পেট্রল ভরার ঝক্কি নেই, ব্যাটারি চার্জও দিতে হবে না, বিশেষ স্কুটার লঞ্চের ঘোষণা করল Triton
টেসলার প্রতিদ্বন্দ্বী আমেরিকার ট্রাইটন ইলেকট্রিক ভেহিকেল (Triton Electric Vehicle)-এর হাত ধরে ভারতের টু-হুইলারের বাজারে...টেসলার প্রতিদ্বন্দ্বী আমেরিকার ট্রাইটন ইলেকট্রিক ভেহিকেল (Triton Electric Vehicle)-এর হাত ধরে ভারতের টু-হুইলারের বাজারে যুগান্তর আসতে চলেছে। এদেশে সংস্থাটি তাদের প্রথম হাইড্রোজেন জ্বালানি চালিত টু-হুইলার আনতে চলেছে বলে ঘোষণা করেছে। কেবল দু’চাকার গাড়ি নয়, সেই তালিকায় একটি থ্রি-হুইলারও রয়েছে। তবে লঞ্চের সময়সূচি সম্পর্কে সংস্থার তরফে কোনো বার্তা দেওয়া হয়নি।
এ বছরের মার্চ মাসে টাইটনের তরফে জানানো হয়েছিল, গুজরাতের ভুজে এদেশে সংস্থার প্রথম কারখানাটি গড়ে তোলা হবে। এই প্রসঙ্গে সংস্থার সহ প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও হিমাংশু প্যাটেল বলেন, “খুব শীঘ্রই আমরা ভারতের রাস্তায় আমাদের প্রথম টু-হুইলার আনতে চলেছি।” এমনকি আসন্ন দুই ও তিন চাকার গাড়িগুলির উৎপাদনে সংস্থা ইতিমধ্যেই হাত লাগিয়েছে বলেও তিনি নিশ্চিত করেছেন। প্যাটেল যোগ করেন, “যেহেতু পরিবহণে নতুন যুগ নিয়ে আসা আমাদের প্রধান লক্ষ্য, তাই হাইড্রোজেন জ্বালানি চালিত যানবাহন সংস্থার সেই প্রগতিকে প্রাকৃতিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবে।”
ভুজে ৬০০ একরের বেশি জমির উপর গড়ে উঠবে ট্রাইটন ইভি-র কারখানা। হাইড্রোজেন চালিত দুই ও তিন চাকার গাড়ি দুটি আমেদাবাদ কাছে সানন্দে অবস্থিত সংস্থার গবেষণা কেন্দ্রে নির্মিত হচ্ছে। নতুন কারখানা চালু হলে তাদের উৎপাদন বাড়বে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আন্তর্জাতিক বাজারে সংস্থাটি ইলেকট্রিক গাড়ি, ট্রাক এবং বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহৃত যানবাহন বিক্রি করে থাকে।
প্রসঙ্গত, আসন্ন টু-হুইলারটি একটি স্কুটার নাকি বাইকের মডেল, সে প্রসঙ্গে খোলসা করেনি সংস্থা। এই জাতীয় টু-হুইলারের একটি হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল থাকে। এটি আসলে একটি সিলিন্ডার যেখানে অক্সিজেনের সাথে অনুঘটকের উপস্থিতিতে হাইড্রোজেনের বিক্রিয়ার ফলে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। এই বিদ্যুৎ মোটরকে শক্তি জোগাতে সহায়তা করে। গাড়ি চলার সময় কেবল জল নির্গত হয়। পরিবেশের পক্ষে ক্ষতিকারক কোনো গ্যাস বাতাসে মিশবে না। আবার অতি অল্প সময়েই জ্বালানি ভরানো যায়।