Bharat NCAP: 5 স্টার সেফটি রেটিং পেয়ে নজির, ভারত এনক্যাপেও সেরা টাটার গাড়ি!

গাড়ির সুরক্ষা পরীক্ষা করার ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীনের মতো দেশগুলির সমকক্ষে উন্নীত হয়েছে ভারত। গ্লোবাল এনক্যাপ-এর (Global NCAP) বিধি মেনে এদেশে ভারত নিউ কার অ্যাসেসমেন্ট…

গাড়ির সুরক্ষা পরীক্ষা করার ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীনের মতো দেশগুলির সমকক্ষে উন্নীত হয়েছে ভারত। গ্লোবাল এনক্যাপ-এর (Global NCAP) বিধি মেনে এদেশে ভারত নিউ কার অ্যাসেসমেন্ট প্রোগ্রাম বা ভারত এনক্যাপ (BNCAP) লঞ্চ করা হয়েছে। কিছুদিন আগেই Tata Safari ও Harrier-এর মতো বেশ কয়েকটি গাড়ির ক্র্যাশ টেস্ট চালিয়েছিল সংস্থা। এবারে তারা সুরক্ষার রেটিং প্রকাশ করেছে। দেখা গেছে, গ্লোবাল এনক্যাপ-এর পর বিএনক্যাপ থেকে ৫-স্টার রেটিং ছিনিয়ে নিয়েছে Tata Safari ও Harrier। প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশু, উভয় যাত্রীদের ক্ষেত্রেই সর্বাধিক সুরক্ষিত হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করেছে। ফলে দেশের এসইউভি দরবারে গাড়ি দুটির কদর আরও বাড়বে বলেই হলফ করে বলা যায়।

টাটার দুই মডেলের সাফল্য দেখে কেন্দ্রীয় সড়ক ও হাইওয়ে মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী বলেছেন, “দেশের গাড়িতে সুরক্ষা বিচারের ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর হয়ে ওঠার স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ভারত এনক্যাপ। বিশ্বমানের এই প্রতিষ্ঠানটি রাস্তায় গাড়ির সুরক্ষা খতিয়ে দেখার জন্য গড়ে তোলা হয়েছে।” তিনি যোগ করেন, “প্রথম লটের গাড়ি হিসেবে ফাইভ স্টার রেটিংয়ের মতো সেরা সাফল্য অর্জন করায় আমি আপ্লুত।”

এখন বিষয় হচ্ছে, সুরক্ষার বিচারে Tata Safari এবং Tata Harrier SUV-তে কেমন বৈশিষ্ট্য আছে, চলুন দেখে নেওয়া যাক :

  • ৭টি এয়ারব্যাগ, যার মধ্যে ৬টি প্রতিটি মডেলেই রয়েছে
  • ইলেকট্রনিক স্টেবিলিটি কন্ট্রোল
  • প্রতিটি সারিতে থ্রি পয়েন্ট সিট বেল্ট
  • সকল যাত্রীর জন্য সিট বেল্ট রিমাইন্ডার
  • ISOFIX টেথার
  • সিট বেল্ট সহ এতে রয়েছে রিট্র্যাক্টর, প্রিটেনশনার, লোড লিমিটার এবং অ্যাঙ্কর প্রিটেনশনার
  • সামনে ও দুই পাশে অভিঘাত সামলাতে রয়েছে রিইনফোর্স কেবিন স্ট্রাকচার।

উল্লেখ্য, এ বছর অক্টোবরেই টাটা সাফারি ও টাটা হ্যারিয়ার-এর নতুন সংস্করণ এসেছিল। সাফারির বেস মডেলের দাম ১৬.১৯ লক্ষ টাকা এবং এর টপ এন্ড ভ্যারিয়েন্টের মূল্য ২৭.৩৪ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম)। যেখানে ভ্যারিয়েন্ট অনুযায়ী হ্যারিয়ার-এর দাম ১৫.৪৯ লক্ষ থেকে শুরু করে ২৬.৪৪ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম) পর্যন্ত গিয়েছে।

সাফারি ও হ্যারিয়ার – দুটি গাড়িতেই রয়েছে Kryotec 2.0 লিটার ডিজেল ইঞ্জিন। যা থেকে সর্বোচ্চ ১৭০ পিএস শক্তি এবং ৩৫০ এনএম টর্ক উৎপন্ন হয়। গাড়িটি ৬-স্পিড ম্যানুয়াল এবং ৬-স্পিড অটোমেটিক উভয় ট্রান্সমিশনে বেছে নেওয়া যায়।