Tata Punch নাকি Hyundi Exter, কোন CNG গাড়ি বেশি মাইলেজ দিচ্ছে দেখুন

২০২১ সালের অক্টোবরে ভারতে লঞ্চ হয়েছিল Tata Punch। সেই সময় থেকেই দেশের মাইক্রো এসইউভি সেগমেন্টকে এক অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে গাড়িটি। ইতিমধ্যেই যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন…

২০২১ সালের অক্টোবরে ভারতে লঞ্চ হয়েছিল Tata Punch। সেই সময় থেকেই দেশের মাইক্রো এসইউভি সেগমেন্টকে এক অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে গাড়িটি। ইতিমধ্যেই যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে টাটা পাঞ্চ। এই জনপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখেই খুব সম্প্রতি পাঞ্চের সিএনজি ভার্সন লঞ্চ করেছে টাটা। এটি সংস্থার টুইন সিলিন্ডার যুক্ত দ্বিতীয় সিএনজি মডেল। দাম থেকে ফিচার্স সব প্রকাশ হলেও, শুধু মাইলেজ জানাতে বাকি রেখেছিল টাটা। এবার সেটাও প্রকাশ্যে আনা হল।

Tata Punch CNG: মাইলেজ

কয়েক সপ্তাহ আগেই মাইক্রো এসইউভি সেগমেন্টে টাটা পাঞ্চ-কে টক্কর দিতে হুন্ডাই (Hyundai) ভারতে নিয়ে এসেছে Exter। এই গাড়িটির সিএনজি সংস্করণ লঞ্চ হয়েছে। টাটা পাঞ্চ সিএনজির মাইলেজের দিকে নজর দিলে দেখা যাবে এটি প্রতি কেজি প্রাকৃতিক গ্যাসে প্রায় ২৬.৯ কিমি পর্যন্ত ছুটতে সক্ষম। তবে এই দিক থেকে বিচার করলে খানিকটা এগিয়ে রয়েছে হুন্ডাই এক্সটার। কারণ এই গাড়িটির সিএনজি ভার্সন এক কেজি গ্যাসে ২৭.১ কিমি পর্যন্ত পাড়ি দিতে সক্ষম।

Tata Punch CNG: টুইন সিলিন্ডার প্রযুক্তি

টাটা পাঞ্চ সিএনজিতে সিঙ্গেল সিলিন্ডারের পরিবর্তে টুইন সিলিন্ডার প্রযুক্তি দেখতে পাওয়া যায়। সাধারণত যে কোনো গাড়ির সিএনজি মডেলে পিছনের দিকের বুটের অংশে অনেকখানি জায়গা দখল করে থাকে গ্যাস সিলিন্ডার। তাই স্বাভাবিকভাবেই বুটের আয়তন বেশ কমে আসে। এই বিষয়টির সমাধান করেছে টুইন সিলিন্ডার টেকনোলজি। টাটা পাঞ্চ এর সাধারণ মডেলে ৩৬৮ লিটারের বুট স্পেস থাকলেও এর সিএনজি সংস্করণের বুটের আয়তন ২১০ লিটার। অর্থাৎ আসল বুটের আয়তনের মাত্র ৪২ শতাংশ পর্যন্ত দখল করে রয়েছে এই টুইন সিলিন্ডার সিএনজি ট্যাঙ্ক।

Tata Punch CNG: ইঞ্জিন স্পেসিফিকেশন

ছোট চেহারার এসইউভি গাড়ি হিসেবে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করতে পেরেছে টাটা পাঞ্চ। এর সিংহভাগ কৃতিত্ব গিয়েছে এই গাড়ির ইঞ্জিন ও ডিজাইনের দিকে। গাড়িটি ১.২ লিটারের থ্রি সিলিন্ডার পেট্রোল চালিত ইঞ্জিন দ্বারা পরিচালিত, যার পাওয়ার এবং টর্ক আউটপুট যথাক্রমে ৭৪ বিএইচপি এবং ৯৫ এনএম। অন্যদিকে পাঞ্চ এর সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হুন্ডাই এক্সটারও ১.২ লিটার থ্রি সিলিন্ডার ইঞ্জিন সহ এসেছে। এক্ষেত্রে ইঞ্জিনটি সর্বোচ্চ ৬৮ বিএইচপি শক্তি এবং ৯৫ এনএম টর্ক উৎপাদন করার ক্ষমতা রাখে।

WhatsApp Follow Button

লেটেস্ট খবর পড়তে হোয়াটসঅ্যাপে

WhatsApp Logo যুক্ত হোন