্য ভারতকে ধন্যবাদ।” মালা জড়ানো একটি নীল রঙের পাঞ্চের ছবি প্রকাশ করা হয়। যার দু’পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন সংস্থার দুই আধিকারিক। এই প্রসঙ্গে সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর শৈলেশ চন্দ্র বলেন, “মাত্র ১০ মাসে Punch-এর এই এক লক্ষ বিক্রির মাইলস্টোন অর্জনের কথা ঘোষণা করতে পেরে আমরা খুশি।”
শৈলেশ চন্দ্র আরও জানান, “বর্তমানে Punch আমাদের সংস্থার একটি অন্যতম টপ সেলিং কম্প্যাক্ট এসইউভি। এই সাফল্য গাড়িটির প্রতি গ্রাহকদের উৎসাহকে প্রকাশ করেছে। আমরা সেইসব ক্রেতাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।” প্রসঙ্গত, টাটা পাঞ্চে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য রয়েছে G-NCAP প্রদত্ত নিরাপত্তাজনিত ৫ স্টার সেফটি রেটিং। G-NCAP-র ক্র্যাশ টেস্টে গাড়িটি ১৭ পয়েন্টের মধ্যে ১৬.৪৫ পয়েন্ট পেয়ে নিজের নৈপুণ্য দেখিয়েছিল। ALFA-ARC প্লাটফর্মে তৈরি হয়েছে গাড়িটি। সুরক্ষা জনিত ফিচারের তালিকায় রয়েছে ডুয়েল ফ্রন্ট এয়ারব্যাগ, এবিএস, ইবিডি, কর্নার ইনস্টাবিলিটি কন্ট্রোল, ISOFIX চাইল্ড সিট, প্রভৃতি।
টাটা পাঞ্চ একটি থ্রি সিলিন্ডার, ১.২ লিটার ন্যাচারালি অ্যাস্পিরিটেড, রিভোট্রন পেট্রোল ইঞ্জিনে দৌড়য়। যাতে রয়েছে ‘Dynapro’ প্রযুক্তি। ইঞ্জিনটি থেকে ৬,০০০ আরপিএম গতিতে ৮৪.৪৮ বিএইচপি ক্ষমতা এবং ৩,৩০০ আরপিএম গতিতে ১১৩ এনএম টর্ক উৎপন্ন হয়। ৫-স্পিড ম্যানুয়াল অথবা অটোমেটিক গিয়ার বক্স বিকল্পে বেছে নেওয়া যায় গাড়িটি। সম্প্রতি গাড়িটির বেস ভ্যারিয়েন্ট ‘পিওর’ এর দাম ১৫,০০০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৫.৮২ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম)।