Tata Punch: দেশজুড়ে পাঞ্চ ঝড়, নতুন বছর শুরু হতেই নজির, চাপে মারুতি-হুন্ডাইরা
সফলতা টাটা মোটরসের (Tata Motors) ছায়াসঙ্গী হয়ে উঠেছে। বিক্রির নিরিখে একের পর এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছে এই দেশীয়...সফলতা টাটা মোটরসের (Tata Motors) ছায়াসঙ্গী হয়ে উঠেছে। বিক্রির নিরিখে একের পর এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছে এই দেশীয় কোম্পানিটি। এবারে তাদের জনপ্রিয় সাব কম্প্যাক্ট এসইউভি Punch স্পর্শ করল ৩ লাখের প্রোডাকশন মাইলস্টোন। কারখানা থেকে তৈরি হয়ে বেরোনো তিন লক্ষতম মডেলটির ছবি প্রকাশ করেছে সংস্থা। গত ৯ মাসে টাটা ১ লক্ষ পাঞ্চ এসইউভি বিক্রি করতে পেরেছে বলে দাবি করা হয়েছে। এটুকু শুনেই জনপ্রিয়তার আঁচ পাওয়া যায়।
ভারতে বিক্রিত এসইউভি গাড়িগুলির মধ্যে পাঞ্চ হচ্ছে টাটার সবচেয়ে ছোট চেহারার মডেল। ভারতে প্রতিপক্ষ হিসেবে রয়েছে Hyundai Exter। গাড়িটি আইসি এবং সিএনজি, উভয় ভার্সনেই উপলব্ধ। আবার এই বছর ইলেকট্রিক ভার্সনেও আসতে চলেছে এটি। উল্লেখ্য, ২০২১-এর অক্টোবরে প্রথম লঞ্চ হয়েছিল Tata Punch। বর্তমানে Nexon SUV-র পর এটি সংস্থার দ্বিতীয় বেস্ট সেলিং মডেল। প্রতি মাসে গড়ে ১০,০০০ ইউনিট বিক্রি হয়।
২০২৩-এ ভারতে সর্বাধিক বিক্রিত প্রথম দশটি গাড়ির তালিকার অষ্টম স্থান দখল করেছে পাঞ্চ। লঞ্চের প্রথম ১০ মাসের মধ্যেই এক লাখ উৎপাদনের মাইলস্টোন স্পর্শ করে সকলকে তাক লাগিয়েছিল মডেলটি। পরবর্তী পাঁচ মাসের মধ্যে আরও ৫০ হাজার ক্রেতার মুখ দেখেছিল এটি। মে মাসের মধ্যেই গাড়িটির উৎপাদনের পরিমাণ দু'লক্ষে পৌঁছে যায়। আর তিন লক্ষে পৌঁছাতে আরও ন’মাস সময় লাগে।
Tata Punch : ইঞ্জিন ও ট্রান্সমিশন
টাটা মোটরস তাদের Punch-এ একটি ১.২ লিটার, থ্রি-সিলিন্ডার ন্যাচেরালি অ্যাস্পিরেটেড ইঞ্জিন অফার করে। গাড়িটি ফাইভ-স্পিড ম্যানুয়াল এবং এএমটি গিয়ারবক্স অপশনে বেছে নেওয়া যায়। এটি থেকে সর্বোচ্চ ৮৫ বিএইচপি শক্তি এবং ১১৩ এনএম টর্ক পাওয়া যায়। গাড়িটি আবার ডুয়েল সিলিন্ডার সেটআপ ও iCNG টেকনোলজি সহ বেছে নেওয়া যায়।
Tata Punch : দাম ও ফিচার্স
টাটা পাঞ্চ-এ উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হিসেবে রয়েছে পুশ বাটন স্টার্ট, অটোমেটিক ক্লাইমেট কন্ট্রোল, লেদার র্যাপ স্টিয়ারিং হুইল ও গিয়ার নব, অটো ফোল্ডিং ORVM, ৭ ইঞ্চি ইনফোটেনমেন্ট সিস্টেম ইত্যাদি। বর্তমানে এটি কিনতে খরচ পড়ে ৬ লাখ থেকে ৯.৫০ লাখ টাকা (এক্স-শোরুম)। প্রসঙ্গত, এ বছর গাড়িটির ইলেকট্রিক ভার্সন লঞ্চ হতে চলেছে।